পবিত্র জুমার ফজিলত
পবিত্র জুমার ফজিলত
অত্যধিক
দরূদ পঠিত হয় বলেই
জুমার দিনকে ইয়াওমুজ্জাহারা অর্থাৎ
ফুলেল দিবস এবং জুমার
রাতকে লাইলাতুজ জাহরা বা ফুলেল
রজনী নামে অভিহিত করা
হয়। দুনিয়ার
জীবনে হেদায়তের পথ প্রদর্শক এবং
আখেরাতের চিরস্থায়ী শান্তি ও মুক্তির
ঠিকানা জান্নাতের জিম্মাদার। হজরত
নবী করিম (সা.) এর
প্রতি দরূদ শরিফ ও
সালাম পেশ করতে থাকা
প্রত্যেক মুমিন নর-নারীদের
জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। বিশেষ
সময় ও দিনক্ষণের প্রতি
লক্ষ্য রেখে দরূদ শরিফ
বেশি করে পড়ার চেষ্টা
করা সবারই একটি গুরুত্বপূর্ণ
কর্তব্য।
জুমার
নামাজে উপস্থিতি ও খুতবা শ্রবণ
: মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদ সমাবেশ জুমার
নামাজে আগেভাগে হাজির হওয়া এবং
মনযোগসহকারে জুমার বয়ান ও
খুতবা শ্রবণ করার বিশেষ
গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা
বলা হয়েছে।
হাদিসের বর্ণনায় আছে যে, জুমার জামাতের সময় মসজিদের দ্বারদেশে রহমতের ফেরেশতাগণ অবস্থান গ্রহণ করে কে কখন হাজির হচ্ছে তা লক্ষ্য করেন। যারা নিতান্ত বিনয়, নম্রতা ও বিশেষ মনযোগর সাথে জুমার হাজিরা দেন তাদের নাম রহমতপ্রাপ্ত বান্দাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শান্তির একটি আবাহ সৃষ্টি হয়। তাতে ইবাদতে মনোনিবেশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন শয়তান বাজারগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজনকে কাজে-কর্মে ব্যস্ত করে তোলে। আর ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা লিপিবদ্ধ করতে থাকেন মুসল্লিগণের পর্যায়ক্রমে উপস্থিতি। যারা খুতবা শুরু হওয়ার পরে এসে তাড়াহুড়া করে সামনে আসতে চেষ্টা করে, হাদিস শরিফে তাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিযি কর্তৃক বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমার জামাতে পরে এসে লোকজনের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে স্থান নিতে চেষ্টা করে সে যেন নিজের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার একটি সেতু নির্মাণ করলো। ইমাম আহমদ (র.) বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন, এ সময় এক ব্যক্তিকে উপবিষ্ট লোকদের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেখে অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে বললেন, ওহে! বসে পড় দেরিতে এসেছ এবং অন্যদের কষ্ট দিচ্ছ।
হাদিসের বর্ণনায় আছে যে, জুমার জামাতের সময় মসজিদের দ্বারদেশে রহমতের ফেরেশতাগণ অবস্থান গ্রহণ করে কে কখন হাজির হচ্ছে তা লক্ষ্য করেন। যারা নিতান্ত বিনয়, নম্রতা ও বিশেষ মনযোগর সাথে জুমার হাজিরা দেন তাদের নাম রহমতপ্রাপ্ত বান্দাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শান্তির একটি আবাহ সৃষ্টি হয়। তাতে ইবাদতে মনোনিবেশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন শয়তান বাজারগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজনকে কাজে-কর্মে ব্যস্ত করে তোলে। আর ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা লিপিবদ্ধ করতে থাকেন মুসল্লিগণের পর্যায়ক্রমে উপস্থিতি। যারা খুতবা শুরু হওয়ার পরে এসে তাড়াহুড়া করে সামনে আসতে চেষ্টা করে, হাদিস শরিফে তাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিযি কর্তৃক বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমার জামাতে পরে এসে লোকজনের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে স্থান নিতে চেষ্টা করে সে যেন নিজের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার একটি সেতু নির্মাণ করলো। ইমাম আহমদ (র.) বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন, এ সময় এক ব্যক্তিকে উপবিষ্ট লোকদের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেখে অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে বললেন, ওহে! বসে পড় দেরিতে এসেছ এবং অন্যদের কষ্ট দিচ্ছ।
খুতবা
শ্রবণের গুরুত্ব : পবিত্র কুরআনে ইরশাদ
হয়েছে, যখন জুমার দিন
নামাজের জন্য আহ্বান জানানো
হয় (অর্থাৎ আজান দেয়া
হয়) তখন দ্রুততার সাথে
আল্লাহর জিকির (অর্থাৎ জুমার
খুতবা) শ্রবণের প্রতি ধাবিত হও। আর
ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ কর।
(সূরা জুম‘য়া) জুমার
দিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জনের লক্ষ্যে গোসল করা এবং
সাধ্যমত উত্তম পোশাক পরিধান
করারও হুকুম দেয়া হয়েছে। জীবন-জীবিকার ধান্দায় যাতে জুমার প্রস্তুতি
ও খুতবা শ্রবণে বিঘœ
সৃষ্টি না হয়, সে
দিকটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ
করে বলা হয়েছে যে,
জুমার গুরুত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন
করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি
ঝুঁকে পড়ো না।
উত্তম রিযিকদাতা হচ্ছেন মহান আল্লাহ। উপরে
আলোচিত পবিত্র কুরানের আয়াত
এবং ও হাদিস প্রমাণ
করে যে, জুমার দিন
এবং এ পবিত্র দিনের
ইবাদত বন্দেগীর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব
প্রদান ও জীবন-জীবিকার
দোহাই দিয়ে এই দিনের
গুরুত্ব বিনষ্ট করা কোন
ঈমানদার ব্যক্তির কাজ হতে পারে
না। আল্লাহ
আমাদের সবাইকে পবিত্র জুমার
দিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনুধাবন
করার এবং আমল করার
তাওফিক দান করুন।
আমিন।
জুমার দিনে করণীয় :
১
জুম’য়ার দিন গোসল
করা রাসূল (সা.) ওয়াজিব
করেছেন তাদের উপর যাদের
উপর জুম’য়া ফরজ। তাদের
জন্য পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন
নখ ও চুল কাটা
একটি ভাল কাজ।
(বুখারী : ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০,
৮৯৭, ৮৯৮)।
২। জুম’আর সালাতের জন্য
সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারী
: ৮৮০)
৩। মিসওয়াক
করা। (ইবনে
মাজাহ : ১০৯৮, বুখারী : ৮৮৭,
ই:ফা: ৮৪৩)
৪। শরীরে
তেল ব্যবহার করা। (বুখারী
: ৮৮৩)
৫। উত্তম
পোশাক পরিধান করে জুম’য়া আদায় করা। (ইবনে
মাজাহ : ১০৯৭)
৬। মুসুল্লীদের
ইমামের দিকে মুখ করে
বসা। (তিরমিযী
: ৫০৯, ইবনে মাজাহ : ১১৩৬)
৭। মনযোগ
সহ খুৎবা শোনা ও
চুপ থাকা ওয়াজিব।
(বুখারী : ৯৩৪, মুসলিম : ৮৫৭,
আবু দাউদ
: ১১১৩, আহমাদ : ১/২৩০)
৮। আগে
ভাগে মসজিদে যাওয়া।
(বুখারী : ৮৮১, মুসলিম : ৮৫০)
৯। পায়ে
হেঁটে মসজিদে গমন।
(আবু দাউদ : ৩৪৫)
১০। জুম’য়ার দিন ফজরের
নামাজে ১ম রাকায়‘াতে
সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য়
রাকায়‘াতে সূরা দাহর পড়া। (বুখারী
: ৮৯১, মুসলিম : ৮৭৯)
১১। সূরা
জুম’য়া ও সূরা
মুনাফিকুন দিয়ে জুম’য়ার
সালাত আদায় করা।
অথবা সূরা আলা ও
সূরা গাশিয়া দিয়ে
জুম’য়া আদায় করা। (মুসলিম
: ৮৭৭, ৮৭৮)
১২। জুম’য়ার দিন ও
জুম’য়ার রাতে বেশি
বেশি দরুদ পাঠ।
(আবু দাউদ : ১০৪৭)
১৩। এ
দিন বেশি বেশি দোয়া
করা। (বুখারী
: ৯৩৫)
১৪। মুসুল্লীদের
ফাঁক করে মসজিদে সামনের
দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারী
: ৯১০, ৮৮৩)
১৫। মুসুল্লীদের
ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর
চেষ্টা না করা।
(আবু দাউদ : ৩৪৩, ৩৪৭)
১৬। কাউকে
উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার
চেষ্টা না করা।
(বুখারী : ৯১১, মুসলিম : ২১৭৭,
২১৭৮)
১৭। খুৎবা
চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ
করলে তখনও দু’রাকা’য়াত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’
সালাত আদায় করা ছাড়া
না বসা। (বুখারী
: ৯৩০)
0 comments:
Post a Comment