দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী

“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

দুনিয়ার দুঃখ দুঃখ না, জাহান্নারের দুঃখ আসল দুঃখ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

নামাজ বেহেস্তের চাবি

রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।

কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

Monday, May 30, 2016

রাসূল(সাঃ) কেন এত বিয়ে করেছিলেন??

রাসূল(সাঃ) কেন এত বিয়ে করেছিলেন??


মুসলিমদের আঘাত করার খুব ভাল একটা বিষয় হল- তারা রাসূল(সাঃ) এর বিয়ে নিয়ে আজে বাজে কথা বলে। কেউ বলে, তিনি এত বিয়ে কেন করেছেন যেখানে কুরআন এ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ের কথা বলা হয়েছে?? কেউ বলে এটা দ্বারা তিনি তার যৌনক্ষুধা মিটিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)। কেউ বলে সবার জন্য হারাম করে নিজের জন্য হালাল করেছেন। এমন উদ্ভট আজগুবি প্রশ্ন করে ইসলামকে ছোট করে আর যে সব মুসলিমের ঈমাণ দুর্বল তাদের ঈমাণ আরও দূর্বল হয়ে যায়। এই লেখায় এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। এই নোট পড়ার আগে, এই লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তাতে বুঝতে পারবেন ইসলাম কেন বহু বিবাহের অনুমতি দেয়।

কেন রাসূল(সাঃ) এতগুলো বিয়ে করেছিলেন??? 


তিন শ্রেণীর মানুষের কাছে এই প্রশ্ন আসে। মুসলিম, অন্য ধর্মীয় এবং নাস্তিকদের। এখানে সবার বিষয় নিয়েই আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

প্রথমেই আমরা রাসূল(সাঃ) এর স্ত্রীদের নাম জেনে নিচ্ছি।
  • খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রাঃ)
  • সাওদা বিনতে যামআ (রাঃ)
  • আয়িশা বিনতে আবু বকর (রাঃ)
  • হাফসা বিনতে উমর (রাঃ)
  • যয়নাব বিনতে খুযাইমা (রাঃ)
  • উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা (রাঃ)
  • যয়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ)
  • জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিছ ইবনে আবি যারার (রাঃ)
  • রামালাহ বিনতে আবু-সুফিয়ান (রাঃ)
  • সফিয়্যা বিনতে হুওয়াই (রাঃ)
  • মাইমুনা বিনতে হারিছ ইবনে হাযন (রাঃ)
  • মারিয়া আল-কিবতিয়া (রাঃ) 

মুসলিম ভাগঃ 


মুসলিমদের মনে প্রধান প্রশ্ন রাসূল(সাঃ) এর বিয়ের পিছনে প্রধান কারণ কি ছিল। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, রাসূল(সাঃ) এর বিয়ে সম্পূর্ণ হালাল ছিল এবং আল্লাহ নির্দেশিত ছিল। এটা কুরআন এর একটা আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।

"হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।" (আল-কুরআন, সূরা আহযাব, আয়াত- ৫০) 

এবং যখন নিষেধ করা হয়েছে তখন আর তিনি বিয়ে করেন নি। নিষেধের প্রমাণ পাওয়া যায় নিচের আয়াতে।

"এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।" (আল-কুরআন, সূরা আহযাব, আয়াত- ৫২) 

সাধারণভাবে আমরা বিয়ের কারণের ভিত্তিতে রাসূল(সাঃ) এর বিয়েকে ৬ ভাগে ভাগ করতে পারি।

১. বৈবাহিক জীবন যাপন২. স্ত্রীদের মাধ্যমে ইসলামের বিষয়াদি শেয়ার করা যা তারা অন্য সাহাবীদের শেয়ার করতেন৩. সাহাবীদের বিধবা স্ত্রীদের সাহায্য করা৪. সাহাবীদের সাথে পারিবারিক বন্ধন স্থাপন৫. বিভিন্ন গোত্রে পারিবারিক বন্ধন স্থাপনের উদ্দেশ্যে৬. কুসংস্কার দূরীকরণ


১. বৈবাহিক জীবন যাপন


খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ(রাঃ) কে এই ভাগে স্থান দেয়া যায়। তিনি ছিলেন মক্কার একজন ধনাঢ্য ও সম্ভ্রান্ত মহিলা। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন ২৫ বৎসর বয়সী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর সঙ্গে তাদের বিবাহ হয়েছিল। খাদিজা(রাঃ) ছিলেন দুইবার এর বিধবা। হযরত ইবরাহিম (রা:) ব্যতীত হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর সকল সন্তান ইনার গর্ভে জন্ম লাভ করে। তাঁর জীবদ্দশায় মুহাম্মদ (সাঃ) আর কোন বিয়ে করেন নি। প্রত্যেক মানুষের বৈবাহিক জীবন যাপনের পূর্ণ অধিকার আছে। এবং রাসূল(সাঃ) এর এই বিয়ে নিয়ে কারও মনে কোন প্রশ্ন আসে না। সবাই এটাকে সাধরণভাবে নেয়।

২. স্ত্রীদের মাধ্যমে ইসলামের বিষয়াদি শেয়ার করা।


অনেক মহিলা সাহাবীরা এমন অনেক প্রশ্ন করতেন যার উত্তর দিতে রাসূল(সাঃ) সংকোচবোধ করতেন। রাসূল(সাঃ) এর পক্ষ থেকে তার স্ত্রীরা তাদের সেই বিষয় বুঝিয়ে দিতেন। এছাড়াও ইসলাম প্রচারে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়ে সাহাবীর ভুমিকা অনেক বেশী ছিল। এখান উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আয়েশা(রাঃ) এর কথা। তার মাধ্যমে ইসলামের অনেক বিভ্রান্তি দূরীভুত হয়েছে।
মুসলিম ভাইয়েরা এখানে দুইটা বিষয় ভাল করে খেয়াল করুন-

* যদি রাসূল(সাঃ) মাত্র একটি বিয়ে করতেন তাহলে এত সাহাবীর/তাবেঈর সবার প্রশ্নের উত্তর একজন কিভাবে দিতেন?? এটা একজন স্ত্রীর পক্ষে অসম্ভব ছিল
* খাদিজা(রাঃ) মারা যাবার পরও ইসলামের অনেক বিধান এসেছে। যদি রাসূল(সাঃ) আর বিয়ে না করতেন তাহলে এমন অনেক বিষয় (যা রাসূল(সাঃ) এর স্ত্রীরা ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করতে পারতেন না) মানুষের অজানাই থেকে যেত।

৩. সাহাবীদের বিধবা স্ত্রীদের সাহায্য করা


অনেক সাহাবী যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অনেকে আবার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। রাসূল(সাঃ) তাদের মধ্যে কিছু বিধবাকে বিয়ে করেছেন তার মধ্যে- হাফসা বিনতে উমর (রা), যয়নব বিনতে খুযাইমা (রা), উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা (রাঃ) এর কথা বলা যায়।

হাফসা (রাঃ) এর স্বামী বদর যুদ্ধে মারা যাবর পর তিনি পিতা ওমর (রাঃ) এর কাছে এসে পড়েন। উমর (রাঃ) তার এই যুবতী বিধবা কন্যার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তিত হন ও তাকে বিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাফসা (রাঃ) কে বিয়ে করে ওমর (রাঃ) কে চিন্তা হতে মুক্তি দেন এবং ওমর (রাঃ) খুব খুশি হন।

যয়নব (রাঃ) এর স্বামী যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করায় তিনি শোকাহত হয়ে পড়েন, তার চেয়েও তার পিতা বেশি শোকাহত হয়ে পড়েন তাকে নিয়ে। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহর নিকট পৌছালে তিনি কতিপয় সাহাবীদের কে বিয়ের জন্য রাজী করাতে চেষ্টা করেন কিন্তু সকলেই নানা ওজর দেখিয়ে পিছিয়ে যান । তাই রাসূল(সাঃ) নিজেই যয়নব (রা) কে বিয়ে করে নেন। বিয়ে হয় ৩ হিজরি সনে । যয়নব (রা) এর বয়স তখন ৩০ বছর । বিয়ের মাত্র তিন মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন ।

উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা (রাঃ) যুদ্ধে আবু সালামা (রাঃ) শাহাদাত বরণের পর উম্মে সালামা (রা) চরম অর্থকষ্টে পতিত হন। অনেক সাহাবী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি তা ফিরিয়ে দেন। রাসূল(সাঃ) তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তিনটি কারণ দেখান এবং বলেন- তিনি ঈর্ষায় পতিত হতে পারেন, তিনি বৃদ্ধ এবং তার সন্তান আছে। রাসূল(সাঃ) বলেন- আল্লাহর কাছে তিনি ঈর্ষার জন্য দোয়া করবেন, রাসূল(সাঃ) ও বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সন্তান রাসূল(সাঃ) এর সন্তান। তারপর উম্মে সালামা(রাঃ) রাসূল(সাঃ)কে বিয়ে করেন।

৪. সাহাবীদের সাথে পারিবারিক বন্ধন স্থাপন।


এখানে একটা উদাহরণ দেয়া যায়, রাসূল(সাঃ) আবু বকর(রাঃ) এবং উমর(রাঃ) এর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। আর তার নিজের কন্যাকে উসমান(রাঃ) এবং আলী(রাঃ) এর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। এটাকেও অনেকে বিয়ের কারণ হিসেবে মনে করেন।

৫. বিভিন্ন গোত্রে পারিবারিক বন্ধন স্থাপনের উদ্দেশ্যে


এটা ছিল মূলত ইসলাম এর প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে। যুদ্ধে পরাজিত গোত্র যুদ্ধবন্দি হত। তাদের মেয়েদের কোন কোন সাহাবী বিয়ে করতেন। তার মধ্যে সফিয়্যা বিনতে হুওয়াই (রাঃ) যুদ্ধবন্দী হয়ে আসেন এবং ঈমান আনার পর উনি রাসূল(সাঃ) কে বিয়ে করতে রাজি হন। তার বিয়ের পর  বনু নাদির গোত্রে ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

রামালাহ বিনতে আবু-সুফিয়ান (রাঃ) এর কথা বলা যায়, মক্কার কুরাইশদের সাথে একটা শান্তিচুক্তি হয়। এই শান্তি চুক্তির পর পরই রাসূল(সাঃ) মক্কার সর্দার আবু সুফিয়ান এর কন্যাকে বিয়ে করেন। তার স্বামী খ্রীষ্টান হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তিনি ইসলামে অটল থাকেন। কুরাইশদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য রাসূল(সাঃ) এই বিয়ে ভুমিকা পালন করে।

৬. কুসংস্কার দূরীকরণ


এখানে উল্লেখযোগ্য হল- যয়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ)। তখনকার সময়ে পালক পুত্রকে নিজের ছেলের মত মনে করা হত আর এই কুসংস্কার দূর করতে রাসূল(সাঃ) তাকে বিয়ে করেন। এটা নিয়ে পরে একটা নোট এ বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

এভাবে দেখা যায়, বিভিন্ন বিয়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল। এবং সবগুলো প্রেক্ষাপটই ছিল অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। তাই রাসূল(সাঃ) এত বিয়ে করেছিলেন এবং সব স্ত্রীই রাসূল(সাঃ) এর সাথে সুখী ছিলেন। আশাকরি মুসলিমরা এখান থেকে উত্তর পেয়ে যাবেন। তথ্য নিয়ে কোন সমস্যা হলে নিচে রেফারেন্স দেয়া আছে। মিলিয়ে নিবেন। আমি যতটূকু সম্ভব চেষ্টা করেছি সবার পরিচিত তথ্য শেয়ার করার জন্য। জাযাকাল্লাহ খাইরান।

অমুসলিম ও নাস্তিক ভাগ


অমুসলিম ও নাস্তিকরা সাধারণত উপরের কথাগুলোতে সন্তুষ্ট হয় না। তাদের আরও কিছু কথা শুনাতে হয়। তারা কিছু উদ্ভট, আজগুবি প্রশ্ন করে যার কোন যুক্তি নেই। তাদের প্রশ্নগুলো এমন-

১. রাসূল(সাঃ) শুধু তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করার জন্য বিয়ে করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)
২. রাসূল(সাঃ) মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)

এসব প্রশ্ন করে তারা কোন যুক্তি দিতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্যে উত্তরে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরতে চাই।

সব সুস্থ মানুষের জৈবিক চাহিদা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যদি রাসুল(সাঃ) এর জৈবিক চাহিদা না থাকত তাহলে অমুসলিমরা যে কত কথা বলত তা কারও জানা ছিল না। আল্লাহ ভাল জানেন। ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমি আপনাদের কিছু প্রশ্ন করব। আপনারাই উত্তর দিবেন। ইনশাআল্লাহ আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবেন।

প্রথম যুক্তি


প্রশ্নঃ যদি শুধু জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য আপনি বিয়ে করেন তাহলে আপনি কত বছর এর একটা মেয়েকে বিয়ে করবেন ??? মনে করেন আপনি ২৫ বছরের একজন যুবক এবং আপনি বিয়ে করতে চান। কত বছরের এক নারীকে বিয়ে করবেন??
উত্তরঃ ১৮-২০ বা সর্বোচ্চ ২৫ বছরের মেয়েকে। সর্বোচ্চ ৩০। এর চেয়ে বেশী যাবে না।
প্রশ্নঃ রাসূল(সাঃ) কত বছর বয়সের মেয়েকে প্রথমে বিয়ে করেছিলেন???
উত্তরঃ ৪০ বছর
প্রশ্নঃ তাহলে রাসূল(সাঃ) কি শুধু যৌন চাহিদা পূরণের জন্য বিয়ে করেছিলেন??
উত্তরঃ আমার মনে হয় তিনি বেশী বয়সী মেয়ে পছন্দ করতেন।
প্রশ্নঃ বেশী বয়সের মেয়ের যৌন চাহিদা বেশী থাকে নাকি কম থাকে ??
উত্তরঃ কম থাকে।
প্রশ্নঃ তাহলে কিভাবে আপনি আপনার যৌন চাহিদা পূরণের জন্য বেশী বয়সের মেয়ে বিয়ে করেন? এমন মেয়ে বিয়ে করে কি আপনি আপনার চাহিদা পূরণ করতে পারবেন??
উত্তরঃ চুপ

দ্বিতীয় যুক্তিঃ


প্রশ্নঃ মনে করেন আপনি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য বিয়ে করতে চান। তাহলে আপনি কি কুমারী মেয়ে বিয়ে করবেন নাকি বিধবা???
উত্তরঃ কুমারী
প্রশ্নঃ রাসূল(সাঃ) যত বিয়ে করেছেন তার মধ্যে আয়েশা(রাঃ) ছাড়া বাকী সবাই কুমারী ছিলেন নাকি বিধবা?
উত্তরঃ বিধবা
প্রশ্নঃ তাহলে কিভাবে শুধু যৌন চাহিদা পূরণের জন্য রাসূল(সাঃ) বিয়ে করেন??
উত্তরঃ নাই।

৩য় যুক্তি


প্রশ্নঃ মনে করেন আপনি যৌন চাহিদার জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন?
উত্তরঃ ২৫-৩০, ৩০-৩৫।
প্রশ্নঃ এর চেয়ে বেশী বয়সে বিয়ে করবেন???
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ রাসূল(সাঃ) খাদিজা(রাঃ) ছাড়া বাকী বিয়ে কত বছর বয়সে করেছিলেন??
উত্তরঃ অবশ্যই ৫০+ বয়সে।
প্রশ্নঃ তাহলে কিভাবে শুধুমাত্র যৌন চাহিদা পূরণের জন্য রাসূল(সাঃ) বিয়ে করেন??
উত্তরঃ নাই।

এখন অমুসলিম এবং নাস্তিকদের কাছে শেষ প্রশ্ন।


মনে করেন আপনার বয়স এখন ষাট বছর। আপনি ২৫ বছর বয়সে একজন ৪০ বছরের ২ বারের বিধবা নারীকে বিয়ে করেছিলেন। তারপর সেই স্ত্রী বেচে থাকতে আর বিয়ে করেন নি। সেই স্ত্রী মারা গেলে আপনি ৫০+ বয়সে বেশ কিছু বিয়ে করেন যাদের বেশীর ভাগই বিধবা, বয়স্ক এবং বৃদ্ধা। এবং প্রত্যেক বিয়ে নির্দিষ্ট একটা কারণে করেন।এখন একজন ৩০-৪০ বছরের মধ্যবয়সী মানুষ এসে আপনাকে বলল- আপনি সারা জীবন শুধু যৌন চাহিদা পূরণ করার জন্য বিয়ে করেছেন, মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করেছেন। তাহলে আপনি কি করবেন?? নিশ্চয় তাকে একটা মেন্টাল ডাক্তারের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলবেন তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে। বিষয়টা তাই নয় কি??

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খাইরান।

তথ্য সূত্রঃ



ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আয়েশা(রাঃ) এর বিয়ে এবং জয়নব(রাঃ) এর বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত একটা নোট লিখার চেষ্টা করব। 

"মুসলমানরা কি আসলে সন্ত্রাস করে"

"মুসলমানরা কি আসলে  সন্ত্রাস করে"

জার্মানির এক টিভি লাইভশোতে একজন জার্মান মুসলিম স্কলারকে যখন উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন,
"
মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে"? তখন তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব এভাবে উল্টো প্রশ্নের মাধ্যমে দিয়েছিলেন:-
. যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
. যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?

.যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?

জিকিরের ফজিলত ও জেনে নেই 10 জিকিরে জান্নাত নিশ্চিত



জিকিরের ফজিলত ও জেনে নেই 10 জিকিরে জান্নাত নিশ্চিত 

জিকিরের ফজিলত:  পবিত্র কোরআনের তাগিদ


হে ঈমানদার গণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”(সুরা আহযাব৪১)

“তারাই জ্ঞানী ব্যক্তি যারা দাড়ানো বসা এবং শোয়া অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ    করে ” (সুরা আল ইমরান১৯১)   
অতঃপর তোমরা যখন নামায সম্পন্ন কর তখন দন্ডায়ামান, উপবিষ্ঠ শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর” (সুরা নিসা ১৪২)

তুমি স্বীয় অন্তকরণে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর বিনয়ের সাথে এবং ভয়ের সাথে আরও স্মরণ কর প্রত্যুসে সন্ধ্যায় উচ্চ স্বরে ব্যতিরেকে নিম্ম স্বরে আর গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না” (সুরা আরাফু- ২০৫)         
            
সকাল সন্ধ্যা তোমরা রবের স্মারণ কর” (সুরা দাহার -২৫)

আল্লাহর স্মরণই (জিকির) সবচেয়ে বড়” (সুরা আনকাবুত৪৫)

আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী এবং স্মরণ কারীনি, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফেরাত প্রতিদানের ব্যবস্থা রেখেছেন” (সুরা আহযাব- ৩৫)
জিকির সম্পর্কেএ আর ও জানি এই লিঙ্ক থেকে ।

সহজ ১০ দশটি  যিকির প্রতিদিন করলে মৃত্যুর পর জান্নাত