Saturday, February 18, 2017

দাওয়াত ও তাবলিগ এর অনস্বীকার্যতা

দাওয়াত তাবলিগ এর অনস্বীকার্যতা

দাওয়াত তাবলিগ ইসলামের প্রাণশক্তি বিশ্বজুড়ে ইসলামের ঝাণ্ডা সমুন্নতকরণে দাওয়াত তাবলিগের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহর মনোনীত শাশ্বত জীবনব্যবস্থা ইসলামের যাবতীয় অনুশাসন যথার্থ মেনে চলার মধ্যেই উভয় জগতের শান্তি, সফলতা মুক্তি নিহিত

এই বোধ-অনুভূতি মানবমনে জাগ্রত করতে যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত নবী-রাসূলগণ দাওয়াতে দ্বীনের এই মহান দায়িত্ব পালন করেছেন তথাপি দাওয়াতের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুস্পষ্ট নির্দেশ-নির্দেশনাও এসেছে পবিত্র কুরআন হাদিস শরিফে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, আর সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজে বাধা দান করবে তারাই হলো সফলকাম’ (সূরা-আলে ইমরান : ১০৪) 

এভাবে দ্বীনের পথে দাওয়াত দানকারীদের অনুপ্রাণিত করে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘সে ব্যক্তির চেয়ে কার কথা উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয় এবং নিজেও সৎকাজ করে, আর বলে আমি মুসলমানদের অন্তর্র্ভুক্ত’ (সূরা- হা-মিম সিজদাহ্ : ৩৩)

বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে মহানবী সা: বলেন, ‘তোমরা একটি আয়াত হলেও আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও (তিরমিজি) সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ সা: এই পবিত্র বাণীর মাধ্যমে পুরো উম্মতের ওপর দাওয়াতে দ্বীনের গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন রাসূল সা:-এর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অগণিত সাহাবায়ে কেরাম রা: ইসলামের চিরন্তন পয়গাম নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়েন এরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহ পাকের মুখলিস বান্দাহদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উপায় পদ্ধতিতে আজো দ্বীনি দাওয়াতের পবিত্র খেদমত অব্যাহত রয়েছে

ঐতিহ্যবাহী এই দাওয়াতি ধারায় যেসব উপায় পদ্ধতি কার্যকর তৎমধ্যে হক্কানি ওলামায়ে কেরামের ওয়াজ-নসিহত, বুজুর্গানে দ্বীন কর্তৃক আত্মশুদ্ধির খেদমত, দ্বীনি মাদরাসায় তালিম-তারবিয়্যাত, তাবলিগি মেহনত, স্বচ্ছধারার ইসলামি রাজনৈতিক তৎপরতা, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক লেখকদের লিখনি অন্যতম দাওয়াতের এসব অবলম্বনের মধ্যে তাবলিগি মেহনতই সবচেয়ে জনমুখী বিশ্ব সমাদৃত

মহান আল্লাহর হুকুম রাসূল সা:-এর সুন্নতের যথার্থ অনুসরণে তাবলিগি মেহনতে আত্মনিবেদিত ভাইয়েরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দ্বীনি দাওয়াতের গুরুত্বপূর্ণ খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন বিশ্বনন্দিত আলেমে দ্বীন আল্লামা ইলিয়াস রহ: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মাঝে ঈমানের দাওয়াত পৌঁছানোর মহান প্রয়াসে তাবলিগি মেহনতের এই পদ্ধতি চালু করেন

প্রতিটি মানুষ কিভাবে সাচ্ছা ঈমানদার হতে পারে সেই লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী চলছে দাওয়াত তাবলিগের বিরামহীন প্রয়াস সব ধরনের পার্থিব লোভ-লালসা ত্যাগ করে আল্লাহর দেয়া মাল-সম্পদ, শক্তি, সময় আল্লাহর পথে কোরবানি দিয়ে তাবলিগের সাথীগণ যে নিরবচ্ছিন্নভাবে দাওয়াতের জিম্মাদারি পালন করে চলেছেন, তা সত্যিই নজিরবিহীন প্রশংসনীয় নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে যখন বিভিন্ন ইসলামি মাহফিলের কিছু বক্তা কর্তৃক সুনির্দিষ্ট আর্থিক বিনিময়ের নিশ্চয়তা নিয়ে এবং নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিয়ে দাওয়াত গ্রহণের দুঃখজনক প্রবণতা শুরু হয়েছে উম্মাহ্র এমন ক্রান্তিকালে কোনো ধরনের পার্থিব বিনিময় ছাড়া মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে, মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে অত্যন্ত কোমল নম্র ভাষায় আল্লাহভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তাবলিগের আত্মত্যাগী ভাইয়েরা ইখলাসপূর্ণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্বীনের যে দ্বীপ্তি ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তা মহান আল্লাহ তায়ালার বিশাল নিয়ামত

ইসলামের সঠিক রূপরেখা সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় জগতের কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জনের ব্রত নিয়ে তাবলিগি মেহনতে শামিল মুবাল্লিগ ভাইগণ বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। ফলে পবিত্র এই দাওয়াতি মেহনতের অবদানে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে ইসলামের সৌরভ-সৌন্দর্য। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সমবেত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এভাবে বিশ্বব্যাপী ইসলামের পুনর্জাগরণে দাওয়াত ও তাবলিগের ভূমিকা অনন্য ও অনস্বীকার্য।
প্রতিবছর আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হয় তাবলিগি বিশ্ব ইজতেমা। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মু’মিন-মুসলমান এই ইজতেমায় সমবেত হন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমবেত মু’মিন-মুসলমানেরা ঈমান-আমলের মৌলিক অনুশীলনে নিবিষ্ট হন। ইজতেমায় আগত মু’মিন-মুসলমানদের জিকির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। সারা দেশে বিরাজ করে ঈমানি আবহ। মুসলমানদের হৃদয়ে আল্লাহ ও রাসূল প্রেমের ঢেউ তরঙ্গায়িত হয় এবং এরই ফলে মানুষের মাঝে জাগ্রত হয় দ্বীনি চেতনাবোধ ও আল্লাহভীতি।
ইজতেমায় আগতদের চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক খেদমতে নিবেদিত হন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মহল। আখেরি মুনাজাতে লাখো মানুষের আমিন, আমিন, ধ্বনির সাথে আকুতি মেশানো চোখের পানিতে সিক্ত হয় টঙ্গীর মাটি। সর্বোপরি ইজতেমায় আগতদের মধ্যে সৃষ্টি হয় মহান আল্লাহর হুকুম ও রাসূল সা:-এর তরিকা মোতাবেক জীবন যাপনের প্রেরণা। শাণিত হয় ঈমানি চেতনা। এখান থেকে ঈমানি চেতনাসমৃদ্ধ হয়ে দ্বীনের সহিহ্ বার্তা নিয়ে মুবাল্লিগ ভাইয়েরা ছড়িয়ে পড়েন প্রত্যন্ত জনপদে।

সূত্র ঃ দাওয়াত তাবলিগ এর অনস্বীকার্যতা
দাওয়াত তাবলিগ ইসলামের প্রাণশক্তি বিশ্বজুড়ে ইসলামের ঝাণ্ডা সমুন্নতকরণে দাওয়াত তাবলিগের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহর মনোনীত শাশ্বত জীবনব্যবস্থা ইসলামের যাবতীয় অনুশাসন যথার্থ মেনে চলার মধ্যেই উভয় জগতের শান্তি, সফলতা মুক্তি নিহিত এই বোধ-অনুভূতি মানবমনে জাগ্রত করতে যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত নবী-রাসূলগণ দাওয়াতে দ্বীনের এই মহান দায়িত্ব পালন করেছেন তথাপি দাওয়াতের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুস্পষ্ট নির্দেশ-নির্দেশনাও এসেছে পবিত্র কুরআন হাদিস শরিফে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, আর সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজে বাধা দান করবে তারাই হলো সফলকাম’ (সূরা-আলে ইমরান : ১০৪) এভাবে দ্বীনের পথে দাওয়াত দানকারীদের অনুপ্রাণিত করে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘সে ব্যক্তির চেয়ে কার কথা উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয় এবং নিজেও সৎকাজ করে, আর বলে আমি মুসলমানদের অন্তর্র্ভুক্ত’ (সূরা- হা-মিম সিজদাহ্ : ৩৩)
বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে মহানবী সা: বলেন, ‘তোমরা একটি আয়াত হলেও আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও (তিরমিজি) সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ সা: এই পবিত্র বাণীর মাধ্যমে পুরো উম্মতের ওপর দাওয়াতে দ্বীনের গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন রাসূল সা:-এর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অগণিত সাহাবায়ে কেরাম রা: ইসলামের চিরন্তন পয়গাম নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়েন এরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহ পাকের মুখলিস বান্দাহদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উপায় পদ্ধতিতে আজো দ্বীনি দাওয়াতের পবিত্র খেদমত অব্যাহত রয়েছে
ঐতিহ্যবাহী এই দাওয়াতি ধারায় যেসব উপায় পদ্ধতি কার্যকর তৎমধ্যে হক্কানি ওলামায়ে কেরামের ওয়াজ-নসিহত, বুজুর্গানে দ্বীন কর্তৃক আত্মশুদ্ধির খেদমত, দ্বীনি মাদরাসায় তালিম-তারবিয়্যাত, তাবলিগি মেহনত, স্বচ্ছধারার ইসলামি রাজনৈতিক তৎপরতা, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক লেখকদের লিখনি অন্যতম দাওয়াতের এসব অবলম্বনের মধ্যে তাবলিগি মেহনতই সবচেয়ে জনমুখী বিশ্ব সমাদৃত
মহান আল্লাহর হুকুম রাসূল সা:-এর সুন্নতের যথার্থ অনুসরণে তাবলিগি মেহনতে আত্মনিবেদিত ভাইয়েরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দ্বীনি দাওয়াতের গুরুত্বপূর্ণ খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন বিশ্বনন্দিত আলেমে দ্বীন আল্লামা ইলিয়াস রহ: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মাঝে ঈমানের দাওয়াত পৌঁছানোর মহান প্রয়াসে তাবলিগি মেহনতের এই পদ্ধতি চালু করেন
প্রতিটি মানুষ কিভাবে সাচ্ছা ঈমানদার হতে পারে সেই লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী চলছে দাওয়াত তাবলিগের বিরামহীন প্রয়াস সব ধরনের পার্থিব লোভ-লালসা ত্যাগ করে আল্লাহর দেয়া মাল-সম্পদ, শক্তি, সময় আল্লাহর পথে কোরবানি দিয়ে তাবলিগের সাথীগণ যে নিরবচ্ছিন্নভাবে দাওয়াতের জিম্মাদারি পালন করে চলেছেন, তা সত্যিই নজিরবিহীন প্রশংসনীয় নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে যখন বিভিন্ন ইসলামি মাহফিলের কিছু বক্তা কর্তৃক সুনির্দিষ্ট আর্থিক বিনিময়ের নিশ্চয়তা নিয়ে এবং নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিয়ে দাওয়াত গ্রহণের দুঃখজনক প্রবণতা শুরু হয়েছে উম্মাহ্র এমন ক্রান্তিকালে কোনো ধরনের পার্থিব বিনিময় ছাড়া মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে, মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে অত্যন্ত কোমল নম্র ভাষায় আল্লাহভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তাবলিগের আত্মত্যাগী ভাইয়েরা ইখলাসপূর্ণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্বীনের যে দ্বীপ্তি ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তা মহান আল্লাহ তায়ালার বিশাল নিয়ামত

ইসলামের সঠিক রূপরেখা সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় জগতের কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জনের ব্রত নিয়ে তাবলিগি মেহনতে শামিল মুবাল্লিগ ভাইগণ বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। ফলে পবিত্র এই দাওয়াতি মেহনতের অবদানে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে ইসলামের সৌরভ-সৌন্দর্য। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সমবেত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এভাবে বিশ্বব্যাপী ইসলামের পুনর্জাগরণে দাওয়াত ও তাবলিগের ভূমিকা অনন্য ও অনস্বীকার্য।
প্রতিবছর আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হয় তাবলিগি বিশ্ব ইজতেমা। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মু’মিন-মুসলমান এই ইজতেমায় সমবেত হন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমবেত মু’মিন-মুসলমানেরা ঈমান-আমলের মৌলিক অনুশীলনে নিবিষ্ট হন। ইজতেমায় আগত মু’মিন-মুসলমানদের জিকির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। সারা দেশে বিরাজ করে ঈমানি আবহ। মুসলমানদের হৃদয়ে আল্লাহ ও রাসূল প্রেমের ঢেউ তরঙ্গায়িত হয় এবং এরই ফলে মানুষের মাঝে জাগ্রত হয় দ্বীনি চেতনাবোধ ও আল্লাহভীতি।
ইজতেমায় আগতদের চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক খেদমতে নিবেদিত হন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মহল। আখেরি মুনাজাতে লাখো মানুষের আমিন, আমিন, ধ্বনির সাথে আকুতি মেশানো চোখের পানিতে সিক্ত হয় টঙ্গীর মাটি। সর্বোপরি ইজতেমায় আগতদের মধ্যে সৃষ্টি হয় মহান আল্লাহর হুকুম ও রাসূল সা:-এর তরিকা মোতাবেক জীবন যাপনের প্রেরণা। শাণিত হয় ঈমানি চেতনা। এখান থেকে ঈমানি চেতনাসমৃদ্ধ হয়ে দ্বীনের সহিহ্ বার্তা নিয়ে মুবাল্লিগ ভাইয়েরা ছড়িয়ে পড়েন প্রত্যন্ত জনপদে।
লেখক : হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর,   লেখক : প্রবন্ধকার, দৈনিক নয়াদিগন্ত।

0 comments:

Post a Comment