দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী
“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০
দুনিয়ার দুঃখ দুঃখ না, জাহান্নারের দুঃখ আসল দুঃখ
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০
নামাজ বেহেস্তের চাবি
রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।
কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
Saturday, May 31, 2014
Friday, May 30, 2014
আসলে আমাকে মরতে হবে ?
আসলে মৃত্যু কি আমার হবে ?
মানুষ মরনশীল। মানুষ মাত্রকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। তবুও আমরা মৃত্যু সর্ম্পকে বে ফিকির।
শুরুতেই এই ভিডিওটি দেখি, তাহলে সহজে আমরা িএকীন করতে পারব।
এবার আরও ছোট আরএকটি নমুনা দেখি।
অনন্ত অসীম পরকালে সাফল্যে বা জান্নাত লাভের জন্য নিজের আমল বৃদ্ধি করি।
Thursday, May 29, 2014
বই – শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষার সহজ পদ্ধতি
বই – শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষার সহজ পদ্ধতি – প্রথম খণ্ড
এই পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতি চারটি কাজ জরুরি:
১. কুরআন মজীদের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিখে নিয়মিত পাঠ করা।
২. কুরআনুল কারীমের যে অর্থ ও তফসীর রসূলুল্লাহ (দ:) তাঁর সাহবাগণকে শিক্ষা দিয়েছিলেন তাঁদের পরে তাবে‘য়ী ও ইমামগণ তাই শিখে ছিলেন। আমাদেরকেও সেই সঠিক অর্থ ও তফসীর জানা।
৩. সঠিক অর্থ ও তফসীর জেনে প্রতিটি বিষয়ে তার প্রতি যথাযত আমল করা।
৪. নিজেরা আমল করলেই চলবে না বরং অন্যদেরকেও কুরআনের দা‘ওয়াত ও তাবলীগ করা।
বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিখার জন্য প্রতিটি ভাষায় কিছু পুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশ। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ কোটি বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে, যাদের অধিকাংশ মুসলিম। বাংলাভাষী মুসলিম ভাইদের কুরআন শিক্ষার প্রতি চরম আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু আজ স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর পরেও আমাদেরকে যাঁরা কুরআনের তা‘লিম তথা শিক্ষা দেন তাঁদের সিংহভাগ আজও উর্দু ও ফার্সী নিয়ম থেকে অতিক্রম করতে পারেননি। উর্দু ও ফার্সী নিয়মে আধুনিক নাম দিয়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বহু বই-পুস্তক রয়েছে।
আরো বড় আশ্চর্য লাগে আরবি কুরআন শিক্ষার জন্য আরবি ও বাংলা ভাষার মাঝে শিক্ষার্থীদের মাথার উপর উর্দু-ফার্সীর বোঝা চাপানো দেখে। এ ছাড়া আরো আশ্চর্যের কথা হলো: যখন এক শ্রেণীর মানুষ উর্দু-ফার্সী নিয়মকেই আরবি বলে চালিয়ে দেন। আর উর্দু-ফার্সীর ঝামেলা নয় বরং সরাসরি আরবি টু বাংলার নতুন দিগন্ত উম্মচন করতে আমাদের এ ছোট প্রয়াস।
বইটির চারটি অংশ রয়েছে: (এক) কুরআনের পরিচিতি। (দুই) কুরআন শিক্ষার সহজ ব্যাকরণ। (তিন) তাজবীদ অংশ। (চার) কুরআন সম্পর্কে প্রায় একশত প্রশ্নের উত্তর। এই বইটি আমরা যারা প্রথম থেকে কুরআন শিখতে ইচ্ছুক তাদের জন্য নতুনভাবে প্রকাশ করা হলো। বইটির বাকি ৩টি খণ্ড খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
বইটি সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তবে নিজের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় কিছুটা দখল থাকলে অতিদ্রুত ও সহজে বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ্ আগামি কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এই বইটির সিডি আপলোড করব। যদি এই বইটি এবং এর সিডি এক সাথে মিলে অনুশীলন শুরু করেন, তবে ১০০% নিশ্চিত যে, আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন শিক্ষক মহোদয় আপনার সাথেই আছেন।
আপনারা এই ওয়েবসাইট থেকে আপাতত আরবি উচ্চারন শিক্ষতে পারবেন - http://tajweedinenglish.com/
বইটির কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
১. কুরআন পাঠের জন্য বাংলা ভাষার সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ একটি বই।২. কুরআন শিক্ষার ব্যাকরণ সম্মত একটি কিতাব।
৩. সরাসরি আরবি টু বাংলার ব্যবহার।
৪. উর্দু ও ফার্সীর ঝামেলা মুক্ত একটি বই।
৫. প্রতিটি পাঠে কুরআন ও আরবি ভাষার শব্দ দ্বারা উদাহরণ।
৬. প্রতিটি পাঠে অনুশীলনী ও সহজে বুঝার জন্য বিভিনড়ব রঙের ব্যবহার।
৭. সিডির সাহায্যে শিক্ষক ছাড়া ঘরে বসে কুরআন শিখার সুব্যবস্থা।
৮. সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ ইবনে আব্দুল আজিজ -এর কুরআন প্রিন্টিং প্রেস হতে আরবি নিয়মে ছাপা কুরআন পড়ার সমস্যা দূরকরণ।
ডাউনলোড | Download
ডাউনলোড করুন এই সাইট থেকেবিদ্রঃ বাজারে বইটির কপি এখনও ছাড়া হইনি। প্রিয় শিক্ষক মহোদয়, শিক্ষার্থী ও বাবা-মা যাঁরাই বইটি পড়বেন বা পড়াবেন তাঁদের জন্য বইটির ৯ পৃষ্ঠায় কিছু জরুরি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আশা করি পরামর্শগুলো গ্রহণ করলে আল্লাহ্ চাহে আপনার কাঙ্খিত আশা পূরণ হবে।
আপনারা বইটির PDF ডাউনলোড করে যেকোনো Computer Compose এর দোকান থেকে প্রিন্ট করে পড়তে পারবেন।
আমার জন্য দুয়া করবেন।সবাই ভাল থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
Wednesday, May 28, 2014
Hatim 4 কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য দারুন এক সফটওয়্যার
Hatim 4 – কুরআন শোনা, পড়া এবং মুখস্থ করার জন্য অনন্য সফটওয়্যার
Thursday, May 22, 2014
ঢাকার চির স্থায়ী নামাজের সময়সূচী
এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ ঢাকার জন্য প্রয়োজ্য। অন্যান্য স্থানে এটি রমজানে মত সময়
পার্থক্য বুঝে সময় নির্ধারন করতে হবে।
আপনি ইচ্ছা করলে এটি পিডিএফ ফরমেটে এই সাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
Wednesday, May 21, 2014
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তাহাজ্জুদ নামাজ
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। ইসলামের সূচনার যুগে এটি মহানবী (স.) ও উম্মত সবার জন্য ফরজ ছিল।
রাসূল (স.)-এর মে’রাজের পর তা নফল হয়ে যায়। যেমন সূরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহপাক আদেশ দিয়েছেন ‘হে বস্ত্রাবৃত, রাত্রিতে দ-ায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে অর্ধ রাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম।’ (সূরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত ১-৩)। এই আয়াতসমূহে তাহাজ্জুদের নামাজ কেবল ফরজ করা হয়নি বরং রাত্রির চতুর্থাংশ নামাজে মশগুল থাকার প্রতিও তাগিদ দেয়া হয়েছে।ইমাম বাগবী (রহ.) বলেন, এই আদেশ পালনার্থে রাসূল (স.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদ নামাজে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর ওই সূরার শেষাংশের ‘কোরআনের যতটুকু তোমাদের সহজ মনে হয় ততটুকু আবৃত্তি কর’ আয়াতটি নাজিল হলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা রহিত হয়ে যায় এবং বিষয়টি নিজের ইচ্ছর ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। যতক্ষন নামাজ পড়া সহজ মনে হয় ততক্ষণ নামাজ পড়া তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হজরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মে’রাজের রাত্রিতে পঞ্জেগানা নামাজ ফরজ হওয়ার আদেশ এলে তাহাজ্জুদের ফরজের আদেশটি রহিত হয়ে যায়।তবে এরপরও তাহাজ্জুদ সুন্নাত হিসেবে বহাল থেকে যায়। কারণ রাসূল (স.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। (তাফসিরে মা’আরিফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)।
তাহাজ্জুদের মর্যাদা অপরিসীম। ফরজ নামাজের পরে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। হাদিস শরীফে রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর উত্তম রোজা হলো মুহাররম মাসের রোজা এবং ফরজ নামাযের পর উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ’ (তাহাজ্জুদের নামাজ)। তাহাজ্জুদগুজার বান্দাহ্দের অগ্রগতির স্বীকৃতি আল্লাহপাক স্বয়ং নিজেই দিয়েছেন যথা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালন কর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান? যে এরূপ করে না’ (সূরা জুমার, আয়াত নং-৯)। বেহেশতবাসী পরহেজগার মুমিন বান্দাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা রাত্রির শেষাংশে জাগ্রত থেকে নামাজ পড়ে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তা’আলা তাদের বর্ণনা দিয়েছেন যে, ‘তারা (খোদাভীরুরা) রাত্রির সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সূরা আজ-জারিয়াত, আয়াত-১৭-১৮)।
মহান প্রভু পবিত্র কোরআনের সূরা ফুরকানে তাঁর প্রিয় বান্দাহ্দের ১৩টি বিশেষ গুণাবলী ও আলামত বর্ণনা করেছেন। সেই বিশেষ গুণসমূহের একটি হচ্ছে- তাহাজ্জুদ নামাজ। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, ‘এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দ-ায়মান হয়ে।’ (সূরা আল- ফুরকান, আয়াত-৬৪)।
কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব-নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজ হিসাব কামনা করে, তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। শ্রেষ্ঠতম মুফাসিসরে কোরআন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (র.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে সহজ হিসাব কামনা করে, তার উচিত হবে আল্লাহ যেন তাকে রাত্রির অন্ধকারে সেজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় পান। তার মধ্যে পরকালের চিন্তা ও রহমতের প্রত্যাশাও থাকা দরকার। (তাফসিরে কুরতুবি, মা’আরেফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল)।
মহান আল্লাহ তা’আলা তাহাজ্জুদগুজার বান্দাহ্দের জন্য জান্নাতে অসাধারণ বালাখানা সজ্জিত করেছেন। হজরত আবু মালেক আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল (স.) বলেন, ‘জান্নাতে এমন কক্ষ থাকবে যার ভিতরের অংশ বাহির থেকে এবং বাইরের অংশ ভিতর থেকে দৃষ্টিগোচর হবে।’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (স.) এসব কক্ষ কাদের জন্য? উত্তরে রাসূল (স.) বললেন, যে ব্যক্তি সালাম করে, ক্ষুধার্তকে আহার করায় এবং রাত্রে যখন সবাই নিদ্রিত থাকে, তখন সে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে। (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী তিরমিজি ) (তাফসিরে মাজহারি, মা’আরেফুল কোরআন)।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত রোজ হাশরে সমগ্র সৃষ্টিকুলের উপস্থিতিতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী প্রিয় বান্দাহদের মহান সম্মানে ভূষিত করবেন। হজরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ হতে বর্ণিত আছে যে, ‘রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, কেয়ামতের দিন যখন আল্লাহ পাক পূর্ববর্তী মানবম-লীকে একত্রিত করবেন, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক আহ্বানকারী (যার আওয়াজ সমগ্র সৃষ্টিকুল শুনতে পাবে) দাঁড়িয়ে আহ্বান করবেন- হে হাশরের মাঠে সমবেত মানবম-লী, আজ তোমরা জানতে পারবে যে, আল্লাহপাকের নিকট সর্বাধিক সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী কে? অনন্তর সে ফেরেশতা ‘যাদের পার্শ্বদেশ শয্যা থেকে পৃথক থাকে’ এরূপ গুণের অধিকারী লোকগণকে দাঁড়াতে আহ্বান জানাবেন। এই আওয়াজ শুনে এসব লোক (তাহাজ্জুদগুজার) দাঁড়িয়ে পড়বেন, যাদের সংখ্যা হবে খুবই নগণ্য। এদের হিসাব গ্রহণ ব্যতিতই বেহেশতে প্রেরণ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য সমগ্র লোক দাঁড়াবে এবং তাদের হিসাব গ্রহণ করা হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, মাজহারি, মা’আরিফুল কোরআন)।
তাহাজ্জুদ নামাজ; মন্দ কাজের কাফফারা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মহান সুযোগ। তিরমিযি শরীফে হজরত আবু উমামা বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়। কেননা এটি তোমাদের পূর্ববর্তী সব নেক বান্দাহর অভ্যাস ছিল। এটা তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার নৈকট্যদানকারী, মন্দ কাজের কাফফারা এবং গুনাহ থেকে নিবৃত্তকারী। (মাজহারি, মাআরেফুল কোরআন)।
প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি কামনা করেন, আল্লাহ যেন তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেন, তার এবাদত-বন্দেগি কবুল করেন এবং তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেন। এসব চাওয়া-পাওয়ার প্রধান অবলম্বন হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। সহিহ হাদিসের সবকটি কিতাবেই এই হাদিসটি বর্ণিত আছে যে, হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা প্রতি রাতের শেষাংশে দুনিয়ার আকাশে বিরাজমান হন এবং ঘোষণা দেন যে, কোনো প্রার্থনাকারী আছ কি? যার প্রার্থনা আমি কবুল করব। প্রয়োজন প্রার্থনার কোনো লোক আছ কি? যার প্রয়োজন আমি পূর্ণ করে দেব। এবং কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দেব।’
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফযিলত সম্পর্কে আরো অনেক সুস্পষ্ট আয়াতে কারিমা ও হাদিস শরীফ রয়েছে যা সীমিত পরিসরে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। উক্ত আয়াত ও হাদিস শরীফসমূহ থেকে এটি পরিষ্কার হয় যে, তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর সাথে বান্দার কথোপকথনের এক মহান অবলম্বন। ¯্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করে। তাহাজ্জুদের বদৌলতে মানুষ মহান মর্যাদার অধিকারী হয়। জনৈক বুজুর্গ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উন্নতি চায় সে যেন শেষ রাত্রিতে জাগ্রত থেকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে।’ তাহাজ্জুদের ফলে মানুষের অন্তরাত্মা পশুত্বের প্রভাবমুক্ত হয়ে ঈমানি আলোয় উদ্ভাসিত হয়। ফলে হৃদয়ে প্রফুল্লতা আসে এবং এবাদতের স্বাদ অনুভূত হয়। সুতরাং তাহাজ্জুদ নামাজ প্রতিটি মুসলিমের জন্য ইহকালীন উন্নতি ও পরকালীন মুক্তির এক মহান এবাদত।
লেখক : প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, রামু লেখক ফোরাম
তাবলিগ জামাত
তাবলিগ
২০০৯-এ অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের মালয়েশিয়া বার্ষিক ইজতেমা
সেপাঙ সেলানগার, মালয়েশিয়া | |
প্রতিষ্ঠাতা | |
---|---|
মুহাম্মদ ইলিয়াস [রহ.] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
বাংলাদেশ | |
পাকিস্তান | |
যুক্তরাজ্য | |
মালয়েশিয়া | |
দক্ষিণ আফ্রিকা | |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | |
শ্রীলঙ্কা | |
ধর্ম | |
সুন্নি (ইসলাম) (Predominantly Deobandi) | |
ধর্মগ্রন্থ | |
কোরআন | |
ভাষা | |
Liturgical: আরবি বাংলাদেশে: বাংলা পাকিস্তান ও ভারত:উর্দু In the diaspora: যুক্তরাজ্যে: স্ব স্ব স্থানীয় ভাষা |
উৎপত্তি[সম্পাদনা]
“ | তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)[৩] | ” |
“ | তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)[৩] | ” |
তাবলিগের ছয় নম্বর - ঈমানের জন্য জানা জরুরী