Thursday, April 23, 2015

মাশওয়ারা (পরামর্শ )

মাশওয়ারা (পরামর্শ ) 

শরীয়তে মাশওয়ারার গুরুত্ব তাৎপর্য :

মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীনি দুনিয়াবি বিষয়াদি সহ সব মাশওয়ারাকে শরীয়তে  এবং  আল কুরআন  যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়েছে।  আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,  হে নবী! কাজে-কর্মে তাদের  সংগে  পরামর্শ করুন অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলবেন তখন আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদের ভালোবাসেন [সূরা আলে ইমরান-১৫৯]  স্বয়ং রাসূল সা. কে আল্লাহ পরামর্শ করার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন
 
রাসূল সা. শ্রেষ্ঠমানব নবী হওয়া  সত্ত্বেও তার সাহাবীদের সঙ্গে বদর, উহুদ খন্দক যুদ্ধ করা না করার ব্যাপারে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে পরামর্শ করেছেন খোলাফায়ে আরবাআ সালফে সালেহীনও এদিকে বেশ সজাগ সতর্ক ছিলেন
মাশওয়ারা হলো সঠিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সম্যক অবগতি লাভ করার একটি উত্তম পন্থা মাশওয়ারার সাথে কাজ করলে অনেক বিপদ অভিযোগ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়
 

  মাশওয়ারা কি 

  
মাশওয়ারা আল্লাহর হুকুম, নবীদের সুন্নত, মুমিনের সিফত, দ্বীনের জন্য মাশওয়ারা করা ওয়াজিব আর দুনিয়ার জন্য মাশওয়ারা করা  সুন্নাত।
 

মাশওয়ারার আদপ


গোলকার হয়ে বসা, ওযু সহকারে বস , নামাজের সুরতে বসা। আমির নিযুকত করা (আমির –সুস্থ জ্ঞান, বালেগ ও পুরুষ হওয়া)। ডান দিক থেকে রায় নেয়া, নিজের দেওয়া রায়কে আমানত মনে করা, অপর ভা্েয়ের রায় না কাটা, মাশওয়ারার আগে মাশওয়ারা না করা, আমিরের রায়কে মেনে নেওয়া। নিজের রায়ে ফায়সালা  না হলে খুশী বা বেজার না হওয়া।

  মাশওয়ারার উদ্দেশ্য  


সারা আলমের দ্বীনের তাকাজা সামনে রেখে সাথী ভাইদের রায় নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার কাজের জন্য একটি সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা। অথাৎ সকল সাথীর দিলে দ্বীন জিন্দা করার ফিকির পয়দা করা।

 মাশওয়ারার বিষয়বস্তুু ঃ 

         
   ১) নিজে কিভাবে জ্ঞানী গুনি, কর্মঠ, কর্মী, ঈমান ওয়ালা, আমলওয়ালা মোখলেছীন দ্বীনের দ্বায়ী  বনতে পারি।

    ২) আমরা যেভাবে মহল্লা থেকে বের হয়ে এসেছি, কিভাবে এ মহল্লা থেকে নগদ জামাত বের করা যায় তার ফিকির করা।

    ৩) মহল্লায়  যদি মসজিদ আবাদি মেহনত না থাকলে চালু করা, দুবল থাকেলে  জোরদার করা, জোরদার থাকলে এর থেকে ফায়দা নেয়া।


 মাশওয়ারার লাভ ঃ 



দ্বীনের জন্য অল্প সময় চিন্তা ফিকির করা ৬০ থেকে ৭০ বছর নফল এবাদত থেকে উত্তম।মাশওয়ারায়   জোড় মিলমহব্বত পয়দা , খায়ের ও বরকত, বেইজ্জ্বইত হইতে হয় না, আল্লাহ গায়েবী গজব উঠাইয়া নেন, অহীর বরকত, অতিশিঘ্র উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়।

0 comments:

Post a Comment