গিবত
গিবত একটি সামাজিক ব্যাধি,
( নিচে বিশিষ্ট আলিম এ দ্বীন আবদুর রাজ্জাকের ভিডিও দেয়া হল গিবত সম্পর্কে) গিবত আরবি শব্দ। শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা। অন্যের দোষত্রুটি প্রকাশ করা। কারও অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষ অন্যের কাছে বলাযা সে অপছন্দ করে। কিংবা পরে শুনলে সে মনে কষ্ট পাবে- তা- ই গিবত। মানুষের যতগুলো বদ অভ্যাস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গিবত। গিবত একটি মারাত্মক অপরাধমূলক কাজ। যা মুসলমানদের জন্য আল্লাহ ও তার রাসূল হারাম করেছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন- 'হে মুমিনগণ! তোমরা বেশি বেশি ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয়ই কতক ধারণা গুনাহ এবং গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না। আর তোমাদের কেউ যেন কারও পেছনে গিবত না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? অথচ তোমরা তা ঘৃণাই কর। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।' (সূরা আল হুজরাত :১২) অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন- 'আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা ভালোবাসেন না, তবে কারও ওপর জুলুম করা হয়ে থাকলে অন্য কথা। জেনে রেখ, আল্লাহ সব কিছু শুনেন ও জানেন।' (সূরা নিসা : ১৪৮)
গিবত সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে- হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন গিবত হলো ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্দক। সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) গিবত কি করে ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্দক?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোনো ব্যক্তি যদি জেনা করার পর তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। কিন্তু গিবতকারীকে যার গিবত করা হয়েছে, সে যদি মাফ না করে তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন না। (রায়হাকি : ৬৩১৫) অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করিম (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, এ দুটি কবরের অধিবাসীকে আজাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এমন কোনো বড় গুনাহের কারণে তাদের আজাব দেওয়া হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ তাদের দুজনের মধ্যে একজন গিবত বা পরনিন্দা করে বেড়াত এবং অন্যজন প্রস্রাব থেকে পবিত্রতার ব্যাপারে সাবধান থাকত না। বর্ণনাকারী বললেন- এর পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছের তাজা ডাল ভেঙে দুই টুকরা করে দুই কবরে পুঁতে দিলেন এবং বললেন : হয়তো এ দুটি ডাল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের আজাব হালকা করা হবে। (বুখারি) অতএব আমাদের সবার উচিত এ ধরনের নিন্দনীয় তথা গিবত বা পরনিন্দা থেকে বিরত থাকা।
আরও জানতে নীচের ভিডিওটি দেখি --
( নিচে বিশিষ্ট আলিম এ দ্বীন আবদুর রাজ্জাকের ভিডিও দেয়া হল গিবত সম্পর্কে) গিবত আরবি শব্দ। শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা। অন্যের দোষত্রুটি প্রকাশ করা। কারও অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষ অন্যের কাছে বলাযা সে অপছন্দ করে। কিংবা পরে শুনলে সে মনে কষ্ট পাবে- তা- ই গিবত। মানুষের যতগুলো বদ অভ্যাস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গিবত। গিবত একটি মারাত্মক অপরাধমূলক কাজ। যা মুসলমানদের জন্য আল্লাহ ও তার রাসূল হারাম করেছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন- 'হে মুমিনগণ! তোমরা বেশি বেশি ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয়ই কতক ধারণা গুনাহ এবং গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না। আর তোমাদের কেউ যেন কারও পেছনে গিবত না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? অথচ তোমরা তা ঘৃণাই কর। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।' (সূরা আল হুজরাত :১২) অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন- 'আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা ভালোবাসেন না, তবে কারও ওপর জুলুম করা হয়ে থাকলে অন্য কথা। জেনে রেখ, আল্লাহ সব কিছু শুনেন ও জানেন।' (সূরা নিসা : ১৪৮)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোনো ব্যক্তি যদি জেনা করার পর তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। কিন্তু গিবতকারীকে যার গিবত করা হয়েছে, সে যদি মাফ না করে তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন না। (রায়হাকি : ৬৩১৫) অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করিম (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, এ দুটি কবরের অধিবাসীকে আজাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এমন কোনো বড় গুনাহের কারণে তাদের আজাব দেওয়া হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ তাদের দুজনের মধ্যে একজন গিবত বা পরনিন্দা করে বেড়াত এবং অন্যজন প্রস্রাব থেকে পবিত্রতার ব্যাপারে সাবধান থাকত না। বর্ণনাকারী বললেন- এর পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছের তাজা ডাল ভেঙে দুই টুকরা করে দুই কবরে পুঁতে দিলেন এবং বললেন : হয়তো এ দুটি ডাল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের আজাব হালকা করা হবে। (বুখারি) অতএব আমাদের সবার উচিত এ ধরনের নিন্দনীয় তথা গিবত বা পরনিন্দা থেকে বিরত থাকা।
আরও জানতে নীচের ভিডিওটি দেখি --
0 comments:
Post a Comment