হিজরতের পুরস্কার
হিজরত শব্দের অর্থ হলো দেশ ত্যাগ করা। হিজরতের আদেশ সব নবীর জন্য ছিল।
হজরত ইব্রাহিম (আ:), হজরত ইউনূছ (আ:),
হজরত
লুত
(আ:),
হজরত
মূসা
(আ:)
ও
হজরত
মুহাম্মদ
সা:
হিজরত
করেছেন।
ইরশাদ
হয়েছে,
‘আমি
মূসার
কাছে
এ
মর্মে
ওহি
পাঠিয়েছি,
তুমি
আমার
বান্দাদের নিয়ে রাতের
বেলায়ই
এ
দেশ
ছেড়ে
চলে
যাও
এবং
তুমি
ওদের
জন্য
একটি
সড়ক
বানিয়ে
নাও,
পেছন
থেকে
কেউ
তোমাকে
ধাওয়া
করবে
এ
আশঙ্কা
তুমি
করো
না’।(সূরা
ত্বা-হা,
আয়াত:৭৭)।
ফেরাউনের
অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে
পড়লে
আল্লাহ
তায়ালা
হজরত
মূসা
(আ:)কে
হিজরতের
আদেশ
দিয়েছিলেন।
শত্রুদের
আক্রমণের
আগে
হজরত
মূসা
(আ:)
রাতের
অন্ধকারে
উম্মতদের
নিয়ে
বেড়িয়ে
পড়েন।
হজরত
মূসা
(আ:)কে
পেছন
দিক
থেকে
ধাওয়া
করতে
গিয়ে
নীল
নদে
ডুবে
দলবলসহ
ফেরাউনের
মৃত্যু
হয়। হজরত মূসা
(আ:)কে
আল্লাহ
রক্ষা
করেন।
প্রত্যেক নবী
ও
তাঁর
উম্মতের
বিরুদ্ধে
দুষ্ট
কাফের
মুনাফেকরা ষড়যন্ত্র করেছিল।
আবু
জাহেল
ও
আবু
লাহাবের
অনুসারীরা এখনো ষড়যন্ত্র
অব্যাহত
রেখেছে।
হজরত
ঈসা
(আ:)-এর
বিরুদ্ধে
কাফেররা
হত্যার
ষড়যন্ত্র
করেছিল।
অবশেষে
হজরত
ঈসা
(আ:)কে
আল্লাহ
আসমানে
উঠিয়ে
নিয়েছেন।
হজরত
মুহাম্মদ
সা:
সাহাবিদেরকে আবিসিনিয়ায় হিজরত
করার
নির্দেশ
দিয়েছিলেন।
কারণ
আবিসিনিয়ার বাদশা ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। অবশেষে তিনিও
মদিনায়
হিজরত
করেন।
নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলমানদের হিজরতের জন্য
আল্লাহ
তায়ালা
জমিনকে
প্রশস্ত
করে
দিয়েছেন।
ইরশাদ
হয়েছে,
‘যারা
নিজেদের
ওপর
অত্যাচার
করেছে
তাদের
প্রাণ
কেড়ে
নেয়ার
সময়
(মওতের)
ফেরেশতারা যখন তাদের
জিজ্ঞাসা
করবে,
সেখানে
তোমরা
কিভাবে
ছিলে?
(প্রত্যুত্তরে) তারা বলবে,
আমরা
দুনিয়ায়
দুর্বল
ছিলাম;
(তখন)
ফেরশতারা
বলবে,
কেন,
মহান
আল্লাহর
এ
জমিন
কি
প্রশস্ত
ছিল
না?
তোমরা
ইচ্ছা
করলে
সেখানে
চলে
যেতে
পারতে’।(সূরা
আন-নিসা,
আয়াত:৯৭)।
নির্যাতিত সুস্থ সবল
মানুষের
জন্য
হিজরতকে
আল্লাহ
বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।
ইরশাদ
হয়েছে,‘তবে
সেসব
নারী-পুরুষ
ও
শিশুসন্তান, যাদের (হিজরত
করার
মতো
শারীরিক)
শক্তি
ছিল
না,
কোথাও
যাওয়ার
কোনো
উপকরণ
ছিল
না,
তাদের
কথা
ভিন্ন’।(সূরা
আন-নিসা,আয়াত
:৯৮)।
হিজরতকারীদের জন্য
প্রভুর
পক্ষ
থেকে
বিশেষ
পুরস্কার
রয়েছে।
ইরশাদ
হয়েছে,
‘আর
যে
কেউই
আল্লাহ
পাকের
পথে
হিজরত
করবে
সে
জমিনে
প্রশস্ত
জায়গা
ও
অগণিত
ধনসম্পদ
পেয়ে
যাবে;
যখন
কোনো
ব্যক্তি
আল্লাহপাক ও তাঁর রাসূলের
উদ্দেশে
হিজরত
করার
জন্য
নিজ
বাড়ি
থেকে
বের
হয়
এবং
এমতাবস্থায় মৃত্যু এসে
তাকে
গ্রাস
করে
নেয়,
তাহলে
তার
পুরস্কার
দেয়ার
দায়িত্ব
আল্লাহপাকের উপর’।
(সূরা
আন-নিসা,
আয়াত:১০০)।
‘তাদের
প্রভু
তাদের
জন্য
নিজ
তরফ
থেকে
দয়া,
সন্তুষ্টি ও এমন এক
জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন,
যেখানে
তাদের
জন্য
চিরস্থায়ী নেয়ামতগুলো সাজানো
রয়েছে’।
(সূরা
তাওবা,
আয়াত:২১)।
Source – Daily Nayadiganto,
লেখক : ফিরোজ
আহমাদ, ইসলামিক চিন্তাবিদ
0 comments:
Post a Comment