Thursday, April 23, 2015

তাবলিগ মুজাকারা

তাবলিগ মুজাকারা

জামাতে থাকা অবস্থায় জরুরী  কাজসমূহ 

আসসালামুআলাইকুম। আমরা যারা নতুন তাবলিগে সময় দিয়েছি। অনেকে নিম্মলিখিত বিষয়বস্তুুগুলি জানি না । যা আমাদের জানা খুবই জরুরী। এই গুরুত্ব অনুধাবন করে , আমি বিষয়বস্তুগুলি আমার ব্লগে লোড দিয়েছি।
আপনার উপকৃত হলে  এবং এর ব্যপক প্রচার হলে সবাই উপকৃত হবে। মোদ্দাকথা আল্লা ভোলা মানুষগুলো আল্লাহর নাখে জোড়ানো বা আল্লাহর পরিচয় চিনতে পারলেই ,  এটাই স্বার্থকতা।
এখানে আছে সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তুু ও লিঙ্ক সমূহ  ঃ (বিস্তারিত ১২০ টি পয়েন্ট নীচে )

*************       বিস্তারিত ১২০ টি পয়েন্ট নিম্মে দেওয়া হইল***********

তাবলিগের মোজাকারা ঃ

১.  মসজিদে ঢোকার আদপ ঃ সুন্নাত ৫টি
ক) ডান পা দিয়ে ঢোকা
খ) বিসমিল্লাহ বলা
গ) দরুদ শরীফ পড়া      
ঘ) দোয়া পড়া
    ঙ) বিসমিল্লাহী ওয়াচছালাতু আচ্ছালামুআলামু আলা রাসুীলল্লিাহি, আল্লাহুমাফতাহলী আবওয়াবা রাহ্ মাতিকা
২. মসজিদ হতে বাহির হবার দোয়া ঃ সুন্নাত ৫টি
ক) বিসমিল্লাহ বলা   
খ) বাম পা দিয়ে বাহির হওয়া
গ)দোয়া পড়া
ঘ)ডান পায়ের জুতা আগে পরা
দোয়া পড়া - বিসল্লিাহী ওয়াচছালাতু আচ্ছালামুআলামু আলা রাসুীলল্লিাহি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আছ আলুকা মিন ফাদলিকা
০৩. জরুরী কাজ ঃ
ক) চারটি কাজ বেশী বেশী করা ঃ  দাওয়াত, তালিম, ইবাদত/নামাজ, খেদমত/ জিকির
খ) ৪ টি কাজ কম কম করা ঃ  খাবারে অতিরিক্ত সময় না লাগানো, ঘুমে অতিরিক্ত সময় না লাগানো, মসজিদের বাহির কম হওয়া, দুনিয়াবী কথা কম বলা।
গ) ৪ টি কাজ একেবারে না করা ঃ ছোয়াল করা, ছোয়ালের ভান করা, বিনা এজাজতে কারও মাল নেয়া, অপচয় করা
ঘ) জরুরী ১২ টি কাজের সাথে আরও ৪টি কাজ করা দরকার - চার দেয়ালের মধ্যে নিজকে আবদ্ধ রাখা, আমিরের কথা মান্য করা, ইনফেরাদী আমল নিজ গরজে আদায় করা, প্রতিটি এস্তেমায়ী আমলে তাকবিরে উলার সাথে জুড়তে হবে।
০৪. এস্তেমায়ী আমল ১০ (দশ) টি ঃ
সফর, মনজিল, মাশওয়ারা, তালিম, নামাজ, খানা, গাস্ত, বয়ান, মাজাকারা, ঘুম।
০৫.  মসজিদের ৫ কাজ  ঃ  
    ১) প্রতিদিন দুই তালিম - মসজিদে ও ঘরে, 
২) সপ্তাহে ২ গাস্ত (একদিন নিজ মহল্লায় ও অন্যদিন অপর মহল্লায়),
৩) প্রতিদিন আড়াই ঘন্টা ফিকির,
৪) মাসে ৩ দিন লাগানো,
৫) প্রতিদিন মাশওয়ারা মসজিদে ও ঘরে।
০৬. খেদমত ৪ প্রকার ঃ 
১) আমিরের খেদমত, 
২) সাথীদের খেদমত,
৩) দুর্বল ও রোগীদের খেদমত,
৪) নিজের খেদমত।


০৭.  মাশওয়ারা (পরামর্শ ) ঃ
 ক) মাশওয়ারা কি ? -  মাশওয়ারা আল্লাহর হুকুম, নবীদের সুন্নত, মুমিনের সিফত, দ্বীনের জন্য মাশওয়ারা করা ওয়াজিব আর দুনিয়ার জন্য মাশওয়ারা করা  সুন্নাত।
 খ)  মাশওয়ারার উদ্দেশ্য ঃ  সারা আলমের দ্বীনের তাকাজা সামনে রেখে সাথী ভাইদের রায় নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার কাজের জন্য একটি সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা। অথাৎ সকল সাথীর দিলে দ্বীন জিন্দা করার ফিকির পয়দা করা।
 গ) মাশওয়ারার বিষয়বস্তুু ঃ নিজে কিভাবে জ্ঞানী গুনি, কর্মঠ, কর্মী, ঈমান ওয়ালা, আমরওয়ালা মোখলেছীন দ্বীনের দ্বায়ী  বনতে পারি।
    ২) আমরা যেভাবে মহল্লা থেকে বের হয়ে এসেছি, কিভাবে এ মহল্লা থেকে নগদ জামাত বের করা যায় তার ফিকির করা।
    ৩) মহল্লায়  যদি মসজিদ আবাদি মেহনত না থাকলে চালু করা, দুবল থাকেলে  জোরদার করা, জোরদার থাকলে এর থেকে ফায়দা নেয়া।
ঘ) মাশওয়ারার লাভ ঃ জোড় মিলমহব্বত পয়দা , খায়ের ও বরকত, বেইজ্জ্বইত হইতে হয় না, আল্লাহ গায়েবী গজব উঠাইয়া নেন, অহীর বরকত, অতিশিঘ্র উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়।
০৮. তালীম ৩ প্রকার ঃ  
ক) কোরানের তালিম,
খ) কিতাবী তালিম,
গ) ছয় নম্বরের মোজাকার।
০৯. তালিমের ৩ টি জিনিষ ঃ
ক) উদ্দেশ্য, খ) তালিমের লাভ, গ) আদব
    ক) তালিমের উদ্দেশ্য ঃ আল্লাহতালার ওয়াদা ও ওয়াদিও একিন দিলে পয়দা করা। দিলে জ্ঞান ও এলেমের তলব পয়দা করা।
    খ) তালিমের লাভ ঃ ১) মুর্খতা, অজ্ঞতা , জেহালিয়াত দুর হয়   ২) আমলের শক পয়দা হয়, ৩) আমলের সাথে এলেমের সর্ম্পক নাজিল হয়, ৪) খারাপ আমলের প্রতি ঘৃনা হয়, ৫) ছকিনা অবতীর্ন হয়, ৬) ওহীর বরকত পাওয়া যায়, ৭) ফেরেশতারা উক্ত স্থান বেষ্টন করিয়া থাকে, ৮) আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের মজলিশে আলোচনা করেন।
গ)  তালিমে  বসার আদব ঃ  ওযু করে নেয়া, সম্ভব হলে খুশবু লাগানো, গোলাকার হয়ে গায়ে গায়ে লেগে বসা, আত্তাহিয়াতুর সুরতে বসা, আমালের নিয়তে বসা, মোজাহাদার  সঙ্গে বসা, দিলকে খালী করে বসা, জরুরতকে দাবিয়ে বসা।
     তালীম শুনার আদব ঃ   দিলকে খালী করে শুনা, মুতাকাল্লিমের দিকে তাকিয়ে শুনা, দিলের কানে শুনা, আমলের নিয়তে শুনা, অন্যের নিকট পৌঁছানোর নিয়তে শুনা, আল্লাহ পাকের নাম আসলে আল্লাজাল্লাশানুহু বলা, আমাদের প্রিয় নবীর নাম শুনলে সাল্লেল্লা হুআলাইয়ে সাল্লাম বলা, পুরুষ সাহাবাগনের নাম শুনলে রাদিআল্লাহু তায়’লা আনহু বলা, মহিলা সাহাবীগনের নাম আসলে রাদিআল্লাহু তায়’লা আনহা বলা, তিন বা ততোধিক নাম আসলে পুরুষের বেলায়  আনহুম আর মেয়েদের বেলায়  আনহুমা বলা, তাবেঈন/তাবে - তাবেঈনদের/ পীর বুজুর্গদের নাম আসলে রাহ মাতুল্লাহি আলাইয়ে বলা, আর জীবিত পীর বুজুর্গদের নাম আসলে দামার্ত বারাকাতুহু বলা, নবীগন ও ফেরেশতাদের নাম আসলে আলাইহিস সালাম বলা।
 ১০. সারা বছরে মোট ৯ টি কিতাবের তালীম করা হয় ঃ  ফাজায়েলে কুরআন, ফাজায়েলে নামাজ, ফাজায়েলে তাবলীগ, ফাজায়েলে জিকির, ফাজায়েলে রমজান, হেকায়েতে সাহাবা, পুস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ, ফাজায়েলে সাদাকাত, ফাজায়েলে হজ্জ্ব।
১১. গাস্তের অর্থ ঃ দ্বীনের কাজে ঘোরাফেরা করা।
    গাস্তের উদ্দেশ্য ঃ আল্লাহ তায়ালার বে-তলব বান্দার অন্তরে তলব পয়দা করা।
    গাস্ত ৫ প্রকার ঃ  ক) খুশুশী গাস্ত, খ) তালিমী গাস্ত, গ) তাসকিলি গাস্ত, ঘ) উমুমী গাস্ত, ঙ) উসুলী গাস্ত।
 ১২. পুরুষের দায়েমী ফরজ ২টি ঃ সব সময় ইমানী হালতে থাকা, সতর ঢাকিয়া রাখা, নিজের পরিবারকে পর্দার মধ্যে রাখা
 ১৩. মহিলাদের দায়েমী ফরজ ৫ টি ঃ  সব সময় ইমানী হালতে থাকা, সতর ঢাকিয়া রাখা(সর্বশরীর), পর্দা করা, স্বামীর মাল হেফাজত করা, ছোট আওয়াজে কথা বলা ।
 ১৪. পুরুষের দায়েমী সুন্নত ঃ মাথা ঢেকে রাখা, ২ ধরনের চুল কাটা, গোঁফ ছোট রাখা, মেছওয়াক করা, দাড়ি লম্বা রাখা , ঢিলাঢালা সুন্নতি জামা পরা
 ১৫. মেয়েদের দায়েমী সুন্নত ঃ ১)মাথার চুল লম্বা রাখা, ২) চুল সুন্দর করিয়া রাখা, ৩) মেছওয়াক করা, ৪) হাত-পায়ের নোখ কাটা, ৫) গোপন অঙ্গেও লোম পরিস্কার করা, ৬) ঢিলা ব্যবহার করা, ৭) হাফেজ নেফাজে পট্টি ব্যবহার করা।
১৬. ওযুর ফরজ ঃ ৪ টি   ঃ  ১) মুখ মন্ডল ধৌত করা, ২) দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধোয়া, ৩) মাথা মাসেহ করা (কমপক্ষে চার ভাগের ১ ভাগ), ৪) দুই পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধোয়া।
১৭. গোছলের ফরজ ৩ টি ঃ ১) গড়গড়া করে কুলি করা, ২) নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছানো, ৩) সমস্ত শরীর উত্তমরূপে ধৌত করা।
১৮. তায়াম্মুমের ফরজ ৩টি ঃ  ১) নিয়ত করা, ২) মুখমন্ডল মাসেহ করা, ৩) উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
১৯. নামাজের ফরজ ১৩ টি ঃ ১) শরীর পাক, ২) কাপড় পাক, ৩) জায়গা পাক, ৪) সতর ঢাকা, ৫)  ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করা, ৬) কেবলামুখী হওয়া, ৭) নিয়ত করা, ৮) তাকবিরে তাহরিমা বলা, ৯) কিয়াম করা (দাঁড়ানো), ১০) কিরাত পড়া, ১১) রুকু করা, ১২) সিজদা করা, ১৩) শেষ বৈঠক।
 নামাজরে ফরজ মোট ১৩ টি ।বাইরে ছয়টি এবং ভিতরে সাতটি
নামাজরে বাইররে ছয়টি ফরজ হলঃ
১, সর্ম্পূণ শরীর পাক থাকা।
২, কাপড়-চোপড় পাক থাকা।
৩, নামাজরে জায়গা পাক থাকা।
৪, ছতর ঢাকা (র্পদা করা)।
৫, কবেলামুখী হওয়া।
৬, নয়িত করা।
নামাজরে বাইররে ফরজ সাতটি হলোঃ
১, দাড়য়িে নামাজ পড়া।
২, তাকবীরে তাহরীমা বলা।
৩, নামাজরে মধ্যে করোত বা কোরান পড়া।
৪, রুকু করা।
৫, প্রতি রাকাতে দুটি করে সজিদা করা।
৬, তাশাহুদ পড়া র্পযন্ত বঠৈকে বসা।
৭, সালাম ফিরিয়ে নামাজ শষে করা।
২০. নামাজের ওয়াজিব ১৪ টি ঃ ১) আলহামদু সুরা পড়া, ২) আলহামদু সুরার সাথে অন্য একটি সুরা মিলানো, ৩) রুকু সিজদায় দেরী করা, ৪) রুকু হতে সোজা হয়ে দাড়ানো, ৫) দুই সিজদার মাজখানে সোজা হয়ে বসা, ৬) দরমিয়ানী বৈঠক  ৭) দুই বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া, ৮) ইমামের জন্য কিরাত আস্তে/জোরে পড়া, ৯) ইমামের অনুসরন  করা, ১০)  ফরজ নামাজের ১ম দুই রাকাতে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা, ১১) প্রত্যেক রাকাতে ফরজ ওয়াজিবের তরতীব ঠিক রাখা, ১২) সালাম ফিরানো, ১৩) বেতের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া, ১৪) দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬ তকবির বলা।
২১. নামাজের সুন্নতে মোয়াক্কাদা ১২ (বার)টি ঃ ১) দুই হাত উঠানো, ২) দুই হাত বাধা, ৩) ছানা পড়া, ৪) আউযু বিল্লাহ পড়া, ৫) বিসমিল্লাহ পড়া,  ৬) আলহামদুর শেষে আমিন বলা, ৭) রুকু সিজদা হইতে উঠার সময় আল্লাহু আকবর বলা, ৮) রুকুর তাসবিহ পড়া, ৯) সিজদার তাসবিহ পড়া, ১০) রুকু হইতে উঠার সময় সামিআল্লা লিমান হামিদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ বলা, ১১) দরুদ শরীফ পড়া, ১২) দোয়া মাসুরা পড়া।
২২.  ৪(চার) কাজ করিলে - তাবলিগের কাজ করিতে পারিবে ঃ  ১) কথা বলিবে নিজের জন্য, ২) কথা শুনিবে নিজের জন্য, ৩) শোকর করিবে নেক আমলের জন্য, ৪)  কুদরতের  চিন্তা করিবে শোয়ার সময়ে।
২৩. সবার জন্য ৪ কাজ ঃ ১) আল্লাহর দ্বীন শিখা ও অন্যকে শিখানো, ২) দ্বীনের মেহনত শিখা ও অন্যকে শিখানো, ৩) দ্বীনের মেহনত করা ও অন্যকে করানো, ৪) আল্লাহ দ্বীনের উপর চলা ও অন্যকে চলানো।
২৪. সাথীদের ৪ কাজ ঃ  ১) জিম্মাদারকে মহব্বত করা, ২) জিম্মাদারের মন যুগিয়ে চলা, ৩) জিম্মাদারের মন বুঝে চলা, ৪) ইজতেমায়ী আমলে জুড়িয়ে থাকা
২৫. জিম্মাদারের ৪ কাজ ঃ ১) সাথীদের মহব্বত করা, ২) সাথীদেও জন্য দোয়া করা ৩) সাথীদের বে-উসুল না ধরা, ৪) সাথীদের দ্বায়ী বনানোর জন্য মেহনত করা।
২৬. দ্বায়ীর সিফত ১১ টি ঃ ১) ছোট হইয়া চলা, ২) নত হইয়া চলা, ৩) আকাশের মত উদার, ৪) পাহাড়ের মত অটল, ৫) মাটির মত নরম, ৬) সূর্য্যরে মত দাতা, ৭) উটের মত ধৈর্য্য, ৮) ব্যবসায়ীদের মত হেকমত, ৯) কৃষকের মত হিম্মত, ১০) এখলাছের মত দাওয়াত, ১১) এস্তেকামাতের সাথে জমিয়া থাকা।
২৭. দ্বায়ীর গুনাবলী ৯ টি ঃ ১) সালাম দেওয়া, ২) খানা খাওয়ানো, ৩) ভাল ভাল কথা বলা, ৪) সাথীদের সাথে রাগ না করা, ৫) নিজ কর্মের জন্য তওবা ইস্তেগফার করা, ৬) বেশী বেশী দান খয়রাত করা, ৭) নিজেকে সর্বাবস্থায় নিজকে ছোট জানা ও অপরকে বড় জানা, ৮) নিজের ধন দৌলত, পদমর্যাদার  উপর কখনও অহংকার করা, ৯) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়া।
২৮. সাথীভাইদের ২টি সিফত ঃ ১) সবাইকে মাফ করা, ২) সর্বদা সবর করা।
২৯. ২টি গুন, আখলাক ও এখলাস পয়দা করতে হলে ঃ ১) আখলাক হল – অপরের দোষের মধ্য হতে গুন খুজে বের করা,
২)  এখলাস হল ঃ নিজের মত গুনের মধ্য থেকে দোষ খুজে বের করা।
৩০. প্রতি সাথীর অঙ্গীকার হওয়া উচিত ঃ ১) আল্লাহর হুকুম ভাঙ্গিব না, ২) নবীর তরিকা ছাড়ব না, ৩) মনমত চলিব না, ৪) আল্লাহর নাফরমানি করব না।
৩১. রিয়া থেকে বাঁচার ৩ টি আমল ঃ ১) দিলকে দুনিয়ার খেয়াল থেকে খালি করা, ২) শরীরকে  মাখলুক থেকে খালি করা, ৩) সব কাজ নিজের হোক বা অপরের হোক, ভাল হোক, মন্দ হোক, দুনিয়ার হোক বা আখেরাতের হোক, সব কিছ আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে হয় এ কথার একীন দ্বীলে   পয়দা করা।
৩২. ৪ টি পাপ থেকে বাঁচা দরকার ঃ
১) কু-ধারনা,
২) কু-দৃষ্টি,
৩) হিংসা -বিদ্বেষ,
৪) অহংকার ও আত্মগর্ব।
৩৩. ৩টি ব্যাধি মানুষের জন্য ধ্বংসাত্বক ঃ
১) রিপুর তাড়না,
২) লোভ-লালসা,
৩) আত্মম্ভরিতা।
৩৪. দোয়া কবুলের শর্ত ৫টি ঃ
১) আমিরের এহ্্তাদ করা,
২)  সকল এস্তেমায়ী আমলে জোড়া,
৩) জানতুর মেহনত করা,
৪) তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া,
৫) নজরের হেফাজত করা।
৩৫.  ৫ ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় ঃ
১) মজলুমের দোয়া,
২) হাজীদের দোয়া,
৩) জেহাদকারীদের দোয়া,
৪) রোগীর দোয়া,
৫) মুসলমান ভায়ের দোয়া
৩৬. মুসলমানের ৩ টি হাতিয়ার ঃ
১) ওজু করা,
২) নামাজ পড়া,
৩) মেছওয়াক  করা।
৩৭. মুসলমানদের করনীয় কাজ সমূহ ঃ
১) হালাল,
২) ফরজ,
৩) ওয়াজিব,
৪) সুন্নাত,
৫) নফল।
৩৮. মুসলমানদের বর্জনীয় কাজ সমূহ ঃ
১) কুফর,
২) শিরিক,
৩) হারাম,
৪) বেদায়াত,
৫) মাকরূহ।
৩৯. আল্লাহ পাক জান্নাতের বিনিময়ে ্ক্রয় করেছেন  ৩টি জিনিষ ঃ 
১) মানুষের জান,
২) মানুষের মাল,
৩) মানুষের সময়।
৪০. কবরের ৩টি প্রশ্ন করা হবে ঃ
১) তোমার রব কে,
২) তোমার দ্বীন কি,
৩) তোমার নবী কে ?
৪১. হাশরের ময়দানে ৪ টি প্রশ্ন করা হবে ঃ
১) সারা জীবন কোন কাজে খরচ করেছ ?
২) যৌবনকাল কোন কাজে ব্যয় করেছ ?
৩) মাল কোনপথে আয় করেছ এবং কোন কাজে ব্যয় করেছ ?
৪) এলেম অনুযায়ী কি আমল করেছ ?
৪২. মানুষের মৃত্যুর পর ৩ (তিন) জিনিষের অবস্থা ঃ
১) আত্মীয়স্বজন -----------কবরের নিকট থেকে ফিরে আসে।
২) মাল সম্পদ ---- কররের  নিকট হতে ফিরে আসে। 
৩) ঈমান ও আমল ----------- তার সাথেই থেকে যায় ।
৪৩. মৃত্যুর পর ৩টি আমল চালু থাকে ঃ
১) সদকায়ে জারিয়া,
২) এলেম ও আমল,
৩) নেক সন্তানের  দোয়ী ।
৪৪. ২ প্রকারের চোখ আগুন স্পর্শ করবে না ঃ
১) যে চোখ আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করে।
২) যে চোখ আল্লাহর রাস্তা পাহারা দেয়।
৪৫. ২ প্রকারের ফোটা আল্লাহর কাছে মূল্যবান ঃ
১) আল্লাহর আযাবের ভয়ে চোখ হতে অশ্রুর ফোটা,
২) আল্লাহর রাস্তার ঝরানো ঘাম/রক্তেরফোটা।
৪৬.  ক) যে সকল স্থানে ইস্তেঞ্জা করা যাবে না  ঃ
১) মানুষ চলাচলের রাস্তায়,
২) বাড়ী বা মসজিদের আংগিনায়,
৩) ঈদগাহের মাঠে,
৪) কবরস্থানে,
৫) কিবলার দিকে মুখ/পিঠ করিয়া,
৬) চন্দ্র / সূর্যের দিকে মুখ করিয়া,
৭) ফলদায়ক / ছায়াঘেরা গাছের নীচে,
৮) গর্তের ভিতরে,
৯) নীচু স্থান হইতে উঁচু স্থানের দিকে,
১০) ওযর ব্যতিত পানির ভিতরে,
১) ওযু / গোছলের স্থানে,
১২) দাড়িয়ে হেটে হেটে,
১৩) মানুষের সম্মুখে, 
১৪) ঘরে/ বিছানায় ।
খ)  ৬ জিনিষ নিয়ে ইস্তেঞ্জায় যাওয়া নিষেদ ঃ
১) আল্লাহ তালার নাম,
২) নবীগনের নাম,
৩) ফেরেশতাদের নাম,
৪) কোরআনের আয়াত,
৫) হাদিসের টুকরা,
৬) দোয়া ও কালাম ।
গ) ১০ জিনিষ দিয়ে কুলুপ করা নিষেদ ঃ
১) হাড্ডি,
২) কয়লা,
৩) কাগজ,
৪) কাঁচ,
৫) গাছের কাঁচা পাতা,
৬) খাদ্যদ্রব্য,
৭) শুকনা গোবর,
৮) ডান হাত দ্বারা,
৯) ব্যবহত ঢিলা পুনরায় ব্যবহার করা,
১০)
ঘ) ইস্তেঞ্জায় ৮ কাজ করা সুন্নত ঃ
১) বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা,
২) মাথা ঢেকে রাখা,
৩) পায়ে স্যান্ডেল রাখা,
৪) দিলে দিলে এস্তেগফার পড়া,
৫) ঢিলা  ব্যবহার করা,
৬) পানি খরচ করা,
৭) ডান পা দিয়ে বাহির হওয়া,
৮) আগে পিছে দোয়া পড়া।
৪৭। শ্রেষ্ঠ জিকির –
ক) সুবাহানাল্লাহী
খ) ওয়াল হামদু লিল্লাহী 
গ) ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ঘ) ওয়াল্লাহু আকবার ।                        
৪৮। ৪টি বিষয়ের উপর পরিপূ্র্ন্ আমল করতে হবে –                    ক) আমানিয়াত (দাওয়তের কাজ করতে হবে )
খ) সাদাকাত(সত্য কথা বলতে হবে )
গ) মোয়ামেলা ,মোয়াশেরাত (লেন দেন ঠিক করতে হবে )।
ঘ) আখলাকিয়াত (চরিত্র সুন্দর করতে হবে ) ।                     ৪৯। অসুস্থ্য হলে যা যা করা দরকার
ক) নামাজ আদায় করা ।
খ) সদকা দেয়া ।
গ) সুরা ফাতেহা পড়ে পানি ফুকে পান করা ।
ঘ) ইস্তেগফার করা ।
ঙ) ডাক্তার / অন্য মাখলুকের সাহায্য নেওয়া ।                          ৫০। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে রাতের দোয়ায় যা চাইতে হয়—
ক) হেদায়েত খ) রেজামন্দি । গ) কবুলিয়াত ।
৫১। কোরআন তেলোয়াতের ফায়দা—
ক) অন্তরের মরিচা দুর হয়
খ) আল্লাহ তায়ালার সহিত মহব্বত পয়দা হয় ।
গ) প্রতি হরফে ১০ নেকি সওয়াব পাওয়া যায় ।
ঘ) চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায় ।            
৫২। নামাজের সওয়াব —
ক) নিজ ঘরে পড়লে- এক নামাজের সওয়াব
খ) পাঞ্জেগানা মসজিদে পড়লে --পচিশ নামাজের সওয়াব
গ) জুম্মা মসজিদে পড়লে—পাচশত নামাজের সওয়াব
ঘ) মসজিদুল আকসায় পড়লে – ?  নামাজের সওয়াব
ঙ) মসজিদুল নববীতে পড়লে—পঞ্চাশ হাজার  নামাজের সওয়াব
চ) মসজিদুল হারামে পড়লে—এক লক্ষ নামাজের সওয়াব
ছ) আল্লাহর রান্তায় পড়লে—উনপঞ্চাশ কোটি নামাজের সওয়াব ।            ৫৩।  দুনিয়ার বুকে হক –
ক) কোরবানী করা ,
খ) মোজাহাদা করা ,
গ) দাওয়াত দেওয়া ,
ঘ) দোয়া করা ।
৫৪। দুনিয়ার বুকে বাতিল
ক) মাল (ধন,সম্পদ)
খ) মুলুক (পদ,ক্ষমতা)
গ) নারী (স্ত্রী)
ঘ) জন (লোক বল) ।                              
৫৫। ৪ কাজের হেফাজত করতে পাড়লে আল্লাহ তাকে অলী বানাতে পারে—
ক) মজলিসে জবানের হেফাজত
খ) গাস্তে নজরের (চোখের) হেফাজত
গ) নামাজে দিলের হেফাজত
ঘ) দস্তরখানে পেটের হেফাজত
৫৬। ৩- কাজের হেফাজত করা কঠিন –
ক) বন্টনকারী হওয়া ।
খ) ইমাম হওয়া ।
গ) আমির হওয়া ।     
৫৭। তাবলীগী ভাইদের ১২ কাজ : -  
ক) মার্কাজের সাথে যোগাযোগ রাখা ।
খ) মুরব্বীদের সোহবতে থাকা
গ) মুরব্বীদের তাকাজা অনুযায়ী চলা ।
ঘ) সাথীদের সাথে জোড়মিল রাখা ।
ঙ) মোয়ামেলা, মোয়াশেরাত, আখলাক যথাযথভাবে পালন করা ।
চ) কানায়াতের সাথে (উপবাস) চলা ।
ছ) ঈমানের মূল কাজ দাওয়াতের সাথে চলা ।
জ) দৈনিক মাশোয়ারা করা (মসজিদে ও ঘরে)
ঝ) তালিম করা (মসজিদে ও ঘরে) ।
ঞ) দৈনিক আড়াই ঘন্টা মেহেনত করা ।
ট) সপ্তাহে দুই গাস্ত (নিজ মহল্লায় ও অপর মহল্লায় )
ঠ) মাসে তিন দিন সময় লাগানো ।                      
৫৮। পিতামাতার প্রতি হক ১৪টি—জীবিত অবস্থায় ৭টি-
ক) পিতামাতার শ্রদ্ধাশীল হওয়া ।
খ) তাহাদেরকে  মনে প্রানে মহব্বত করা ।
গ) সর্বদা তাহাদিগকে মানিয়া চলা ।
ঘ) পিতামাতার খেদমত করা ।
ঙ) তাহাদের জুরুরাত পুরা করা ।
চ) তাহাদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করা ।
ছ) নিয়মিত তাহাদের সহিত সাক্ষাত করা।                     মৃত্যুর পর ৭টি হক  –      
ক) তাহাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করা 
খ) তাহাদের জন্য দান, সদকা করা । 
গ) তাহাদের আত্মীয় স্বজনদের সম্মান করা ।
ঘ)  তাহাদের আত্মীয় স্বজনদের  সাহায্য করা ।
ঙ) তাহাদের ঋন পরিশোধ করা ।
চ) তাহাদের অছিয়ত পুরা করা ।
ছ) তাহাদের মাঝে মাঝে তাহাদের কবর জিয়ারত করা ।                                                         
৫৯। মানুষের হক ১০টি –
ক) আল্লাহর হক
খ) রাসুলের হক
গ) পিতামাতার হক
ঘ) বিবির হক
ঙ) ছেলেমেয়ের হক
চ) ভাই বোনের হক
ছ) বন্ধু বান্ধব / উম্মতের হক
জ) প্রতিবেশীর হক 
ঝ) আত্মীয়তার হক
ঞ) মাখলুকের হক ।                                         ৬০। অন্তরের রোগ ১০ টি । এ গুলি কবীরা গুনাহ বটে—
ক) অধিক খাওয়ার লোভ
খ) অধিক বলার লোভ
ঘ) হিংসা করা 
ঙ) নিজকে বড় মনে করা 
চ) সুনাম অর্জনের কামনা করা 
ছ) দুনিয়ার প্রতি মহব্বত 
জ) অহংকার করা 
ঝ) রিয়া / লৌকিকতা করা 
ঞ) কৃপনতা ও অর্থ্ লোভ করা ।
৬১। হাশরের দিন আল্লাহ তায়ালা ৪ ধরনের লোককে নুরের মেম্বরে বসাবেন –
ক) যে আল্লাহর জন্য অন্যকে মহব্বত করে 
খ) যে আল্লাহর জন্য অন্যের মঙ্গল কামনা করে ।
গ)  যে আল্লাহর জন্য অন্যের দেখাশুনা করে
ঘ) যে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে ।                                ৬২। ৬ ছিফাতের অবস্থা করিয়া আল্লাহ পাক তার বান্দাদেরকে জান্নাতের ভিতরে রাখবেন—
ক) হযরত আদম (আঃ) এর মত শরীর বানাইয়া
খ) হযরত দাউদ (আঃ) এর মত কন্ঠ বানাইয়া
গ) হযরত ইউসুফ (আঃ) এর মত সুন্দর চেহারা বানাইয়া
ঘ) হযরত মূসা (আঃ) এর মত শক্তি দান করিয়া
ঙ) হযরত  ঈসা (আঃ) এর মত ৩৩ বছরের যৌবন দান করিয়া 
চ) হুজুর (সাঃ) এর মত আখলাক দান করিয়া ।          
৬৩। জিকিরের জন্য ৪টি বিষয় দরকার—
ক) কেবলামুখী হওয়া
খ) একই স্থানে শেষ পর্যন্ত বসা ।
গ) কারো সাথে কথা না বলা
ঘ) ওজু করা ।                                                                    ৬৪। নামাজের জন্য ৫টি বিষয় দরকার—
ক) আল্লাহর প্রতি একিন করা
খ) প্রতি রোকনের মাসায়েল জানা
গ) পূর্ন মনোযোগ দেওয়া
ঘ) এখলাসের সহিত নামাজ পড়া
ঙ) ফাজায়েলের প্রতি পূর্ন বিশ্বাষ রাখা ।
৬৫। জবানের আমল প্রকার
) কালেমা তৈয়বা পড়া।
) কোরান পাক তেলোয়াত করা।
) এলেমে দ্বীন শিক্ষা করা
) এলেম অন্যকে শিক্ষা দেয়া
) আল্লাহর নিকট দোয়া করা
) আল্লাহর জিকির করা/ এস্তেগফার করা
) অনর্থক কথা বলা হইতে বাচিয়া থাকা
৬৬ প্রকার  অন্ধকার      প্রকার  বাতি
) দুনিয়া অন্ধকার উহার বাতি পরহেজগারী
) গুনাহ অন্ধকার উহার বাতি তওবা
) কবর অন্ধকার উহার বাতি কালেমা (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ )
) আখেরাত অন্ধকার উহার বাতি নেক আমল।
) পুলছেরাত অন্ধকার উহার বাতি একিন
৬৭। আল্লাহ যে অবস্থায় গোস্বা করেন।
) ফজরের নামাজ পরে না বসলে
) জিকিরের পরে না বসলে
) নামাজের মধ্যে ধ্যান না থাকলে
* আল্লাহর গোস্বা দূর করে পায়দল জামাতে চললে
৬৮। দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে বড় ফেৎনা ২টি
) মাল-সম্পদ
) মেয়ে মানুষ
৬৯। ৫টি জিনিসের সমন্বয়ে দ্বীন হাসিল হয়।
) ঈমানিয়াত (খাটি ঈমান দিলে পয়দা করা)
) ইবাদত (নামাজ রোজায় জান পয়দা করা)
) মোয়ামেলা (লেনদেন সঠিক হওয়া)
) মোয়াশারা (কাজকর্ম্  সঠিক হওয়া)
) আখলাক (চরিত্র সুন্দর হওয়া)
৭০। নিজের কলবকে পরিস্কার করতে হলে ১০টি অভ্যাস দূর করতে হবে-
) লোভ
) দীর্ঘ আশা
) ক্রোধ।
) গীবত
) মিথ্যা
) কৃপনতা 
) হিংসা
) রিয়া
) অহংকার
) মনোমালিন্য
৭১। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য পেতে ৯টি অভ্যাস জন্ম দিতে হবে-
) সবর
) শোকর
) অল্প তুষ্টি
) এলেম
) একিন
) নিজকে আল্লাহর নিকট অর্পন করা
) তাওয়াকুল
) আত্মসমর্পন
৭২। কলবে যে সমস্ত জিনিস হয়-
) কলবে আবরন বা দাগ পরে
) কলবে সন্দেহ সৃস্টি হয়
) কলবে রাগের  সৃস্টি হয়
) কলবে  অবিশ্বাস জন্মায়
) কলবে মহব্বত সৃস্টি হয়
) কলবে ভয়ের সৃস্টি হয় 
) কলবে মোনাফেকী গোপন থাকে 
) কলবে চিন্তার সৃস্টি হয় 
) কলবে ছাপ পড়ে অবুঝ হয়ে যায়
) কলবে দাগ পড়ে পড়ে শুনতে পায় না 
) কলবে কোন এক সময় তালা লেগে যায়
৭৩। মুর্তি পুজা না করলেও শয়তান খুশি হয় ,যদি মানুষ ৩টি কাজ করে-
) না-হক ধন উপাজনও ভক্ষণ করলে
না-হক পথে সম্পদ ব্যয় করলে
ন্যায় সঙ্গত পথে উপার্জন ব্যয় থেকে বিরত থাকলে।
৭৪। ৩টি ব্যধি মানুষকে বিনাস করি দেয়-
) অদম্য লোভ –লালসা
) বেপরোয়া প্রবৃত্তি 
) আত্ম প্রশংসা
৭৫। এক মুসলমানের উপর অন্য মুসলমানের ৬টি হক-
) সাক্ষাতে সালাম করা
) হাচি দিলে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা
) দাওয়াত করলে গ্রহণ করা / ডাকলে সাড়া দেওয়া
) সব সময় তার কল্যান কামনা করা
) অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া/ খোজ খবর নেওয়া
) মৃত্যু হলে জানাজায় শরীক হওয়া
৭৬। রাস্তার আদব/হক ৫টি-
) চোখের হেফাজত করা
) কাউকে কষ্ট না দেয়া
) সালামের উত্তর দেয়া
) ভাল কাজের আদেশ করা খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করা
) পথচারীদের পথ দেখিয়ে দেওয়া
৭৭। ৩টি ব্যাপারে মিথ্যা বলার অনুমতি আছে-
) যুদ্ধক্ষেত্রে
) নিজের স্ত্রী / স্বামীকে সন্তস্ট করার জন্য
) বিবাদমান মানুষের মধ্যে আপোষ মীমাংসার জন।
৭৮। ৫টি কাজ সঠিক সময়ে করতে হয় এবং উহাকে বিরাট সম্পদ মনে করতে হয়-
) বার্ধ্যেকের পূর্বে যৌবনেকে সম্পদ মনে করা
) রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে সু-স্বাস্থ্যকে সম্পদ মনে করা
) দারিদ্রতার পুর্বে অভাব মুক্ত থাকাকে সম্পদ মনে করা
) ব্যস্ততার পূর্বে অবসর থাকাকে সম্পদ মনে করা
) ‍মৃত্যুর পূর্বে হায়াতকে সম্পদ মনে করা
৭৯। কিয়ামতের দিন মানুষ দলে বিভক্ত হয়ে আসবে
) একদল আসবে হেটে হেটে
) একদল আসবে সওয়ারীতে চড়ে
) একদল আসবে মুখের উপর ভর করে
৮০। কিয়ামতের দিন  জায়গায় কেউ কাউকে স্বরণ করবে না-
) মিযানের কাছে
) আমলনামার দপ্তরে
) পুলসিরাতে।
৮১। কিয়ামতের দিন নবী করিম (সঃ) জায়গায় অবস্থান করবেন-
) পুলসিরাতের জায়গায়
) মিযানের জায়গায়
) হাউজে কাউছারের জায়গায়।
৮২। ঈমানের স্বাদ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে-
) আল্লাহকে রব হিসাবে মানা
) ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মানা  
মুহাম্মদ (সঃ) কে কসুল হিসাবে মানা
৮৩। রসুল (সঃ) নামাজে জিনিস চেয়ে দোয়া করেছিলেন-
) আমার উম্মতকে যেন দূর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করা না হয় (এই দোয়া কবুল হয়েছে)
) মুসলমানদের উপর অমুসলমানদের চাপিয়ে দেওয়া না হয় (এই দোয়া কবুল হয়েছে)
) মুসলমান একে অপরের উপর অত্যাচার / ঝগরাঝাটি না করে (এই দোয়া কবুল হয় নাই )
৮৪। ৪টি স্বভাব থাকলে সে মুনাফেক-
) কথা বলে, মিথ্যা বলে
) ওয়াদা করে ,ভঙ্গ করে
) আমানত খেয়ানত করে
) ঝগড়া করে ,অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে
৮৫। ৪টি কথায় বিশ্বাস না করলে সে মুমিন নয়-
) কালেমায়ে বিশ্বাস
) মৃত্যুতে বিশ্বাস
) মৃত্যুর পর পুনরুথ্থানে বিশ্বাস
) তাকদীরের ভাল-মন্দে বিশ্বাস
৮৬। মানুষের ৫টি বিষয়ে চুড়ান্ত হয়ে আছে-
) তার জীবন কাল
) তার কাজ কর্ম
) তার মৃত্যুর স্থান
) তার চলাফেরা 
) তার রিজিক।
৮৭। ৩টি বিষয়ে মুসলমান বিশ্বাসঘাতকতা করে না-
) আল্লাহর উদ্দেশ্যে কাজ করাকে
) মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করাকে
) জামাতকে আকড়াইয়া রাখতে
৮৮। ধরনের ব্যাক্তি কখনও পরিতৃপ্ত লাভ করে না-
) এলেমের পিপাসু  ) দুনিয়ার পিপাসু
৮৯। প্রকারের মৃত্যু শহীদের সমতুল্য-
) মহামারীতে মৃত্যু 
) পেটের অসুখে মৃত্যু
) পানিতে ডুবে মৃত্যু
) দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু
) আল্লাহর রাস্তায় /জিহাদে মৃত্যু 
) আগুনে পুড়ে মৃত্যু
) প্রসব কষ্টে মৃত্যু
৯০। ৪টি বিষয় থেকে মানুষ আল্লাহর নিকট পানাহ চায়-
) জ্ঞান যা উপকারে আসেনা
) অন্তর যা গলে না
) মন যা তৃপ্তি লাভ করে না
) দোয়া যা কবুল হয় না
৯১। রসুল(সঃ)৫টি বিষয় থেকে পানাহ চাইতেন-
) কাপুরুষতা
) কৃপনতা
) বয়সের মন্দতা
) অন্তরের ফেতনা
) কবরের আযাব
৯২। ৩টি জিনিসের বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঘৃনিত
) কুকুর বিক্রয় অর্থ
) ব্যাভিচারের বিনিময় অর্থ
) রক্ত ব্যবসার অর্থ
৯৩। ৩টি জিনিস ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
) বসবার গদি
) তেল বা খুশবু
) দুধ
৯৪। প্রকার জীব হত্যা করা নিষেধ
) ‍পিপীলিকা
) মৌমাছি
) হুদহুদ পাখি
) ছুরাদ
৯৫। মৃত্যুর যন্ত্রনা প্রকার
) রুহ বের হওয়া কালীন যন্ত্রনা
) মালাকুল মউত আজরাঈল (আঃএর আকৃতি দর্শন জনিত যন্ত্রনা 
) অন্যান্য ভয়াবহ দৃশাবলী দেখার যন্ত্রনা
৯৬। নামাজ পরলে ৫টি পুরুস্কার
) রিজিকের অভাব দুর করে দিবেন
) কবরের আজাব হটাইয়া  দিবেন
) ডান হাতে আমলনামা দিবেন
) বিজলীর ন্যায় পুলসিরাত পার করে দিবেন.
) বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন।
৯৭। নামাজ না পড়লে ১৫ প্রকার শাস্তি
) দুনিয়ায় প্রকার শাস্তি
) মৃত্যুর সময় ৩প্রকার শাস্তি
) কবরের প্রকার শাস্তি
) হাশরে প্রকার শাস্তি
৯৮। ) দুনিয়ায় প্রকার
1.     তার সময় রিজিকের বরকত থাকবে না
2 .তার চেহারায় নেক লোকদের চিহ্ণ থাকবেনা
3. তার আমলে কোন সওয়াব পাবে না
4.তার কোন দোয়া কবুল হবে না
5. নেক লোকের দোয়া তার জন্য কবুল হবে না
) মৃত্যুর সময় ৩প্রকার
1.     তার অপমৃত্যু হবে
2 .সে অভুক্ত অবস্থায় মারা যাবে
2.     সে পিপাসার্ত অবস্থায় মারা যাবে
) কবরের প্রকার শাস্তি
1.কবর সংকীর্ন হবে
2.কবরে আগুন জ্বালানো হবে
3.ভয়ংকর সাপ নিয়োগ করা হবে
) হাশরে প্রকার শাস্তি
1.অত্যন্ত কঠিন হিসাব নেয়া হবে
2.আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত থাকবেন
3. তাহাকে দোযোখে নিক্ষেপ করা হবে

৯৯। কিয়ামতের দিন বান্দাকে ৪টি প্রশ্ন করা হবে-
) সারা জীবন কিভাবে ব্যয় করেছ
) যৌবন কাল কোন পথে ব্যয় করেছো ?
) কোন পথে আয় করেছো এবং কোন পথে ব্যয় করেছা ?
) যতটুকু এলেম শিখেছো তার কতটুকু আমল করেছো ?
১০০। ২টি বিষয়ের মধ্যে ‍উম্মতের ধ্বংস রয়েছে-
) এলেমে দ্বীন পরিহার করা
) সম্পদ জমা করা
১০১। ৭টি অঙ্গ দ্বারা মানুষ অন্যায় / অপরাধ করে
) চোখ
) কান
) জিহ্বা 
) পেট 
) হাত
) পা   
) লজ্জাস্থান                                                                                                
১০২। সাথী জোরানো বা জোড় মিল মহব্বত এর জন্য ৫টি ফিকির
) সাথীদের সালাম দেয়া
) সাথীদের একরাম করা
) সাথীদের হাদিয়া দেয়া
) সাথীদের নাম নিয়ে দোয়া করা
) সাথীদের অগোচরে তারিফ করা।
১০৩। যে কারনে সাথীদের মধ্যে তোড় পয়দা হয়
) সাথীদের এসলাহের পিছনে না  পড়া
) সাথীদের উসুলে আনার জন্য ফিকির না করা
) সাথীদের প্রতি খেদমত না করা 
) সাথীদের প্রতি একরাম না করা 
) নিজের উসুলের  উপর লেগে থাকা
১০৪। আলেমদের প্রতি তাজিম করা কেননা আলেমরা হচ্ছে-
) চোখের মনি
) মাথার তাজ
) কলিজার টুকরা
১০৫। আলেমদের নিকট যাওয়া
) জিয়রতের উদ্দেশ্যে
) সওয়াবের আশায়
) দোয়ার উদ্দেশ্যে
) এলেম শেখার উদ্দেশ্যে
১০৬। রাসুল (সাঃ) এর প্রতি মুসলমানের ৫টি কাজ
) রাসুল (সাঃ) এর প্রতি ঈমান আনা
) তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা
) রাসুল (সাঃ) কে ভালবাসা ) রাসুল (সাঃ) কে শ্রদ্ধা করা
) রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পড়া সালাম পাঠানো
১০৭। সম্পদ ভাবে ব্যয় করতে হবে-
) আল্লাহর রাস্তায়জিহাদে
) আহকাম পুরা করতে নামাজ,রোজা,হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদিতে
) ছদকায়ে জারিয়ায় দান খয়রাত স্কুল,মাদ্রাসা,রাস্তাঘাট নির্মানে ,
) নিজের পারিবারিক খরচে
১০৮। ৩টি কাজ ব্যাতিত সর্ব প্রকার খেল তামাশা বাতিল অন্যায়-
 ) ধনুকের সাহয্যে তীর নিক্ষেপ করা,
) ঘোড়াকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া,
স্ত্রীর সঙ্গে আমোদ প্রমোদ করা
১০৯। হযরত ইব্রাহিম(আঃ) আল্লাহ পাকের সন্তষ্টির জন্য ৩টি মিথ্যা কথা বলেছেন
) আমি রুগ্ন
) বড় মুর্তি এই কাজটি করেছে
) স্ত্রী সারা আমার বোন
১১০। সাহাবাদের সাহায্য ছিল দুই ধরনের
) সাধারন সাহায্য—দুনিয়ার প্রয়োজনে কাপড়,পোষাক, খাওয়া দাওয়া ,দান খয়রাত ইত্যাদি
) দাওয়াতের কাজের মাধ্যমে কোটি কোটি বৎসর এর জাহান্নাম এর আগুন হইতে কিভাবে বাচানো যায়
১১১। মানুষের দুশমন ৪টি  দুশমন ---দাল,শীন,মিম,নুন
) দালে—দুনিয়া
) শীনে—শয়তান
) মিমে—মাল
) নুনে—নফস
 দুশমন—দুনিয়া,শয়তান,মাল,নফস
১১২। মুসলমানের সিফাত ৫টি মুসলমান—মিম,সিন,লাম,মিম,নুন।
) মিমে—যদি মুসলমান হও তবে মৃত্যুর জন্য তৈয়ার হও
) সিনে--যদি মুসলমান হও তবে সিনা থেকে হিংসা বিদ্বেষ দুর কর।
) লামে--যদি মুসলমান হও তবে লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত কর
) মিমে--যদি মুসলমান হও তবে মুহাম্মদ (সঃ) এর তরিকায় জীবন যাপন কর
) নুনে--যদি মুসলমান হও তবে নফসের খায়েসাত দমন কর
১১৩। প্রকার মানুষের সাথে চলাফেরা নিষেধ
) ফাসেক
) মিথ্যাবাদী
) বোকা
) কৃপন
) আত্মীয়তার সর্ম্পক ছিন্নকারী
* তবে দাওয়াতের জন্য তার কাছে যাওয়া যাবে *
১১৪। অবস্থায় মাল খরচ হইলে আল্লাহ তালায়ার কাছে মালের হিসাব সহজ হবে—
) হাওয়ানী নেছাবত –পারিবারিক খরচে / অংশ 
) ফেরেশতাদের নেছাবত –এলেম শেখার কাজে / অংশ
 ) খলিফাদের  নেছাবত জনহিতকর কাজে / অংশ
) নবীদের নেছাবত—দাওয়াতের কাজে / অংশ
১১৫। ঈমানদারগন প্রকার ভয়ের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে—
) অতীত জীবনের ভয়
) ভবিষ্যত জীবনের ভয়
দুনিয়া শেষ হওয়ার পরে অনন্ত কালের জন্য জান্নাত অথবা জাহান্নাম ছাড়া কোন ঘর –বাড়ী নাই তাই  দুনিয়ায় থাকতেই-
) র্দীঘ সময়ের সম্বল সন্চয় করা
) পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণ করা
) মৃত্যুর ছামানা যোগার করা
) বার্ধ্যকের জন্য ব্যবস্থা করা
১১৬। কিসে কি বনবে—
) কলমাওয়ালা একিন—দাওয়াতের দ্বারা
) মাসায়েলওয়ালা এলেম –আলেম ওলামাদের সোহবতে
) ফাজায়েল ওয়ালা শখ –তালিমের হালকায় বসলে
) আল্লাহওয়ালা ধ্যান –জিকিরের মাধ্যমে
) এখলাস পয়দা হবে—একরামের মাধ্যমে
১১৭। ৫টি কাজ করা যাবে না—
) অন্যের বদগুমারী করা যাবে না
) অন্যের দোষ তালাশ করা যাবে না
) কোন হালতে গীবত করা যাবে না।
) কাহারো সাথে সর্ম্পকছেদ  করা যাবে না
) কেহ জুলুম করলে তার সাথে জুলুম করা যাবে না

১১৮। নিজের এসলাহের জন্য ৮টি জিনিসের উপর মেহেনত করতে হবে—
) কালেমার মেহেনত দ্বারা শিরিক দূর হবে
) নামাজের মেহেনত দ্বারা আল্রাহ তায়ালার নাফরমানী হইতে হেফাজত হবে
) এলেমের মেহেনত দ্বারা অজ্ঞতা দূর হবে
) জিকিরের মেহেনত দ্বারা গাফলাতি দূর করতে হবে
) একরামের মেহেনত দ্বারা আল্রাহ তায়ালা আখলাককে দুরস্ত করবেন
) নিয়তের মেহনতের দ্বারা রিয়াকারী দুর হবে
) তাবলীগের মেহনত দ্বারা কৃপনতা অহংকার দূর হবে
) সুন্নাতের মেহেনত (আমল) দ্বারা বেদায়াত হইতে হেফাজত হবে
 ** আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা আমলের সাথে আছে ,আসবাবের সাথে নাই।

১১৯ দাওয়াতে কাজ করিলে ৫টি উপকার হবে
) আল্লাহ পাক তাকে মহব্বত করিবেন 
) আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করিবেন
) আল্লাহ পাক তাকে মাফ করে দিবেন
 ) আল্লাহ পাক তাকে সম্মানিত রিজিক দিবেন
) আল্লাহ পাক ফাসেক ফুজ্জারের দিলে ভয় পয়দা করে দিবেন
১২০ দাওয়াতে কাজ না করিলে ৬টি অপকার হবে
) গায়েবী নিজাম তার বিপক্ষে চলিয়া যাইবে
 ) তার    দোয়া কবুল হইবে না
) তার রুজির বরকত থাকিবেনা
) মুসলমানদের মধ্যে মহব্বতের বদলে দূশমনি পয়দা হইবে
) মুসলমানরা ইহুদী,নাসারাদে দ্বারা বেইজ্জত হইবে
) মহিলারা পুরুষদের উপর কর্তৃত করিবে


1 comment: