আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম
আল্লাহর
অন্যান্য সৃষ্টজীবের তুলনায় মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, ইচ্ছা, শক্তি ও ক্ষমতা নিঃসন্দেহে
প্রমাণ করে, মানুষ সব সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। মানুষের ঈমানের প্রথম কথা ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় হলো, মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর সুদৃঢ় ও পূর্ণাঙ্গ
বিশ্বাসের জন্য মহান আল্লাহর যথাযথ পরিচয় জ্ঞাত হওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য অত্যন্ত
জরুরি।
কারণ আল্লাহর সত্যিকার পরিচয় জানা না থাকলে, তাঁর প্রতি বিশ্বাস ঈমানের দাবি পূরণে সহায়ক না হয়ে বরং ঈমান ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর সে জন্যই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের পত্রে-পত্রে, ছত্রে-ছত্রে, নিজ সত্তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। বিশ্বের মহান স্রষ্টার বিস্তারিত পরিচয়ের সারসংক্ষেপ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গুণবাচক নামগুলোর মাধ্যমে। মহান স্রষ্টার সত্তাগত নাম হলো আল্লাহ। তাই ‘আল্লাহ’ শব্দটি পৃথিবীর সব ভাষায় আল্লাহ। এর কোনো অনুবাদ চলে না, চলে না লিঙ্গান্তর। কারণ তা করলে মহান সত্তার যে পরিচয় তা আর অবশিষ্ট থাকে না। আল্লাহর মহান সত্তা সব সৎ গুণের ধারক। তাই যেসব শব্দাবলি দ্বারা মহান আল্লাহর কোনো গুণ প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো তাঁর গুণবাচক নাম। এসব গুণবাচক নামকে ইসলামি পরিভাষায় তথা পবিত্র কুরআনের ভাষায় ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়েছে।
ইমাম তিরমিজি রহ: এক হাদিসে মহান আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম উল্লেখ করেছেন। আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর ৯৯টি নাম আছে, অর্থাৎ এক কম ১০০টি। যে ব্যক্তি সেগুলো সংরক্ষণ করবে সে জান্নাতে যাবে। আর ইবনে উমরের বর্ণনায় এসেছে- (শব্দগুলো হলো) ‘যে ব্যক্তি সেগুলোকে পড়বে’ (সহিহ বুখারি : ৬০৪৭, সহিহ মুসলিম : ২৬৭৭)।
সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনৈক লেখক। তিনি বাংলাদেশের অতীত এবং ভাষার বিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল। এগুলো আমরা বাংলা ভাষায় এডপ্ট করেছি। যেমন আবু হুয়রায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা, আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। এভাবে আমরা অনেক নাম রাখি। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
তিনি আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল বলে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বর্ণনা করেছেন, মক্কার মুনাফিকরা মহান স্রষ্টার সত্তাগত নাম ‘আল্লাহ’কে বিকৃত করে ‘লাত’ বানিয়ে তা দ্বারা এক দেবতার নামকরণ করেছিল। মুজাহিদ রহ:-এর বর্ণনা থেকে জানা যায়, মক্কার কাফির ও মুশরিকরা আল্লাহকে বিকৃত করে ‘লাত’ এবং মুশরিকরা ‘আজিজ’কে বিকৃত করে ‘উয্যা বানিয়ে দু’টি শব্দ দ্বারা দুই দেবতার নামকরণ করেছিল। মহান আল্লাহ তাদের সে কূটকৌশল মুসলমানদেরকে অবহিত করে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে সূরা আরাফের ১৮০ নম্বর আয়াত নাজিল করেন। ‘আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকো। আর তাদেরকে বর্জন করো যারা তাঁর নামের বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে’ (সূরা আরাফ : ১৮০)।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেছেন, মুসলমান যারা হয়েছিলেন তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। তার জানা প্রয়োজন, পৌত্তলিকতার সম্পর্ক থাকলে ইসলাম গ্রহণের পর নবীজি ওই সব নাম পরিবর্তন করে দিতেন। যেমন- ক. আব্দুর রহমান বিন আউফ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আব্দু আমর বা আব্দু কাবা, যা পরিবর্তন করা হয়। খ. আবু হুরাইরা (এটা উপাধি) রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আব্দে শামস বা সূর্যের দাস, আব্দুল উজ্জা বা উজ্জার দাস, আব্দুল লাত বা লাতের দাস। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুর রহমান।
গ. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আস যা পরিবর্তন করা হয়; ঘ. আবু বুকরা রাদিআল্লাহু আনহুর পূর্বের নাম ছিল নুফাই বা মাসরুহ যা পরিবর্তন করা হয়। ‘আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা’- তার ‘ছাগলের পিতা’ বলার ধৃষ্টতার জবাবে বলতে হয়, আবু বকর মূল নাম না, এটা উপাধি বা কুনিয়াত। আবু অর্থ পিতা, বকর শব্দের অর্থ প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ।
তিনি আল্লাহ, হিজাব ও ধর্ম সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য তাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে এবং বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনি যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিশ্ব মুসলিমের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অন্যথায় তাকে বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সবশেষে বলতে চাই, আল্লাহ পাকের ৯৯টি গুণবাচক নাম মানুষের দেয়া নয়। পবিত্র কুরআন শরিফের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ পাক নিজেই তাঁর গুণাবলি উল্লেখ করে নামগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অসংখ্য গুণাবলির অধিকারী- এ বিশ্বাস আমাদের ধারণ করতে হবে। কুরআনুল কারিমের বাণী, ‘এবং সমগ্র জগতে যত বৃক্ষ রয়েছে, যদি তা সবই কলম হয়, আর এই যে সমুদ্র রয়েছে, এটা ব্যতীত এরূপ আরো সাতটি সমুদ্র (কালির স্থল) হয়, তবুও আল্লাহর (গুণাবলির ) বাক্যসমূহ সমাপ্ত হবে না; নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রবল পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা লুকমান : ২৭)।
সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনৈক লেখক। তিনি বাংলাদেশের অতীত এবং ভাষার বিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল। এগুলো আমরা বাংলা ভাষায় এডপ্ট করেছি। যেমন আবু হুয়রায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা, আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। এভাবে আমরা অনেক নাম রাখি। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
তিনি আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল বলে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বর্ণনা করেছেন, মক্কার মুনাফিকরা মহান স্রষ্টার সত্তাগত নাম ‘আল্লাহ’কে বিকৃত করে ‘লাত’ বানিয়ে তা দ্বারা এক দেবতার নামকরণ করেছিল। মুজাহিদ রহ:-এর বর্ণনা থেকে জানা যায়, মক্কার কাফির ও মুশরিকরা আল্লাহকে বিকৃত করে ‘লাত’ এবং মুশরিকরা ‘আজিজ’কে বিকৃত করে ‘উয্যা বানিয়ে দু’টি শব্দ দ্বারা দুই দেবতার নামকরণ করেছিল। মহান আল্লাহ তাদের সে কূটকৌশল মুসলমানদেরকে অবহিত করে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে সূরা আরাফের ১৮০ নম্বর আয়াত নাজিল করেন। ‘আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকো। আর তাদেরকে বর্জন করো যারা তাঁর নামের বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে’ (সূরা আরাফ : ১৮০)।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেছেন, মুসলমান যারা হয়েছিলেন তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। তার জানা প্রয়োজন, পৌত্তলিকতার সম্পর্ক থাকলে ইসলাম গ্রহণের পর নবীজি ওই সব নাম পরিবর্তন করে দিতেন। যেমন- ক. আব্দুর রহমান বিন আউফ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আব্দু আমর বা আব্দু কাবা, যা পরিবর্তন করা হয়। খ. আবু হুরাইরা (এটা উপাধি) রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আব্দে শামস বা সূর্যের দাস, আব্দুল উজ্জা বা উজ্জার দাস, আব্দুল লাত বা লাতের দাস। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুর রহমান।
গ. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু তার পূর্বের নাম ছিল আস যা পরিবর্তন করা হয়; ঘ. আবু বুকরা রাদিআল্লাহু আনহুর পূর্বের নাম ছিল নুফাই বা মাসরুহ যা পরিবর্তন করা হয়। ‘আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা’- তার ‘ছাগলের পিতা’ বলার ধৃষ্টতার জবাবে বলতে হয়, আবু বকর মূল নাম না, এটা উপাধি বা কুনিয়াত। আবু অর্থ পিতা, বকর শব্দের অর্থ প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ।
তিনি আল্লাহ, হিজাব ও ধর্ম সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য তাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে এবং বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনি যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিশ্ব মুসলিমের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অন্যথায় তাকে বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সবশেষে বলতে চাই, আল্লাহ পাকের ৯৯টি গুণবাচক নাম মানুষের দেয়া নয়। পবিত্র কুরআন শরিফের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ পাক নিজেই তাঁর গুণাবলি উল্লেখ করে নামগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অসংখ্য গুণাবলির অধিকারী- এ বিশ্বাস আমাদের ধারণ করতে হবে। কুরআনুল কারিমের বাণী, ‘এবং সমগ্র জগতে যত বৃক্ষ রয়েছে, যদি তা সবই কলম হয়, আর এই যে সমুদ্র রয়েছে, এটা ব্যতীত এরূপ আরো সাতটি সমুদ্র (কালির স্থল) হয়, তবুও আল্লাহর (গুণাবলির ) বাক্যসমূহ সমাপ্ত হবে না; নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রবল পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা লুকমান : ২৭)।
সূত্র ঃএইচ. এম. মুশফিকুর রহমান, 30 শে জুলাই, দৈনিক নয়াদিগন্ত
0 comments:
Post a Comment