তাবলিগ ছয় নম্বর - ঈমানের জন্য জানা জরুরী
আমি যদি আল্লাহ
তালার কাছে
কবুল হতে
চাই, আল্লাহ
তায়ালা পদ,
ডিগ্রি বা
অন্য কোন
যোগ্যতা দেখে
না।
আল্লাহ তায়ালা
দেখেন গুন। গুনগুলির
মধ্যে বড়
গুন হইল
ঈমানের গুন।
ঈমান ঃ - হুজুর(সাঃ) এর উপর আস্থা থাকার কারণে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে যেসব খবর নিয়া আসিয়াছেন তাহা বিনা দ্বিধায় মানিয়া লওয়ার নাম হইল ঈমান।
ঈমানী কালেমা হইতেছে
ঃ লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ। অর্থ হচ্ছে
আল্লাহ ছাড়া
কোন মাবুদ
নাই, হযরত
মুহম্মদ(সাঃ)
তাঁর প্রেরিত
রাসুল।
ঈমানের উদ্দেশ্যঃ
১. দীলের একীন
সহী করা,
দীল হইতে
মাখলুকের একীন
বাহির করিয়া
একমাত্র আল্লাহ
পাকের একীন
দীলে বসাইতে
হইবে।
২. তরীকার একীন
সহী করা
করা - হযরত
মুহম্মদ(সাঃ) এর তরীকায়ই শান্তি
ও কামিয়াবীর
একীন দীলে
বসাইতে হইবে।
৩. জজ্বার একীন
সহী করা
- দুনিয়া সুখের
জায়গা না,
দুঃখের জায়গা
না।
চিরস্থায়ী সুখের জায়গা হল জান্নাত,
আর চিরস্থায়ী
দুঃখের
জাহান্নাম।
ঈমানের লাভ ঃ
যদি কেহ জাররা
পরিমান ঈমান
নিয়া যায়,
তাহলে সে
দুনিয়ার সমান
জান্নাত পাইবে। যতদিন
পর্যন্তÍ দুনিয়ার
মধ্যে একজন
ঈমানওয়ালা থাকিবে ততদিন পর্যন্তÍ দুনিয়া
ধ্বঃস হইবে
না।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ
১. দাওয়াত দিতে
হইবে নিজের
জন্য।
দায়ী যেই
সেই জিনিসের
হাকীক্কত আল্লাহ্তায়্লা
তাহার জিন্দিগীতে
আনিয়া দিবেন।
২. যেখানে মাখলুক
হইতে হয়
এই বিশ্বাস
বা কথা
হয় সেখানে
গিয়া আল্লাহ
পালেন, এই
কথার দাওয়াত
দিতে হইবে।
৩. হুজুর(সাঃ)
এর সুন্নতকে
জিন্দা করিবার
জন্য দাওয়াত
দিতে হইবে। যেই
রাস্তা দিয়া
সুন্নত ছুটিবে
সেই রাস্তা
দিয়া বিদ্য়াত
ঢুকিবে।
বিয়ে করা
সুন্নত নয়,
বরং সুন্নত
তরীকায় বিয়ে
করা সুন্নত। সুন্নতের
উপর চলিলে,
ক) মুমিনের
দীলে মুহব্বত
পয়দা হয়,
খ) কাফেরদের
দীলে ভয়
পয়দা হয়,
গ) রুজিতে
বরকত হয়,
ঘ) দ্বীনের
উপর টিকে
থাকবে।
৪. দুনিয়ার সুখ
ও দুঃখ
ক্ষনস্থায়ী। আখিরাতের সুখ ও
দুঃখ চিরস্থায়ী। দুনিয়ার
জজ্বা দিল
হইতে বাহির
করিয়া আখেরাতের
জজ্বা
পয়দা করিতে হইবে। মনের
জজ্বা দীল
হইতে বাহির
করিয়া আমলের
জজ্বা পয়দা
করিতে হইবে।
মশক ঃ
১. মসজিদে, ঘরে
হালকা বানাইয়া
আল্লাহ তায়ালার কুদরতের
আলোচনা করিতে
হইবে।
আল্লাহতায়ালার কুদরত তিন জাগায় আছে।
ক) কোরান শরীফে
আল্লাহ তায়ালা
কুদরতের কথা
আছে।
খ) সারা কায়েনাতে
আল্লাহ তায়ালার
কুদরত রহিয়াছে।
কায়েনাতের মধ্যে আল্লাহ
তায়ালার যেসব
কুদরত আছে,
সেসব কুদরতের
আলোচনা না
করিলে মানুষের
কায়েনাতের পুজারী হইবে।
গ) মানুষের শরীরে
আল্লাহ তায়ালার
কুদরত আছে।
২. আম্বিয়া (আঃ)
গন আসবাবকে
এনকার করার
এবং আল্লাহ
তায়ালার
কুদরতের উপর বিশ্বাস করার কারনে
আল্লাহ তায়ালা
সেসব গায়েবী
নুসরত করেছেন
সেগুলির মোজাকারা
করিলে ঈমান
জমাইয়া দিবেন।
৩. সাহাবায়ে কেরাম
(রাঃ) গন
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদার
উপর পূর্ন
একীন করার
কারনে যেসব
গায়েবী নুসরত
করেছেন তাহার
আলোচনা করিতে
হইবে।
৪. কোরান ও
হাদিসের আলোকে
ঈমানের আলামত
যাচাই করতে
হবে।
ভাল কাজ
করিলে যদি
ভাল লাগে,
আর খারাপ
কাজ করিলে
যদি খারাপ
লাগে, এটাই
ঈমানের আলামত। মসজিদে
থাকিলে যদি
ভাল লাগে
এটাও ঈমানের
আলামত।
দোয়াÑ কামেল
ঈমানের জন্য,
সাহাবাওয়ালা ঈমানের জন্য এবং মউতের
সময় এখলাসের
কালেমা নসীব
হওয়ার
জন্য দোয়া করিতে হইবে।
নামাজ
আল্লাহ তায়ালার
খাজানা হইতে লওয়ার মাধ্যম হইল
নামাজ।
আর সর্বশ্রেষ্ঠ
আমল হইল
নামাজ।
আল্লাহ তায়ালার কুদরত
হইতে সরাসরি
ফায়দা হাসিল
করিবার উপায়
হইল, আল্লাহ
পাকের
সকল হুকুম হুজুর (সাঃ) এর
তরীকায় পুরা
করা।
এর মধ্যে
সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ন এবং বুনিয়াদি আমল
হইল নামাজ।
লাভ - নিশ্চয়ই নামাজ
যাবতীয় নিলর্জ্জ
ও অশোভনীয়
কাজ হইতে
বিরত রাখে। দীল
ও দেমাগকে
দুনিয়া হইতে
খালি করিয়া
এবং জিসিমকে
মাখলুক হইতে
খালি করিয়া
নামাজ পড়িয়া
যাহাই চাইবে
তাহাই পাইবে।
হাসিল করিবার তরিকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ
১. খশু-খুজ
ওয়ালা নামাজের
উপর মজবুত
হওয়ার জন্য
বেশী বেশী
দাওয়াত দিতে
হইবে।
২. নামাজ হইল
জান্নাতের চাবি, আর ওজু হইল
নামাজের চাবি। কাজেই
ওজুর ৪টি
ফরজ ও
১৮টি সুন্নতের
দাওয়াত দিতে
হইবে।
৩. একদিন হুজুর
(সাঃ) মসজিদে
নবীতে বসা
ছিলেন।
এমন সময়
একজন সাহাবী
আসিয়া নামাজ
পড়িয়া আসিয়া
হুজুর (সাঃ)
সালাম করিলেন। হুজুর
(সাঃ) বলিলেন
তুমি আবার
নামাজ পড়
নাই, নামাজ
পড়িয়া আস। সেই
সাহাবী আবার
নামাজ পড়িয়া
আসিলে, আবার
হুজুর(সাঃ)
আবার নামাজ
পড়িয়া আসিতে
বলিলেন।
ঐ সাহাবী
আর একবার
নামাজ পড়িয়া
আসিলে হুজুর
(সাঃ) আবার
বলিলেন, তুমি
আবার নামাজ
পড় নাই,
নামাজ পড়িয়া
আস।
তখন ঐ
সাহাবী বলিলেন,
আমি এর
চেয়ে ভালভাবে
নামাজ পড়িতে
পারি না। আপনি
আমাকে নামাজ
শিখাইয়া দিন। হুজুর
(সাঃ) বলেন,
যখন তুমি
কিরাম করবে
তখন সোজাভাবে
দাঁড়াও ও
যতটুকু পার
ধ্যানসহ পড়,
তারপর রুকু,
কওমা, সিজদা
ও জলসা
শান্তভাবে করো।
৪. হযরত হোযায়ফা
(রাঃ) একদিন
দামেস্কের মসজিদে বসা ছিলেন।
এমন সময়
কয়েকজন লোক
নামাজ পড়ে
যাওয়ার সময়
হযরত
হোযায়ফা (রাঃ) লোকটিকে জিজ্ঞাসা করিলেন,
আপনি কতদিন
যাবত এইভাবে
নামাজ পড়েন
? উত্তরে লোকটি
বলিলেন ৪০
বছর যাবত। তখন
হযরত হোযায়ফা
(রাঃ) লোকটিকে
বলিয়াছিলেন আপনি কি শোনেন নাই
যে, যে
ব্যক্তি তাড়াতাড়ি
নামাজ পড়ে,
সে কাল
হাশরের ময়দানে
হুযুর (সাঃ)
এর দ্বীনের
উপর উঠতে
পারবে না।
মশক ঃ - নামাজের
দুইটি দিক
আছে।
অযু হতে
সালাম পর্যন্ত
বাহিরের দিক। যাহার
প্রত্যেক ফরজ,
ওয়াজিব ও
সুন্নত সমূহের
লাভ জানিয়া
ধ্যানের সহিত
নামাজ আদায়
করিতে হইবে। নামাজের
ভিতরে ৪টি
রোকন আছে
- কিয়াম, রুকু,
সিজদা ও
বৈঠক।
প্রত্যেক রোকনে
তিনবার করিয়া
এই কথা
মনে করিতে
হইবে যে,
আল্লাহতায়ালা আমাকে দেখিতেছেন। আমার
নামাজ যেন
কবুল হয়
তাহার জন্য
মেহনত করিতে
হইবে।
দোয়া ঃ - হাক্কিকতের
নামাজের জন্য
দোয়া করিতে
হইবে।
হযরত ইব্রাহিম
(আঃ) ভালভাবে
নামাজ পড়িবার
জন্য দোয়া
করিয়াছিলেন।
এলেম
আল্লাহ তায়ালার মহান
সত্তা হইতে
সরাসরি ফায়দা
হাসিল করিবার
জন্য আল্লাহ
তায়ালার সকল
হুকুম সমূহ
হযরত মুহম্মদ
(সাঃ) এর
এর তরিকায়
পালন করিবার
উদ্দেশ্যে এলেম হাসিল করিতে হইবে। ইবাদত
কবুল হওয়ার
জন্য
এলেম ও এখলাস শর্ত।
যার এলেম
নাই সে
বড় মূর্খ। আর
যে জানে
কিন্তুু আমল
করে না
সে জালিম।
উদ্দেশ্য ঃ - এলেম এলাহীল
এক্কীন বা
কামিয়াবীর এক্কীন দীলে পয়দা করিতে
হইবে।
এই বিষয়ে যাচাই
করা যে,
আল্লাহ তায়ালা
আমার নিকট
কি চাহিতেছেন?
এলেমের নূর
আমাকে আমলে
খাড়া করিবে। এলেমে
এলাহী কি
? যে এলেম
আল্লাহ তায়ালা
চান, তাহাই
এলমে এলাহী। আর
যে মাখলুক
চায়, তাহা
হইলা দুনিয়াবী
কৌশল।
যে এলেমের
সাথে কবরের ৩টি প্রশ্নের সম্পর্ক
আছে তাহাই
হইল, এলমে
দ্বীন।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ এলেমের দাওয়াত
না দিলে
জেহালত পদয়া
হইবে।
এলেম অর্জন
করিয়া বসিয়া
গেলেও জেহালত
হইবে।
এই জন্য
৪ লাইনে
মেহনত করিতে
হইবে।
১. মাসায়লে এলেমের
জন্য আলেমদের
কাছে যাওয়া,
২. ফাজায়েলে
এলেমের জন্য
তালিমের হালকায়
বসা, ৩.তরীকার জন্য
ইনফিরাদী ভাবে
হায়াতুস সাহাবা
পড়া , ৪.
সিফতের জন্য
মুন্তাখাব হাদিস পড়া
মশক ঃ উপরের ৪
লাইনের মেহনত
করতে হবে।
দোয়া ঃ হাক্কীকতের এলেমের
জন্য আল্লাহ
তায়লার কাছে
দোয়া করিতে
হইবে।
জিকির
আল্লাহ তায়ালার
সকল হুকুম
সমূহ হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ) এর তরীকায় আল্লাহর
ধ্যানে আদায়
করার নামই
হইল জিকির। জিকিরের
উদ্দেশ্য হইল এহসান পয়দা
করা ও
গাফ্লত দুর
করা।
এহসান হইল,
আমি আল্লাহকে
দেখিতেছি ও
আল্লাহ আমাকে
দেখিতেছেন এই খেয়াল করা।
লাভ ঃ - কোন জান্নাতি জান্নাতে
প্রবেশের পর
আর কোন
জিনিসের জন্য আফসোস
করিবে না,
শুধু এই
সময় ছাড়া,
যে সময়
দুনিয়াতে সে
আল্লাহর
জিকির ছাড়া অতিবাহিত করিয়াছেন।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ -আমি যদি
জিকিরের দাওয়াত
না দেই,
তাহলে আমার
অন্তরে গাফলত
পয়দা হইবে। তারুফ,
তাসবিহ্ ও
তাহমিদ বলিয়া
দাওয়াত দিতে
হইবে।
মশক ঃ গাফলতের সাথে
জিকির করিলে
আল্লাহর সাথে
দুরুত্ব পয়দা
হইবে।
গাফলতের সাথে
জিকির করা
বিদআতি।
রোজানা কোরান
তেলাওয়াত, তিন তাসবিহ্ আদায় ও
ক্ষেত্র বিশেষে
মাসনুন দোয়া
আল্লাহর ধ্যান
ও আমলের
লাভ সামনে
রাখিয়া দোয়া
করা।
সব সময়
আল্লাহর যে
কোন সিফাতী
নাম মুখে
রাখা।
দোয়াঃ আল্লাহকে ভুলিয়া
যাওয়ার নাম
দুনিয়া।
এইজন্য ধ্যান
ওয়ালা জিকিরের
জন্য দোয়া
করিতে হইবে।
একরামুল মুসলেমিন
একরাম হইল মুসলমান
ভাইয়ের কিম্মত
বুঝিয়া নিজের
হককে দাবাইয়া
রাখিয়া তাহার
হক আদায়
করা।
আল্লাহ তায়ালার
বান্দার সহিত
সর্ম্পকিত আল্লাহর তায়লার হুকুম সমূহ
হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর
তরীকায় পাবন্দী
সহকারে পুরা
করিতে হইবে
ও উহাতে
মুসলমানদের মর্যাদার প্রতি বিশেষ খেয়াল
রাখিতে হইবে। আমল
সহীহ্ হইবে
এলেমের দ্বারা,
সুন্দর হইবে
জিকির দ্বারা,
হেফাজত হইবে
একরাম এবং
কবুল এখলাস
দ্বারা।
উদ্দ্যেশ্য ঃ হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ) এর হুসনে আখলাক
নিজের মধ্যে
পয়দা করা। সবচেয়ে
বড় একরাম
হইল কোন
মুসলমান ভাইয়ের
দোষ ঢাকিয়া
রাখা ।
লাভ ঃ যে ব্যক্তি অন্যের
দোষ ঢাকিয়া
রাখিবে, আল্লাহ
তায়ালা তাহার
দোষ ঢাকিয়া
রাখিবেন।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ কার কি
হক - মায়ের
কি হক,
বাবার কি
হক, বাচ্চার
কি হক,
বিবির কি
হক, প্রতিবেশীর
কি হক
তাহা লিষ্ট
করিয়া
আদায়ের দাওয়াত দিতে হবে।
মশক ঃ বাবা মার
কদর করা,
ছোটদের ¯েœহ করা,
বড়দের সম্মান
করা, আলিমদের
তাজিম করা,
নিজকে সবসময়
ছোট মনে
করা।
দোয়া - সব
সময় যেন
মুসলমানদের হক আদায় করিতে পারি
তাহার জন্য
আল্লাহর কাছে
দোয়া করিতে
হইবে।
একলাস
এখলাসের দ্বারা আমল
আল্লাহর দরবারে
কবুল হয়। আল্লাহ
তায়ালার হুকুম
সমূহ হযরত
মুহম্মদ (সাঃ)
এর তরীকায়
একমাত্র আল্লাহর
রাজীর জন্যই
করিতে হইবে। প্রত্যেক
কাজে দেখিতে
হইবে যে,
কেন করিতেছি এবং কাহার উদ্দেশ্যে
করিতেছি।
নিয়ত ছাড়া
আমল নাই
আর এহতেসাব
ছাড়া আমলের
কোন আজর
নাই।
লাভ ঃ - এখলাসের
সাথে অল্প
আমল করিলেও
বদলা অনেক
বড়।
বিনা এখলাসে
অধিক আমলে
কোন বদলা
হইবে না।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে
মেহনত-দাওয়াত,
মশক ও
দোয়া
দাওয়াত ঃ প্রত্যেক
আমলে নিয়ত
যাচাইয়ের দাওয়াত
দিতে হইবে। সাহাবীদের
এখলাসের ঘটনাসহ
দাওয়াত দিতে
হইবে।
মশক ঃ - নামজের শুরুতে ও
শেষে এবং
অন্যান্য আমলের
শুরুতে, মাঝে
এবং শেষে
নিয়তকে যাচাই
করা।
রিয়া থেকে
বাঁচিবার জন্য
৪ (চার)
টি আমল
করিতে হইবে।
১. ২৪
ঘন্টায় এমন
জায়গায় এমন
আমল করা,
যাহা আল্লাহ
ছাড়া কেউ
জানে না।
২. নিজের
বা অপরের
ভাল-মন্দ
যাহা কিছু
হয়-খবর
শুনিলে আল্লাহর
পক্ষ থেকে
হয়েছে বলা।
৩. নিজের
দোষ তালাশ
করা।
অন্যেও দোষের
মধ্যে গুন
খুজিতে থাকা
আর নিজের
গুনের মধ্যে
দোষ খুজিতে
থাকা।
৪. আমরা
দুনিয়ায় বাচিয়া
আছি শ্রেফ
আল্লাহকে রাজী
করিবার জন্য- প্রতিদিন
৩ বার
এই কথা
মনে করা।
দোয়া ঃ সকল
কাজ আমি
যেন আল্লাহকে
রাজীর জন্য
করিতে পারি
তাহার জন্য
আল্লাহর কাছে
দোয়া করা।
দাওয়াত ও তাবলিগ
নিজের এক্কীন ও
আমলকে সহী
করা এবং
সকল মানুষকে
সহীহ এক্কীন
ও আমলের
উপর আনার
জন্য রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) এর
মেহনতের তরীকাকে
সারা বিশ্বে
জিন্দা করিরবার
চেষ্টা করিতে
হইবে।
লাভ ঃ স্ত্রী,
মাল, আওলাদ
ও প্রতিবেশী
সম্পর্কিত হুকুম পালনে যেসব ক্রুটি
বিচ্যুতি ও
গুনাহ হয়-
নামাজ, সদগা,
আমরে বিল
মারুফ ও আনিল
মুনকার উহার
কাফ্ফারা হইয়া
যায়।
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক ও দোয়া
দাওয়াত ঃ আমার জান-মাল আল্লাহ
তায়ালা জান্নাতের
বিনিময়ে খরিদ
করিয়াছেন।
আমার জান
আল্লাহর, আমার
মাল আল্লাহর।
এই জান-মাল
দুনিয়াতে দ্বীন বুলন্দ
হওয়ার জন্য
খরচ করিবার
দাওয়া দিতে
হইবে।
সাহাবায়ে কেরাম
(রাঃ) গন
সর্ব হালতে অর্থাৎ
জোয়ান, বার্ধ্যক্যে,
সুস্থ্যতায়- অসুস্থতায়, গরমে ঠান্ডায় সাদী
বা রোখসাতিতে,
খেজুর পাকা
মওসুমে দ্বীনের তাকাজার
সাথে সাথে
লাব্বায়িক বলিয়াছেন।
মশক ঃ জীবনের প্রথম সুযোগে
৩ (তিন)
চিল্লা
(চার মাস) দিয়া এই কাজ
শিখিতে হইবে। তাছাড়া
বছরে ৩
চিল্লা, মাসে
১০ দিন
ও দৈনিক
৮ ঘন্টা
মেহনত করা
চাই এবং
৫ কাজের
এহতেমাম করিতে
হইবে।
মসজিদ ওয়ার
জামাতে থেকে
দাওয়াত তালীম
এস্তেগবাল এর আমলে নিজকে জড়িয়ে
রাখতে হবে।
দোয়া - নিজের জন্য দোয়া করা। বিশেষ করে আরববাসীদের জন্য দোয়া করা-তাহাদের মধ্যে সাহাবা (রাঃ) গনের রক্ত আছে।
দাওয়াতের কাজ করিলে ৫টি উপকার হয় দাওয়াতে কাজ না করিলে ৬টি অপকার হয়
১. আল্লাহ পাক
মহ্বত করেন ১.
গায়েবী নিজাম
বিপক্ষে চলিয়া
যায়
২. দোয়া কবুল
করেন ২. দোয়া কবুল হয়
না
৩. আল্লাহ পাক
মাফ করিয়া
দিবেন ৩. রুজির
বরকত থাকিবে
না
৪. আল্লাহ পাক
সম্মানিত রিজিক
দিবেন ৪. মুসলমানদের
মধ্যে মহব্বতের
পরিবর্তে
দুষমনি পয়দা হইবে
৫. আল্লাহ পাক
দীলে ভয়
পয়দা করিবেন ৫. . .
. . . . . . বেইজ্জত হইবে
৬. মহিলারা
পুরুষের উপর
কর্তৃত্ব করিবে।
**** শেখ শহিদুল ইসলাম ভাইয়ের সৌজন্যে *******
0 comments:
Post a Comment