দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী

“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

দুনিয়ার দুঃখ দুঃখ না, জাহান্নারের দুঃখ আসল দুঃখ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

নামাজ বেহেস্তের চাবি

রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।

কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

Saturday, May 31, 2014

ইসলামী বিভিন্ন প্রশ্ন সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা

ইসলামী বিভিন্ন প্রশ্ন সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা 




ইসলামে বিয়ে সর্ম্প কিত অনেক প্রশ্ন আমরা জানি না বা জানার জন্য শরমের কারনে কোন আলেমকে প্রশ্ন করতে পারি না। তবে নীচের েএই সাইট থেকে অনেক প্রশ্নের জবাব পেতে পারেন।


Friday, May 30, 2014

আসলে আমাকে মরতে হবে ?

আসলে  মৃত্যু  কি আমার হবে ?


মানুষ মরনশীল।  মানুষ মাত্রকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। তবুও আমরা মৃত্যু  সর্ম্পকে বে ফিকির। 

শুরুতেই এই ভিডিওটি দেখি, তাহলে সহজে আমরা িএকীন করতে পারব।




এবার আরও ছোট আরএকটি নমুনা দেখি।



মৃত্যু  কি ?  আসলে কি মৃত্যু হবে। আসুন উপরের  ভিডিও টি দেখে মৃত্যুর একীন বৃদ্ধি করি। নীচের ভিডিও টিও দেখি

অনন্ত অসীম পরকালে সাফল্যে বা জান্নাত লাভের জন্য নিজের আমল ‍বৃদ্ধি করি।

Thursday, May 29, 2014

বই – শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষার সহজ পদ্ধতি

বই – শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষার সহজ পদ্ধতি – প্রথম খণ্ড

                 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

হাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের প্রতি আলাহর পক্ষ থেকে একটি পবিত্র বড় আমানত। কিছু মুফাসসীরগণের মতে, আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালা এই প্রবিত্র মহাআমানত বহন করতে অপরগতা স্বীকার করে। বাবা আদম (আ:) জান্নাতে থাকা অবস্থায় মহান আমানতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আলাহ তা‘য়ালা আদম (আ:)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বশেষ নবী ও রসূল মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি সর্বশেষ কিতাব রমজানের লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছরে পূর্ণ কুরআনের নাজিল সম্পন্ন হয়। কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকবে; কারণ আলাহ তা‘য়ালা তাঁর কিতাবের হেফাজতের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন।
আল-কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকদের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেআর যারা এ কিতাবকে ত্যাগ করবে তথা পাঠ করবে না, এর উপর আমল ও এ দ্বারা বিচার ফয়সালা এবং মেনে চলবে না তারা কিয়ামতের মাঠে কুরআন ত্যাগকারী বলে বিবেচিত হবে তখন তাদের বাঁচার উপায় কি হবে???!!!
এই পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতি চারটি কাজ জরুরি:
১. কুরআন মজীদের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিখে নিয়মিত পাঠ করা।
২. কুরআনুল কারীমের যে অর্থ ও তফসীর রসূলুল্লাহ (দ:) তাঁর সাহবাগণকে শিক্ষা দিয়েছিলেন তাঁদের পরে তাবে‘য়ী ও ইমামগণ তাই শিখে ছিলেন। আমাদেরকেও সেই সঠিক অর্থ ও তফসীর জানা।
৩. সঠিক অর্থ ও তফসীর জেনে প্রতিটি বিষয়ে তার প্রতি যথাযত আমল করা।
৪. নিজেরা আমল করলেই চলবে না বরং অন্যদেরকেও কুরআনের দা‘ওয়াত ও তাবলীগ করা।

বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিখার জন্য প্রতিটি ভাষায় কিছু পুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশ। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ কোটি বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে, যাদের অধিকাংশ মুসলিম। বাংলাভাষী মুসলিম ভাইদের কুরআন শিক্ষার প্রতি চরম আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু আজ স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর পরেও আমাদেরকে যাঁরা কুরআনের তা‘লিম তথা শিক্ষা দেন তাঁদের সিংহভাগ আজও উর্দু ও ফার্সী নিয়ম থেকে অতিক্রম করতে পারেননি। উর্দু ও ফার্সী নিয়মে আধুনিক নাম দিয়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বহু বই-পুস্তক রয়েছে।
আরো বড় আশ্চর্য লাগে আরবি কুরআন শিক্ষার জন্য আরবি ও বাংলা ভাষার মাঝে শিক্ষার্থীদের মাথার উপর উর্দু-ফার্সীর বোঝা চাপানো দেখে। এ ছাড়া আরো আশ্চর্যের কথা হলো: যখন এক শ্রেণীর মানুষ উর্দু-ফার্সী নিয়মকেই আরবি বলে চালিয়ে দেন। আর উর্দু-ফার্সীর ঝামেলা নয় বরং সরাসরি আরবি টু বাংলার নতুন দিগন্ত উম্মচন করতে আমাদের এ ছোট প্রয়াস।
বইটির চারটি অংশ রয়েছে: (এক) কুরআনের পরিচিতি। (দুই) কুরআন শিক্ষার সহজ ব্যাকরণ। (তিন) তাজবীদ অংশ। (চার) কুরআন সম্পর্কে প্রায় একশত প্রশ্নের উত্তর। এই বইটি আমরা যারা প্রথম থেকে কুরআন শিখতে ইচ্ছুক তাদের জন্য নতুনভাবে প্রকাশ করা হলো। বইটির বাকি ৩টি খণ্ড খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
বইটি সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তবে নিজের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় কিছুটা দখল থাকলে অতিদ্রুত ও সহজে বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ্‌ আগামি কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এই বইটির সিডি আপলোড করব। যদি এই বইটি এবং এর সিডি এক সাথে মিলে অনুশীলন শুরু করেন, তবে ১০০% নিশ্চিত যে, আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন শিক্ষক মহোদয় আপনার সাথেই আছেন।
আপনারা এই ওয়েবসাইট থেকে আপাতত আরবি উচ্চারন শিক্ষতে পারবেন - http://tajweedinenglish.com/

বইটির কিছু বৈশিষ্ট্যঃ

. কুরআন পাঠের জন্য বাংলা ভাষার সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ একটি বই।
. কুরআন শিক্ষার ব্যাকরণ সম্মত একটি কিতাব।
. সরাসরি আরবি টু বাংলার ব্যবহার।
. উর্দু ও ফার্সীর ঝামেলা মুক্ত একটি বই।
. প্রতিটি পাঠে কুরআন ও আরবি ভাষার শব্দ দ্বারা উদাহরণ।
. প্রতিটি পাঠে অনুশীলনী ও সহজে বুঝার জন্য বিভিনড়ব রঙের ব্যবহার।
. সিডির সাহায্যে শিক্ষক ছাড়া ঘরে বসে কুরআন শিখার সুব্যবস্থা।
. সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ ইবনে আব্দুল আজিজ -এর কুরআন প্রিন্টিং প্রেস হতে আরবি নিয়মে ছাপা কুরআন পড়ার সমস্যা দূরকরণ।

 ডাউনলোড | Download 

ডাউনলোড করুন ই সাইট থেকে
বিদ্রঃ বাজারে বইটির কপি এখনও ছাড়া হইনি। প্রিয় শিক্ষক মহোদয়, শিক্ষার্থী ও বাবা-মা যাঁরাই বইটি পড়বেন বা পড়াবেন তাঁদের জন্য বইটির ৯ পৃষ্ঠায় কিছু জরুরি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আশা করি পরামর্শগুলো গ্রহণ করলে আল্লাহ্‌ চাহে আপনার কাঙ্খিত আশা পূরণ হবে।
আপনারা বইটির PDF ডাউনলোড করে যেকোনো Computer Compose এর দোকান থেকে প্রিন্ট করে পড়তে পারবেন।
=======================================================================================
আমার জন্য দুয়া করবেন।সবাই ভাল থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
ভুল হলে মাফ করে দিবেন।
সূত্র - লেখকঃ আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল , টেউটিউনস্ ।

Wednesday, May 28, 2014

Hatim 4 কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য দারুন এক সফটওয়্যার

Hatim 4 – কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য অনন্য সফটওয়্যার

কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য

 দারুন সেরা  এক অসাধারন  সফটওয়্যার

সত্যিই   -     Hatim 4-একটি কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য দারুন সফট্‌ওয়্যার।

Hasenat Hatim1
আধুনিক এই যুগে কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এক বিশেষ দান। আর এই দানকে কাজে লাগানো যায় অনেক ধরনের ভালো কাজে। hasenat.net একটি তুরস্কের ওয়েবসাইট। তাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন। তাদের পরিশ্রমের প্রতি লক্ষ করলে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে পারা যায় না। নবীজি (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বান্দার কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, সে আল্লাহর রাব্বুল আলামীনেরও প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে না।

Thursday, May 22, 2014

ঢাকার চির স্থায়ী নামাজের সময়সূচী

চির স্থায়ী নামাজের সময়সূচী

              এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ ঢাকার জন্য প্রয়োজ্য। অন্যান্য স্থানে এটি রমজানে মত সময়

  পার্থক্য বুঝে সময় নির্ধারন করতে হবে।


আপনি ইচ্ছা করলে এটি  পিডিএফ ফরমেটে  এই সাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।


Wednesday, May 21, 2014

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তাহাজ্জুদ নামাজ

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তাহাজ্জুদ নামাজ
হাফেজ সাইফুল ইসলাম  : তাহাজ্জুদ শব্দটি নিদ্রা যাওয়া ও জাগ্রত হওয়া পরস্পরবিরোধী দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে ‘রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকুন’ (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত-৭৯)। কোরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকার অর্থ নামাজ পড়া। এ কারণেই রাত্রিকালীন নামাজকেই তাহাজ্জুদের নামাজ বলা হয়। তবে অধিকাংশ মুফাসিসরগণের মতে, শয্যা পরিত্যাগ করে যিকির ও দোয়ায় আত্মনিয়োগ করার অর্থ তাহাজ্জুদ ও নফল নামাজ, যা গভীর রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর পড়া হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। ইসলামের সূচনার যুগে এটি মহানবী (স.) ও উম্মত সবার জন্য ফরজ ছিল।
রাসূল (স.)-এর মে’রাজের পর তা নফল হয়ে যায়। যেমন সূরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহপাক আদেশ দিয়েছেন ‘হে বস্ত্রাবৃত, রাত্রিতে দ-ায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে অর্ধ রাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম।’ (সূরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত ১-৩)। এই আয়াতসমূহে তাহাজ্জুদের নামাজ কেবল ফরজ করা হয়নি বরং রাত্রির চতুর্থাংশ নামাজে মশগুল থাকার প্রতিও তাগিদ দেয়া হয়েছে।ইমাম বাগবী (রহ.) বলেন, এই আদেশ পালনার্থে রাসূল (স.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদ নামাজে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর ওই সূরার শেষাংশের ‘কোরআনের যতটুকু তোমাদের সহজ মনে হয় ততটুকু আবৃত্তি কর’ আয়াতটি নাজিল হলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা রহিত হয়ে যায় এবং বিষয়টি নিজের ইচ্ছর ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। যতক্ষন নামাজ পড়া সহজ মনে হয় ততক্ষণ নামাজ পড়া তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হজরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মে’রাজের রাত্রিতে পঞ্জেগানা নামাজ ফরজ হওয়ার আদেশ এলে তাহাজ্জুদের ফরজের আদেশটি রহিত হয়ে যায়।তবে এরপরও তাহাজ্জুদ সুন্নাত হিসেবে বহাল থেকে যায়। কারণ রাসূল (স.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। (তাফসিরে মা’আরিফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)।
তাহাজ্জুদের মর্যাদা অপরিসীম। ফরজ নামাজের পরে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। হাদিস শরীফে রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর উত্তম রোজা হলো মুহাররম মাসের রোজা এবং ফরজ নামাযের পর উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ’ (তাহাজ্জুদের নামাজ)। তাহাজ্জুদগুজার বান্দাহ্দের অগ্রগতির স্বীকৃতি আল্লাহপাক স্বয়ং নিজেই দিয়েছেন যথা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালন কর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান? যে এরূপ করে না’ (সূরা জুমার, আয়াত নং-৯)। বেহেশতবাসী পরহেজগার মুমিন বান্দাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা রাত্রির শেষাংশে জাগ্রত থেকে নামাজ পড়ে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তা’আলা তাদের বর্ণনা দিয়েছেন যে, ‘তারা (খোদাভীরুরা) রাত্রির সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সূরা আজ-জারিয়াত, আয়াত-১৭-১৮)।
মহান প্রভু পবিত্র কোরআনের সূরা ফুরকানে তাঁর প্রিয় বান্দাহ্দের ১৩টি বিশেষ গুণাবলী ও আলামত বর্ণনা করেছেন। সেই বিশেষ গুণসমূহের একটি হচ্ছে- তাহাজ্জুদ নামাজ। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, ‘এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দ-ায়মান হয়ে।’ (সূরা আল- ফুরকান, আয়াত-৬৪)।
কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব-নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজ হিসাব কামনা করে, তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। শ্রেষ্ঠতম মুফাসিসরে কোরআন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (র.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে সহজ হিসাব কামনা করে, তার উচিত হবে আল্লাহ যেন তাকে রাত্রির অন্ধকারে সেজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় পান। তার মধ্যে পরকালের চিন্তা ও রহমতের প্রত্যাশাও থাকা দরকার। (তাফসিরে কুরতুবি, মা’আরেফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)।
মহান আল্লাহ তা’আলা তাহাজ্জুদগুজার বান্দাহ্দের জন্য জান্নাতে অসাধারণ বালাখানা সজ্জিত করেছেন। হজরত আবু মালেক আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল (স.) বলেন, ‘জান্নাতে এমন কক্ষ থাকবে যার ভিতরের অংশ বাহির থেকে এবং বাইরের অংশ ভিতর থেকে দৃষ্টিগোচর হবে।’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (স.) এসব কক্ষ কাদের জন্য? উত্তরে রাসূল (স.) বললেন, যে ব্যক্তি সালাম করে, ক্ষুধার্তকে আহার করায় এবং রাত্রে যখন সবাই নিদ্রিত থাকে, তখন সে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে। (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী তিরমিজি ) (তাফসিরে মাজহারি, মা’আরেফুল কোরআন)।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত রোজ হাশরে সমগ্র সৃষ্টিকুলের উপস্থিতিতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী প্রিয় বান্দাহদের মহান সম্মানে ভূষিত করবেন। হজরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ হতে বর্ণিত আছে যে, ‘রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, কেয়ামতের দিন যখন আল্লাহ পাক পূর্ববর্তী মানবম-লীকে একত্রিত করবেন, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক আহ্বানকারী (যার আওয়াজ সমগ্র সৃষ্টিকুল শুনতে পাবে) দাঁড়িয়ে আহ্বান করবেন- হে হাশরের মাঠে সমবেত মানবম-লী, আজ তোমরা জানতে পারবে যে, আল্লাহপাকের নিকট সর্বাধিক সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী কে? অনন্তর সে ফেরেশতা ‘যাদের পার্শ্বদেশ শয্যা থেকে পৃথক থাকে’ এরূপ গুণের অধিকারী লোকগণকে দাঁড়াতে আহ্বান জানাবেন। এই আওয়াজ শুনে এসব লোক (তাহাজ্জুদগুজার) দাঁড়িয়ে পড়বেন, যাদের সংখ্যা হবে খুবই নগণ্য। এদের হিসাব গ্রহণ ব্যতিতই বেহেশতে প্রেরণ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য সমগ্র লোক দাঁড়াবে এবং তাদের হিসাব গ্রহণ করা হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, মাজহারি, মা’আরিফুল কোরআন)।
তাহাজ্জুদ নামাজ; মন্দ কাজের কাফফারা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মহান সুযোগ। তিরমিযি শরীফে হজরত আবু উমামা বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়। কেননা এটি তোমাদের পূর্ববর্তী সব নেক বান্দাহর অভ্যাস ছিল। এটা তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার নৈকট্যদানকারী, মন্দ কাজের কাফফারা এবং গুনাহ থেকে নিবৃত্তকারী। (মাজহারি, মাআরেফুল কোরআন)।
প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি কামনা করেন, আল্লাহ যেন তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেন, তার এবাদত-বন্দেগি কবুল করেন এবং তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেন। এসব চাওয়া-পাওয়ার প্রধান অবলম্বন হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। সহিহ হাদিসের সবকটি কিতাবেই এই হাদিসটি বর্ণিত আছে যে, হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা প্রতি রাতের শেষাংশে দুনিয়ার আকাশে বিরাজমান হন এবং ঘোষণা দেন যে, কোনো প্রার্থনাকারী আছ কি? যার প্রার্থনা আমি কবুল করব। প্রয়োজন প্রার্থনার কোনো লোক আছ কি? যার প্রয়োজন আমি পূর্ণ করে দেব। এবং কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দেব।’
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফযিলত সম্পর্কে আরো অনেক সুস্পষ্ট আয়াতে কারিমা ও হাদিস শরীফ রয়েছে যা সীমিত পরিসরে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। উক্ত আয়াত ও হাদিস শরীফসমূহ থেকে এটি পরিষ্কার হয় যে, তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর সাথে বান্দার কথোপকথনের এক মহান অবলম্বন। ¯্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করে। তাহাজ্জুদের বদৌলতে মানুষ মহান মর্যাদার অধিকারী হয়। জনৈক বুজুর্গ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উন্নতি চায় সে যেন শেষ রাত্রিতে জাগ্রত থেকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে।’ তাহাজ্জুদের ফলে মানুষের অন্তরাত্মা পশুত্বের প্রভাবমুক্ত হয়ে ঈমানি আলোয় উদ্ভাসিত হয়। ফলে হৃদয়ে প্রফুল্লতা আসে এবং এবাদতের স্বাদ অনুভূত হয়। সুতরাং তাহাজ্জুদ নামাজ প্রতিটি মুসলিমের জন্য ইহকালীন উন্নতি ও পরকালীন মুক্তির এক মহান এবাদত।
লেখক : প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, রামু লেখক ফোরাম
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/04/08/171330.php#sthash.OlWo2FO8.dpuf

তাবলিগ জামাত

তাবলিগ 

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাবলিগ জামাত
تبلیغی جماعت
2009 Malaysian Tablighi Ijtema.jpg
২০০৯-এ অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের মালয়েশিয়া বার্ষিক ইজতেমা
সেপাঙ সেলানগার, মালয়েশিয়া
প্রতিষ্ঠাতা
মুহাম্মদ ইলিয়াস [রহ.]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 বাংলাদেশ
 পাকিস্তান
 যুক্তরাজ্য
 মালয়েশিয়া
 দক্ষিণ আফ্রিকা
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 শ্রীলঙ্কা
ধর্ম
সুন্নি (ইসলাম)
(Predominantly Deobandi)
ধর্মগ্রন্থ
কোরআন
ভাষা
Liturgical: আরবি
বাংলাদেশে: বাংলা
পাকিস্তান ও ভারত:উর্দু
In the diaspora: যুক্তরাজ্যে: স্ব স্ব স্থানীয় ভাষা
তাবলিগ জামাত একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা। সাধারণত মানুষকে আখিরাতঈমান, আমল-এর কথা বলে তিনদিনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর পর যথাক্রমে সাতদিন ও চল্লিশদিন-এর জন্য আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত-এর কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। তাবলিগ জামাত-এর মুল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় ৬টি উসুল বা মূলনীতিকে। এগুলো হলো: কালিমানামায, ঈল্‌ম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন বা মুসলমানদের সহায়তা করা, সহিহ নিয়ত বা বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা, এবং তাবলিগ বা ইসলামের দাওয়াত।[১]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

Biswa Ijtema Dhaka Bangladesh.jpg
মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু মুহাম্মদ ঈশ্বরের শেষ বাণীবাহক, তাঁর পরে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, তাই মুহাম্মদ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে মুসলমানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্বটি দিয়ে যান।[২] তবে এবিষয়ে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থকুরআনেও উল্লেখ আছে:
তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)[৩]
তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)[৩]
ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর আদর্শস্নাত সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের মাধ্যমে ইসলামী জীবন বিধান প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম আরো বিস্তৃতি লাভ করে। কিন্তু মুসলিম শাসকদের ক্ষমতা বিলপ্তির পর ইসলামী প্রচার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম মনীষীদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত ছিল। এমনই পরিস্থিতিতে মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস ভারতের দিল্লীতে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন এবং তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তাবলিগ জামাত একটি বহুল প্রচারিত আন্দোলনে রূপ নেয়। সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া তাবলিগ জামাতের অন্যতম উদ্দেশ্য।[১]
সূত্র - বাংলা উইকি পিডিয়া।
## জানুন আরও -  তাবলিগ কি এবং কেন ?
## জানুন আরও -  তাবলিগের ছয় নম্বর 

তাবলিগের ছয় নম্বর - ঈমানের জন্য জানা জরুরী

তাবলিগ ছয় নম্বর - ঈমানের জন্য জানা জরুরী

আমি যদি আল্লাহ তালার কাছে কবুল হতে চাই, আল্লাহ তায়ালা পদ, ডিগ্রি বা অন্য কোন যোগ্যতা দেখে না আল্লাহ তায়ালা দেখেন গুন গুনগুলির মধ্যে বড় গুন হইল ঈমানের গু

ঈমান হুজুর(সাঃ) এর উপর আস্থা থাকার কারণে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে যেসব খবর নিয়া আসিয়াছেন তাহা বিনা দ্বিধায় মানিয়া লওয়ার নাম হইল ঈমান

ঈমানী  কালেমা  হইতেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই, হযরত মুহম্মদ(সাঃ) তাঁর প্রেরিত রাসুল

ঈমানের উদ্দেশ্যঃ

. দীলের একীন সহী করা, দীল হইতে মাখলুকের একীন বাহির করিয়া একমাত্র আল্লাহ পাকের একীন দীলে বসাইতে হইবে
. তরীকার একীন সহী করা করা - হযরত মুহম্মদ(সাঃএর তরীকায়ই শান্তি কামিয়াবীর একীন দীলে বসাইতে হইবে
. জজ্বার একীন সহী করা - দুনিয়া সুখের জায়গা না, দুঃখের জায়গা না চিরস্থায়ী সুখের জায়গা হল জান্নাত, আর চিরস্থায়ী দুঃখের  জাহান্নাম

ঈমানের লাভ

যদি কেহ জাররা পরিমান ঈমান নিয়া যায়, তাহলে সে দুনিয়ার সমান জান্নাত পাইবে যতদিন পর্যন্তÍ দুনিয়ার মধ্যে একজন ঈমানওয়ালা থাকিবে ততদিন পর্যন্তÍ দুনিয়া ধ্বঃস হইবে না

হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া

দাওয়াত

. দাওয়াত দিতে হইবে নিজের জন্য দায়ী যেই সেই জিনিসের হাকীক্কত আল্লাহ্তায়্লা তাহার জিন্দিগীতে আনিয়া দিবেন
. যেখানে মাখলুক হইতে হয় এই বিশ্বাস বা কথা হয় সেখানে গিয়া আল্লাহ পালেন, এই কথার দাওয়াত দিতে হইবে
. হুজুর(সাঃ) এর সুন্নতকে জিন্দা করিবার জন্য দাওয়াত দিতে হইবে যেই রাস্তা দিয়া সুন্নত ছুটিবে সেই রাস্তা দিয়া বিদ্য়াত ঢুকিবে বিয়ে করা সুন্নত নয়, বরং সুন্নত তরীকায় বিয়ে করা সুন্নত সুন্নতের উপর চলিলে, ) মুমিনের দীলে মুহব্বত পয়দা হয়, ) কাফেরদের দীলে ভয় পয়দা হয়, ) রুজিতে বরকত হয়, ) দ্বীনের উপর টিকে থাকবে
. দুনিয়ার সুখ দুঃখ ক্ষনস্থায়ী আখিরাতের সুখ দুঃখ চিরস্থায়ী দুনিয়ার জজ্বা দিল হইতে বাহির করিয়া আখেরাতের জজ্বা   পয়দা করিতে হইবে মনের জজ্বা দীল হইতে বাহির করিয়া আমলের জজ্বা পয়দা করিতে হইবে

মশক

. মসজিদে, ঘরে হালকা বানাইয়া আল্লাহ তায়ালার  কুদরতের আলোচনা করিতে হইবে আল্লাহতায়ালার কুদরত তিন জাগায় আছে
) কোরান শরীফে আল্লাহ তায়ালা কুদরতের কথা আছে                 
) সারা কায়েনাতে আল্লাহ তায়ালার কুদরত রহিয়াছে  কায়েনাতের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার যেসব কুদরত আছে, সেসব কুদরতের আলোচনা না করিলে মানুষের কায়েনাতের পুজারী হইবে
) মানুষের শরীরে আল্লাহ তায়ালার কুদরত আছে
. আম্বিয়া (আঃ) গন আসবাবকে এনকার করার এবং আল্লাহ তায়ালার  কুদরতের উপর বিশ্বাস করার কারনে আল্লাহ তায়ালা সেসব গায়েবী নুসরত করেছেন সেগুলির মোজাকারা করিলে ঈমান জমাইয়া দিবেন
. সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গন আল্লাহ তায়ালার   ওয়াদার উপর পূর্ন একীন করার কারনে যেসব গায়েবী নুসরত করেছেন তাহার আলোচনা করিতে হইবে
. কোরান হাদিসের আলোকে ঈমানের আলামত যাচাই করতে হবে ভাল কাজ করিলে যদি ভাল লাগে, আর খারাপ কাজ করিলে যদি খারাপ লাগে, এটাই ঈমানের আলামত মসজিদে থাকিলে যদি ভাল লাগে এটাও ঈমানের আলামত
দোয়াÑ  কামেল ঈমানের জন্য, সাহাবাওয়ালা ঈমানের জন্য এবং মউতের সময় এখলাসের কালেমা নসীব হওয়ার  জন্য দোয়া করিতে হইবে

নামাজ

আল্লাহ তায়ালার   খাজানা হইতে লওয়ার মাধ্যম হইল নামাজ আর সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হইল নামাজ আল্লাহ তায়ালার   কুদরত হইতে সরাসরি ফায়দা হাসিল করিবার উপায় হইল, আল্লাহ পাকের  সকল হুকুম হুজুর (সাঃ) এর তরীকায় পুরা করা এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ন এবং বুনিয়াদি আমল হইল নামাজ
লাভ - নিশ্চয়ই নামাজ যাবতীয় নিলর্জ্জ অশোভনীয় কাজ হইতে বিরত রাখে দীল দেমাগকে দুনিয়া হইতে খালি করিয়া এবং জিসিমকে মাখলুক হইতে খালি করিয়া নামাজ পড়িয়া যাহাই চাইবে তাহাই পাইবে

হাসিল করিবার তরিকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া

দাওয়াত

. খশু-খুজ ওয়ালা নামাজের উপর মজবুত হওয়ার জন্য বেশী বেশী দাওয়াত দিতে হইবে
. নামাজ হইল জান্নাতের চাবি, আর ওজু হইল নামাজের চাবি কাজেই ওজুর ৪টি ফরজ ১৮টি সুন্নতের দাওয়াত দিতে হইবে
. একদিন হুজুর (সাঃ) মসজিদে নবীতে বসা ছিলেন এমন সময় একজন সাহাবী আসিয়া নামাজ পড়িয়া আসিয়া হুজুর (সাঃ) সালাম করিলেন হুজুর (সাঃ) বলিলেন তুমি আবার নামাজ পড় নাই, নামাজ পড়িয়া আস সেই সাহাবী আবার নামাজ পড়িয়া আসিলে, আবার হুজুর(সাঃ) আবার নামাজ পড়িয়া আসিতে বলিলেন সাহাবী আর একবার নামাজ পড়িয়া আসিলে হুজুর (সাঃ) আবার বলিলেন, তুমি আবার নামাজ পড় নাই, নামাজ পড়িয়া আস তখন সাহাবী বলিলেন, আমি এর চেয়ে ভালভাবে নামাজ পড়িতে পারি না আপনি আমাকে নামাজ শিখাইয়া দিন হুজুর (সাঃ) বলেন, যখন তুমি কিরাম করবে তখন সোজাভাবে দাঁড়াও যতটুকু পার ধ্যানসহ পড়, তারপর রুকু, কওমা, সিজদা জলসা শান্তভাবে করো
. হযরত হোযায়ফা (রাঃ) একদিন দামেস্কের মসজিদে বসা ছিলেন এমন সময় কয়েকজন লোক নামাজ পড়ে যাওয়ার সময় হযরত  হোযায়ফা (রাঃ) লোকটিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনি কতদিন যাবত এইভাবে নামাজ পড়েন ? উত্তরে লোকটি বলিলেন ৪০ বছর যাবত তখন হযরত হোযায়ফা (রাঃ) লোকটিকে বলিয়াছিলেন আপনি কি শোনেন নাই যে, যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে, সে কাল হাশরের ময়দানে হুযুর (সাঃ) এর দ্বীনের উপর উঠতে পারবে না
মশক - নামাজের দুইটি দিক আছে অযু হতে সালাম পর্যন্ত বাহিরের দিক যাহার প্রত্যেক ফরজ, ওয়াজিব সুন্নত সমূহের লাভ জানিয়া ধ্যানের সহিত নামাজ আদায় করিতে হইবে নামাজের ভিতরে ৪টি রোকন আছে - কিয়াম, রুকু, সিজদা বৈঠক প্রত্যেক রোকনে তিনবার করিয়া এই কথা মনে করিতে হইবে যে, আল্লাহতায়ালা আমাকে দেখিতেছেন আমার নামাজ যেন কবুল হয় তাহার জন্য মেহনত করিতে হইবে
দোয়া - হাক্কিকতের নামাজের জন্য দোয়া করিতে হইবে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ভালভাবে নামাজ পড়িবার জন্য দোয়া করিয়াছিলেন

এলেম

আল্লাহ তায়ালার মহান সত্তা হইতে সরাসরি ফায়দা হাসিল করিবার জন্য আল্লাহ তায়ালার সকল হুকুম সমূহ হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর এর তরিকায় পালন করিবার উদ্দেশ্যে এলেম হাসিল করিতে হইবে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য  এলেম এখলাস শর্ত যার এলেম নাই সে বড় মূর্খ আর যে জানে কিন্তুু আমল করে না সে জালিম
উদ্দেশ্য এলেম এলাহীল এক্কীন বা কামিয়াবীর এক্কীন দীলে পয়দা করিতে হইবে এই বিষয়ে  যাচাই করা যে, আল্লাহ তায়ালা আমার নিকট কি চাহিতেছেন? এলেমের নূর আমাকে আমলে খাড়া করিবে এলেমে এলাহী কি ? যে এলেম আল্লাহ তায়ালা চান, তাহাই এলমে এলাহী আর যে মাখলুক চায়, তাহা হইলা দুনিয়াবী কৌশল যে এলেমের সাথে কবরের  ৩টি প্রশ্নের সম্পর্ক আছে তাহাই হইল, এলমে দ্বীন
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া
দাওয়াত   এলেমের দাওয়াত না দিলে জেহালত পদয়া হইবে এলেম অর্জন করিয়া বসিয়া গেলেও জেহালত হইবে এই জন্য লাইনে মেহনত করিতে হইবে
. মাসায়লে এলেমের জন্য আলেমদের কাছে যাওয়া, . ফাজায়েলে এলেমের জন্য তালিমের হালকায় বসা, .তরীকার জন্য ইনফিরাদী ভাবে হায়াতুস সাহাবা পড়া , . সিফতের জন্য মুন্তাখাব হাদিস পড়া
মশক   উপরের লাইনের মেহনত করতে হবে
দোয়া   হাক্কীকতের এলেমের জন্য আল্লাহ তায়লার কাছে দোয়া করিতে হইবে

জিকির

 আল্লাহ তায়ালার সকল হুকুম সমূহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর তরীকায় আল্লাহর ধ্যানে আদায় করার নামই হইল জিকির জিকিরের উদ্দেশ্য  হইল এহসান পয়দা করা গাফ্লত দুর করা এহসান হইল, আমি আল্লাহকে দেখিতেছি আল্লাহ আমাকে দেখিতেছেন এই খেয়াল করা
লাভ - কোন জান্নাতি জান্নাতে প্রবেশের পর আর কোন জিনিসের জন্য  আফসোস করিবে না, শুধু এই সময় ছাড়া, যে সময় দুনিয়াতে সে আল্লাহর  জিকির ছাড়া অতিবাহিত করিয়াছেন

হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া

দাওয়াত   -আমি যদি জিকিরের দাওয়াত না দেই, তাহলে আমার অন্তরে গাফলত পয়দা হইবে তারুফ, তাসবিহ্ তাহমিদ বলিয়া দাওয়াত দিতে হইবে
মশক   গাফলতের সাথে জিকির করিলে আল্লাহর সাথে দুরুত্ব পয়দা হইবে গাফলতের সাথে জিকির করা বিদআতি রোজানা কোরান তেলাওয়াত, তিন তাসবিহ্ আদায় ক্ষেত্র বিশেষে মাসনুন দোয়া আল্লাহর ধ্যান আমলের লাভ সামনে রাখিয়া দোয়া করা সব সময় আল্লাহর যে কোন সিফাতী নাম মুখে রাখা
দোয়াঃ আল্লাহকে ভুলিয়া যাওয়ার নাম দুনিয়া এইজন্য ধ্যান ওয়ালা জিকিরের জন্য দোয়া করিতে হইবে

একরামুল মুসলেমিন

একরাম হইল মুসলমান ভাইয়ের কিম্মত বুঝিয়া নিজের হককে দাবাইয়া রাখিয়া তাহার হক আদায় করা আল্লাহ তায়ালার বান্দার সহিত সর্ম্পকিত আল্লাহর তায়লার হুকুম সমূহ হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর তরীকায় পাবন্দী সহকারে পুরা করিতে হইবে উহাতে মুসলমানদের মর্যাদার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখিতে হইবে আমল সহীহ্ হইবে এলেমের দ্বারা, সুন্দর হইবে জিকির দ্বারা, হেফাজত হইবে একরাম এবং কবুল এখলাস দ্বারা
উদ্দ্যেশ্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর হুসনে আখলাক নিজের মধ্যে পয়দা করা সবচেয়ে বড় একরাম হইল কোন মুসলমান ভাইয়ের দোষ ঢাকিয়া রাখা
লাভ যে ব্যক্তি অন্যের দোষ ঢাকিয়া রাখিবে, আল্লাহ তায়ালা তাহার দোষ ঢাকিয়া রাখিবেন

হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া

দাওয়াত   কার কি হক - মায়ের কি হক, বাবার কি হক, বাচ্চার কি হক, বিবির কি হক, প্রতিবেশীর কি হক তাহা লিষ্ট করিয়া  আদায়ের দাওয়াত দিতে হবে                                                                      
মশক   বাবা মার কদর করা, ছোটদের ¯œ করা, বড়দের সম্মান করা, আলিমদের তাজিম করা, নিজকে সবসময় ছোট মনে করা দোয়া - সব সময় যেন মুসলমানদের হক আদায় করিতে পারি তাহার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করিতে হইবে

একলাস

এখলাসের দ্বারা আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হয় আল্লাহ তায়ালার হুকুম সমূহ হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর তরীকায় একমাত্র আল্লাহর রাজীর জন্যই করিতে হইবে প্রত্যেক কাজে দেখিতে হইবে যে, কেন করিতেছি  এবং কাহার উদ্দেশ্যে করিতেছি নিয়ত ছাড়া আমল নাই আর এহতেসাব ছাড়া আমলের কোন আজর নাই
লাভ - এখলাসের সাথে অল্প আমল করিলেও বদলা অনেক বড় বিনা এখলাসে অধিক আমলে কোন বদলা হইবে না
হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া
দাওয়াত প্রত্যেক আমলে নিয়ত যাচাইয়ের দাওয়াত দিতে হইবে সাহাবীদের এখলাসের ঘটনাসহ দাওয়াত দিতে হইবে
মশক - নামজের শুরুতে শেষে এবং অন্যান্য আমলের শুরুতে, মাঝে এবং শেষে নিয়তকে যাচাই করা রিয়া থেকে বাঁচিবার জন্য (চার) টি আমল করিতে হইবে
.            ২৪ ঘন্টায় এমন জায়গায় এমন আমল করা, যাহা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না
.           নিজের বা অপরের ভাল-মন্দ যাহা কিছু হয়-খবর শুনিলে আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে বলা
.           নিজের দোষ তালাশ করা অন্যেও দোষের মধ্যে গুন খুজিতে থাকা আর নিজের গুনের মধ্যে দোষ খুজিতে থাকা
.           আমরা দুনিয়ায় বাচিয়া আছি শ্রেফ আল্লাহকে রাজী করিবার জন্যপ্রতিদিন বার এই কথা মনে করা                          
দোয়া সকল কাজ আমি যেন আল্লাহকে রাজীর জন্য করিতে পারি তাহার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা

দাওয়াত তাবলিগ


নিজের এক্কীন আমলকে সহী করা এবং সকল মানুষকে সহীহ এক্কীন আমলের উপর আনার জন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মেহনতের তরীকাকে সারা বিশ্বে জিন্দা করিরবার চেষ্টা করিতে হইবে
লাভ স্ত্রী, মাল, আওলাদ প্রতিবেশী সম্পর্কিত হুকুম পালনে যেসব ক্রুটি বিচ্যুতি গুনাহ হয়- নামাজ, সদগা, আমরে বিল মারুফ    আনিল মুনকার উহার কাফ্ফারা হইয়া যায়

হাসিল করিবার তরীকা-তিন লাইনে মেহনত-দাওয়াত, মশক দোয়া

দাওয়াত   আমার জান-মাল আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করিয়াছেন আমার জান আল্লাহর, আমার মাল আল্লাহর
এই জান-মাল দুনিয়াতে দ্বীন  বুলন্দ হওয়ার জন্য খরচ করিবার দাওয়া দিতে হইবে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গন সর্ব হালতে  অর্থাৎ জোয়ান, বার্ধ্যক্যে, সুস্থ্যতায়- অসুস্থতায়, গরমে ঠান্ডায় সাদী বা রোখসাতিতে, খেজুর পাকা মওসুমে দ্বীনের  তাকাজার সাথে সাথে লাব্বায়িক বলিয়াছেন
মশক জীবনের প্রথম সুযোগে (তিন) চিল্লা  (চার মাস) দিয়া এই কাজ শিখিতে হইবে তাছাড়া বছরে চিল্লা, মাসে ১০ দিন দৈনিক ঘন্টা মেহনত করা চাই এবং কাজের এহতেমাম করিতে হইবে মসজিদ ওয়ার জামাতে থেকে দাওয়াত তালীম এস্তেগবাল এর আমলে নিজকে জড়িয়ে রাখতে হবে

দোয়া - নিজের জন্য দোয়া করা বিশেষ করে আরববাসীদের জন্য  দোয়া করা-তাহাদের মধ্যে সাহাবা (রাঃ) গনের রক্ত আছে

দাওয়াতের কাজ করিলে ৫টি উপকার য়        দাওয়াতে কাজ না করিলে  ৬টি   অপকার হয়

. আল্লাহ পাক মহ্বত করেন                                            . গায়েবী নিজাম বিপক্ষে চলিয়া যায়
. দোয়া কবুল করেন                                                    . দোয়া কবুল হয় না
. আল্লাহ পাক মাফ করিয়া দিবেন                                  . রুজির বরকত থাকিবে না
. আল্লাহ পাক সম্মানিত রিজিক দিবেন                             . মুসলমানদের মধ্যে মহব্বতের পরিবর্তে       
                                        দুষমনি  পয়দা হইবে
. আল্লাহ পাক দীলে ভয় পয়দা করিবেন                            .  . . . . . . . .     বেইজ্জত হইবে
                                                                              . মহিলারা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করিবে
****  শেখ শহিদুল ইসলাম ভাইয়ের সৌজন্যে *******