জিকিরের ফজিলত ও জেনে নেই 10 জিকিরে জান্নাত নিশ্চিত
জিকিরের ফজিলত: পবিত্র কোরআনের তাগিদ
“হে ঈমানদার গণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”(সুরা আহযাব – ৪১) ।
“তারাই জ্ঞানী ব্যক্তি যারা দাড়ানো বসা এবং শোয়া অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে ” (সুরা আল ইমরান – ১৯১)।
“অতঃপর তোমরা যখন নামায সম্পন্ন কর তখন দন্ডায়ামান, উপবিষ্ঠ ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর” (সুরা নিসা ১৪২)।
“তুমি স্বীয় অন্তকরণে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর বিনয়ের সাথে এবং ভয়ের সাথে আরও স্মরণ কর প্রত্যুসে ও সন্ধ্যায় উচ্চ স্বরে ব্যতিরেকে নিম্ম স্বরে। আর গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না” (সুরা আরাফু- ২০৫)।
“সকাল সন্ধ্যা তোমরা রবের স্মারণ কর” (সুরা দাহার -২৫)।
“আল্লাহর স্মরণই (জিকির) সবচেয়ে বড়” (সুরা আনকাবুত – ৪৫)।
“আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী এবং স্মরণ কারীনি, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফেরাত ও প্রতিদানের ব্যবস্থা রেখেছেন” (সুরা আহযাব- ৩৫)।
জিকির সম্পর্কেএ আর ও জানি এই লিঙ্ক থেকে ।
জিকির সম্পর্কেএ আর ও জানি এই লিঙ্ক থেকে ।
সহজ ১০ দশটি যিকির প্রতিদিন করলে মৃত্যুর পর জান্নাত
(১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]
(২) 'আলহামদুলিল্লাহ' মীযানের
পাল্লাকে ভারী
করে দেয়
এবং সর্বোত্তম
দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে
মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ
আল জামে’-১/৩৬২]
(৩)
'লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ' সর্বোত্তম
যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে
মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ
আল জামে’-১/৩৬২]
(৪)
'সুবহান আল্লাহ
ওয়াল হামদুলিল্লাহ
ওয়ালা ইলাহা
ইল্লাল্লাহু আল্লাহু
আকবর' এই
কালিমাগুলি আল্লাহর
নিকট অধিক
প্রিয় এবং
নবী (সঃ)
বলেনঃ পৃথিবীর
সমস্ত জিনিসের
চইতে আমার
নিকট অধিক
প্রিয়। [ সহীহ
মুসলিম -৩/১৬৮৫,
৪/২০৭২]
(৫) যে ব্যক্তি
'সুবহানাল্লাহি ওয়া
বিহামদিহী' প্রতিদিন
১০০ বার
পাঠ করবে
সমুদ্রের ফেনা
পরিমান (সগীরা)
গুনাহ থাকলে
ও তাকে
মাফ করে
দেওয়া হবে।
[সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ
মুসলিম-৪/২০৭১]
(৬)
নবী (সঃ)
বলেনঃ 'সুবহানাল্লাহি
ওয়াবি হামদিহী
সুবহানাল্লিল আযীম'
এই কালীমাগুলি
জিহ্বায় উচ্চারনে
সহজ , মীযানের
পাল্লায় ভারী
,দয়াময় আল্লাহর
নিকট প্রিয়
। [সহিহ
আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ
মুসলিম-৪/২০৭২]
(৭)
যে
ব্যক্তি
'সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি
হামদিহী'
পাঠ
করবে
প্রতিবারে
তার
জন্য
জান্নাতে
একটি
করে
(জান্নাতী) খেজুর
গাছ
রোপন
করা
হবে
।
[আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১,
সহীহ
আল-জামে’-৫/৫৩১,
সহীহ
আত-তিরমিজী-৩/১৬০]
(৮) নবী (সঃ) বলেনঃ 'লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ' হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]
(৯)
নবী (সঃ)
বলেনঃ 'সুবহান
আল্লাহ ওয়াল
হামদুলিল্লাহ ওয়ালা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু
আল্লাহু আকবর
ওয়ালা হাওলা
ওয়ালা কুয়্যাতা
ইল্লা বিল্লাহ'
এই কালীমাগুলি
হচ্ছে “অবশিষ্ট
নেকআ’মল
সমুহ” । [ আহমাদ
(সহীহ)-৫১৩,
মাজমাউজ
জাওয়াঈদ-১/২৯৭
]

# পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাসবিহ
প্রত্যেক ফজর নামাজের পর 100 বার পড়বে
|
১। ফজরের পর হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম - তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।
২। জোহরের হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম - তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের পর হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম - তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবেরপর হুয়াল গাফুরুর রাহীম - তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার পর হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর - তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।
২। জোহরের হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম - তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের পর হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম - তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবেরপর হুয়াল গাফুরুর রাহীম - তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার পর হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর - তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।
নামাজ ত্যাগের ভয়াবহ
পরিনতি ******
হাদীসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নামায ইসলামের খুঁটি স্বরূপ”। অর্থাৎ ঘর যেমন খুটি ছাড়া তৈরী হয় না বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা। ঠিক তেমনি ইসলামরূপ ঘর ও নামায নামক খুঁটি ছাড়া টিকতে পারেনা। যে ঠিকমত নামায কায়েম করল সে ইসলামকে জারী রাখতে সাহায্য করল। আর যে নামায কায়েম করল না সে যেন ইসলামকে ধ্বংস করে দিল।
কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। নামাযী ব্যক্তির হাত, পা, মুখমন্ডল কেয়ামতের দিন সূর্যের আলোর মত উজ্জল হবে। কিন্তু বেনামাযীর এর উল্টা ফল হবে এবং জাহান্নামী হবে। হাদীসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের ময়দানে নামাযীগণ নবী, শহীদ ও অলীগণেরর সঙ্গে থাকিবে। কোন অবস্থায়ই নামায বাদ দেয়া জায়েয নাই, রুগ্ন, খোড়া, বধির, অন্ধ, আতুর, বোবা যে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই নামায আদায় করতে হবে।
কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। নামাযী ব্যক্তির হাত, পা, মুখমন্ডল কেয়ামতের দিন সূর্যের আলোর মত উজ্জল হবে। কিন্তু বেনামাযীর এর উল্টা ফল হবে এবং জাহান্নামী হবে। হাদীসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের ময়দানে নামাযীগণ নবী, শহীদ ও অলীগণেরর সঙ্গে থাকিবে। কোন অবস্থায়ই নামায বাদ দেয়া জায়েয নাই, রুগ্ন, খোড়া, বধির, অন্ধ, আতুর, বোবা যে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই নামায আদায় করতে হবে।
আগে কোথাও গেলে সময় কাটতো না। এখন পকেটে তবজি রাখি। সময় বা অবসর পেলেই তবজি বের করে আমল শুরু করি। উদাহরন স্বরূপ গতকাল মেয়ে হলিক্রমে ভর্তি পরীক্ষা ছিল। দেখলাম হাতে প্রায় এক ঘন্টা। সবাইকে দেখি অপ্রয়োজনীয় কথা বলে সময় কাটাচ্ছে। আর আমি পকেট থেকে তবজি বের করি জিকির শুরু করি, কেমনে যে এক ঘন্টা সময় গেল টেরই পেলাম না।
ReplyDelete