সালাম - সৌহার্দ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করে
দুনিয়ার
সব জাতির মধ্যে শুভেচ্ছা
বিনিময়ের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ইংরেজ
বা পশ্চিমা সমাজে একজন অপরজনের
সঙ্গে দেখা হলে গুড
মর্নিং, গুড নুন, গুড
আফটার নুন, গুড নাইট
ইত্যাদি সম্ভাষণ করা হয়।
সুপ্রভাত, শুভ দুপুর ইত্যাদির
মাধ্যমে পশ্চিমা সমাজের লোকেরা একে
অন্যকে শুভেচ্ছা জানায়। ভারতীয়
উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় একে
অপরের সঙ্গে দেখা হলে
নমস্তে বলে অভিবাদন জানায়। মুসলমানদের
মধ্যে 'পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় হয় সালামের
মাধ্যমে।' আসসালামু
আলাইকুম আপনার ওপর শান্তি
বর্ষিত হোক এই সম্ভাষণে।
ইসলামে সালাম আদান-প্রদানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সালাম দেওয়া সুন্নতে মোয়াক্কাদা এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে এক মুমিনের সঙ্গে আরেক মুমিনের আত্দিক সম্পর্ক জোরদার হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনদের সালাম আদান-প্রদানে উৎসাহ প্রদান করেছেন। হজরত আবু হুরাইয়া (রা.) বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে পর্যন্ত না ইমানের অধিকারী হবে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন কাজ সম্পর্কে অভিহিত করব না, যা আমল করলে তোমরা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের আদান-প্রদানকে বহুলভাবে প্রসার ঘটাও (মুসলিম শরিফ)। সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে মুসলমানরা একে অন্যের শান্তি কামনা করে। অপর মানুষের জন্য মুমিনদের এই শুভ কামনার কোনো তুলনাই নেই। এই শুভ কামনা পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখে। একজন মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সৌহার্দ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট বড় সবাইকে সালাম দিতেন এবং মুমিনদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সালাম আদান-প্রদান এবং এই অভ্যাসকে আত্দস্থ করার তাওফিক দান করুন।
ইসলামে সালাম আদান-প্রদানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সালাম দেওয়া সুন্নতে মোয়াক্কাদা এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে এক মুমিনের সঙ্গে আরেক মুমিনের আত্দিক সম্পর্ক জোরদার হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনদের সালাম আদান-প্রদানে উৎসাহ প্রদান করেছেন। হজরত আবু হুরাইয়া (রা.) বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে পর্যন্ত না ইমানের অধিকারী হবে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন কাজ সম্পর্কে অভিহিত করব না, যা আমল করলে তোমরা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের আদান-প্রদানকে বহুলভাবে প্রসার ঘটাও (মুসলিম শরিফ)। সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে মুসলমানরা একে অন্যের শান্তি কামনা করে। অপর মানুষের জন্য মুমিনদের এই শুভ কামনার কোনো তুলনাই নেই। এই শুভ কামনা পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখে। একজন মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সৌহার্দ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট বড় সবাইকে সালাম দিতেন এবং মুমিনদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সালাম আদান-প্রদান এবং এই অভ্যাসকে আত্দস্থ করার তাওফিক দান করুন।
সূত্র - মাওলানা
মুহাম্মদ সাহেব আলী, লেখক : ইসলামী
গবেষক। bd-pratidin.com
0 comments:
Post a Comment