Friday, March 3, 2017

সন্তান প্রতিপালনে লুকমান (আঃ) -এর উপদেশ

সন্তান প্রতিপালনে  লুকমান (আঃ) -এর উপদেশ

প্রতিটি মুসলিম পিতার উচিত তার সন্তানকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা।  ব্যাপারে লোকমান . তার ছেলেকে যেভাবে উপদেশ দিয়েছেন, তা আলোচনা করা হল। কারণ, লোকমান . তার ছেলেকে যে উপদেশ দিয়েছেন, তা এতই সুন্দর গ্রহণ যোগ্য যে, মহান আল্লাহ তাআলা তা কুরআনে করীমে ( সুরা – লুকমান)উল্লেখ করে কিয়ামত পর্যন্ত অনাগত উম্মতের জন্য তিলাওয়াতে উপযোগী করে দিয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্তের জন্য তা আদর্শ করে রেখেছেন
লোকমান . তার ছেলেকে যে উপদেশ দেন তা নিম্নরূপ:
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,  ﴿وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ
আর স্মরণ কর, যখন লোকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছি
উপদেশগুলো ছিল অত্যন্ত উপকারী, যে কারণে মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে করীমে লোকমান হাকিমের পক্ষ থেকে উল্লেখ করেন
1. প্রথম উপদেশ: তিনি তার ছেলেকে বলেন,   ﴿يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ﴾
              হে প্রিয় বৎস আল্লাহর সাথে শিরক করো না, নিশ্চয় শিরক হল বড় যুলুম।

লক্ষণীয় যে, প্রথমে তিনি তার ছেলেকে শিরক হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। একজন সন্তান তাকে অবশ্যই জীবনের শুরু থেকেই আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাসী হতে হবে। কারণ, তাওহীদই হল, যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিশুদ্ধতা নির্ভুলতার একমাত্র মাপকাঠি। তাই তিনি তার ছেলেকে প্রথমেই বলেন, আল্লাহর সাথে ইবাদতে কাউকে শরিক করা হতে বেচে থাক।
 তোমরা কি লোকমান . তার ছেলেকে যে উপদেশ দিয়েছে, তা শোন নি? তিনি তার ছেলেকে বলেছিলেন,
}يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ﴾ .
হে প্রিয় বৎস আল্লাহর সাথে শিরক করো না, নিশ্চয় শিরক হল বড় যুলুম।
2. দ্বিতীয় উপদেশ: মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে যে উপদেশ দিয়েছেন, তার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
﴿وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ﴾ .,
আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে [সদাচরণের] নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে, তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর। প্রত্যাবর্তন-তো আমার কাছেই।” [সূরা লোকমান: ১৪]
তিনি তার ছেলেকে কেবলই আল্লাহর ইবাদত করা তার সাথে ইবাদতে কাউকে শরীক করতে নিষেধ করার সাথে সাথে মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করার উপদেশ দেন। কারণ, মাতা-পিতার অধিকার সন্তানের উপর অনেক বেশি। মা তাকে গর্ভধারণ, দুধ-পান ছোট বেলা লালন-পালন করতে গিয়ে অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা কষ্ট সইতে হয়েছে। তারপর তার পিতাও লালন-পালনের খরচাদি, পড়া-লেখা ইত্যাদির দায়িত্ব নিয়ে তাকে বড় করছে এবং মানুষ হিসেবে ঘড়ে তুলছে। তাই তারা উভয় সন্তানের পক্ষ হতে অভিসম্পাত খেদমত পাওয়ার অধিকার রাখে
3. তৃতীয় উপদেশ: মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে করীমে মাতা-পিতা যখন তোমাকে শিরক বা কুফরের নির্দেশ দেয়, তখন তোমার করণীয় কি হবে তার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
﴿وَإِن جَاهَدَاكَ عَلى أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾,
আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শিরক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না। এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে করবে সদ্ভাবে। আর আমার অনুসরণ কর তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে।” [সূরা লোকমান: ১৫]
আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. আয়াতের তাফসীরে বলেন, ‘যদি তারা উভয়ে তোমাকে পরি-পূর্ণরূপে তাদের দ্বীনের আনুগত্য করতে বাধ্য করে, তাহলে তুমি তাদের কথা শুনবে না এবং তাদের নির্দেশ মানবে না। তবে তারা যদি দ্বীন কবুল না করে, তারপরও তুমি তাদের সাথে কোন প্রকার অশালীন আচরণ করবে না। তাদের দ্বীন কবুল না করা তাদের সাথে দুনিয়ার জীবনে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করাতে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। তুমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহারই করবে। আর মুমিনদের পথের অনুসারী হবে, তাতে কোন অসুবিধা নাই। কথার সমর্থনে আমি বলব, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীও বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট শক্তিশালী করেন, তিনি বলেন,
« لا طاعة لأحد في معصية الله ، إنما الطاعة في المعروف »
আল্লাহর নাফরমানিতে কোন মাখলুকের আনুগত্য চলবে না। আনুগত্য-তো হবে একমাত্র ভালো কাজে।
4.চতুর্থ উপদেশ: লোকমান হাকিম তার ছেলেকে কোন প্রকার অন্যায় অপরাধ করতে নিষেধ করেন। তিনি বিষয়ে তার ছেলেকে যে উপদেশ দেন, মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে তার বর্ণনা দেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿يَا بُنَيَّ إِنَّهَا إِن تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُن فِي صَخْرَةٍ أَوْ فِي السَّمَاوَاتِ أَوْ فِي الْأَرْضِ يَأْتِ بِهَا اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ خَبِيرٌ﴾ .,
হে আমার প্রিয় বৎস! নিশ্চয় তা [পাপ-পুণ্য] যদি সরিষা দানার পরিমাণও হয়, অত:পর তা থাকে পাথরের মধ্যে কিংবা আসমান সমূহে বা জমিনের মধ্যে, আল্লাহ তাও নিয়ে আসবেন; নিশ্চয় আল্লাহ সুক্ষ্মদর্শী সর্বজ্ঞ।” [সূরা লোকমান: ১৬]
আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন, অন্যায় বা অপরাধ যতই ছোট হোক না কেন, এমনকি যদি তা শস্য-দানার সমপরিমাণও হয়, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাআলা তা উপস্থিত করবে এবং মীযানে ওজন দেয়া হবে। যদি তা ভালো হয়, তাহলে তাকে ভালো প্রতিদান দেয়া হবে। আর যদি খারাপ কাজ হয়, তাহলে তাকে খারাপ প্রতিদান দেয়া হবে
5. পঞ্চম উপদেশ: লোকমান হাকিম তার ছেলেকে সালাত কায়েমের উপদেশ দেন। মহান আল্লাহ তাআলা তার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ﴿يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ﴾ অর্থাৎ, “হে আমার প্রিয় বৎস সালাত কায়েম কর”, তুমি সালাতকে তার ওয়াজিবসমূহ রোকনসমূহ সহ আদায় কর
6.ষষ্ঠ উপদেশ:
﴿وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ﴾
অর্থাৎতুমি ভালো কাজের আদেশ দাও এবং মন্দ কাজ হতে মানুষকে নিষেধ কর।বিনম্র ভাষায় তাদের দাওয়াত দাও, যাদের তুমি দাওয়াত দেবে তাদের সাথে কোন প্রকার কঠোরতা করো না
7. সপ্তম উপদেশ: আল্লাহ বলেন, ﴿وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ﴾ “যে তোমাকে কষ্ট দেয় তার উপর তুমি ধৈর্য ধারণ কর।আয়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে, যারা ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ মন্দ কাজ হতে মানুষকে নিষেধ করবে তাকে অবশ্যই কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে এবং অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে। যখন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে তখন তোমার করণীয় হল, ধৈর্যধারণ করা ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। রাসূল সা. বলেন,
«المؤمن الذي يخالط الناس ويصبر على أذاهم ، أفضل من المؤمن الذي لا يخالط الناس ولا يصبر على أذاهم».
যে ঈমানদার মানুষের সাথে উঠা-বসা লেনদেন করে এবং তারা যে সব কষ্ট দেয়. তার উপর ধৈর্য ধারণ করে, সে যে মুমিন মানুষের সাথে উঠা-বসা বা লেনদেন করে না এবং কোন কষ্ট বা পরীক্ষার সম্মুখীন হয় না তার থেকে উত্তম।
﴿إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ﴾,
নিশ্চয় এগুলো অন্যতম সংকল্পের কাজ।অর্থাৎ, মানুষ তোমাকে যে কষ্ট দেয়, তার উপর ধৈর্য ধারণ করা অন্যতম দৃঢ় প্রত্যয়ের কাজ
8. অষ্টম উপদেশ: ﴿وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ﴾
অর্থ, “আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।
আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন, ‘যখন তুমি কথা বল অথবা তোমার সাথে মানুষ কথা বলে, তখন তুমি মানুষকে ঘৃণা করে অথবা তাদের উপর অহংকার করে, তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখবে না। তাদের সাথে হাস্যোজ্জ্বল হয়ে কথা বলবে। তাদের জন্য উদার হবে এবং তাদের প্রতি বিনয়ী হবে।
কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
تبسمك في وجه أخيك لك صدقة .
তোমার অপর ভাইয়ের সম্মুখে তুমি মুচকি হাসি দিলে, তাও সদকা হিসেবে পরিগণিত হবে।
9. নবম উপদেশ: আল্লাহ তাআলা বলেন:
﴿وَلا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحاً﴾
অহংকার হঠকারিতা প্রদর্শন করে জমিনে হাটা চলা করবে না।কারণ, ধরনের কাজের কারণে আল্লাহ তোমাকে অপছন্দ করবে। কারণেই মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ﴾
নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” -অর্থাৎ যারা নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যদের উপর বড়াই করে, মহান আল্লাহ তাআলা তাদের পছন্দ করে না
10. দশম উপদেশ: নমনীয় হয়ে হাটা চলা করা। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে করীমে বলেন: ﴿وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ﴾ “আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর।তুমি তোমার চলাচলে স্বাভাবিক চলাচল কর। খুব দ্রুত হাঁটবে না আবার একেবারে মন্থর গতিতেও না। মধ্যম পন্থায় চলাচল করবে। তোমার চলাচলে যেন কোন প্রকার সীমালঙ্ঘন না হয়
11 একাদশ উপদেশ: নরম সূরে কথা বলা। লোকমান হাকীম তার ছেলেকে নরম সূরে কথা বলতে আদেশ দেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿وَاغْضُضْ مِن صَوْتِكَ﴾ “তোমার আওয়াজ নিচু কর।আর কথায় কোন তুমি কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করবে না। বিনা প্রয়োজনে তুমি তোমার আওয়াজকে উঁচু করো না।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,  ﴿إِنَّ أَنكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ
নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল, গাধার আওয়াজ।
আল্লামা মুজাহিদ বলেন, ‘সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল, গাধার আওয়াজ। অর্থাৎ, মানুষ যখন বিকট আওয়াজে কথা বলে, তখন তার আওয়াজ গাধার আওয়াজের সাদৃশ্য হয়। আর ধরনের বিকট আওয়াজ মহান আল্লাহ তাআলার নিকট একেবারেই অপছন্দনীয়। বিকট আওয়াজকে গাধার আওয়াজের সাথে তুলনা করা প্রমাণ করে যে, বিকট শব্দে আওয়াজ করে কথা বলা হারাম। কারণ, মহান আল্লাহ তাআলা এর জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। . রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
»إذا سمعتم أصوات الديكة ، فسلوا الله من فضله ، فإنها رأت ملكاً ، وإذا سمعتم نهيق الحمار فتعوذوا بالله من الشيطان ، فإنها رأت شيطاناً» .
মোরগের আওয়াজ শোনে তোমরা আল্লাহর নিকট অনুগ্রহ কামনা কর, কারণ, সে নিশ্চয় কোন ফেরেশতা দেখেছে। আর গাধার আওয়াজ শোনে তোমরা শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কারণ, সে অবশ্যই একজন শয়তান দেখেছে।

সন্তানকে দেয়া হযরত লোকমান (আঃ) এর দেয়া ৪০ টি উপদেশ

কথিত আছে, পুরো জীবনে লোকমান হাকিম নিজের ছেলেকে ১০০ টা উপদেশ দিয়েছিলেন যার মধ্যে ৪০টা উপদেশ খুজে পাওয়া যায়। ৪০টার মধ্যে ৯টা উপদেশ কুরআনের সূরা-লূকমান ৩১: ১৩-১৯ আয়াতে বর্ণিত আছে। বাকী ৩১ টা উপদেশ নিচের কথাগুলির মধ্যে আছে (সূত্রঃ তাফসীরে কামালাইন, ৫ম খণ্ড)
উপদেশগুলি খুবই "simple" মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস মানুষের জীবনের প্রত্যেকটা dimension নিয়ে ভালো আচরণের fundamental principle গুলির প্রত্যেকটা দিক এই উপদেশগুলির মধ্যে খুজে পাওয়া যাবে
1. আল্লাহর সান্নিধ্য অবলম্বন করবে।
2.
অন্যকে উপদেশ দেয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা করো।
3.
প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দ্বায়িত্ব প্রদান করবে।
4.
নিজের মান-মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে।
5.
ভালোমানুষ হিসেবে বিবেচিত হতে সচেষ্ট থাকবে।
6.
স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে।
7.
বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নেবে।
8.
প্রচলিত অস্ত্র, প্রযুক্তি, আর যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে।
9.
বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করবে।
10.
ভালোকাজে বারবার অংশ নিবে।
11.
নিজের কথা প্রমাণ করে দেবে।
12.
বন্ধুদেরকে সাধ্যমত ভালোবাসবে।
13.
শত্রু-মিত্র সবার সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করবে।
14.
মাতা-পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে।
15.
শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে।
16.
আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে।
17.
প্রত্যেক কাজে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করবে।
18.
বীরত্বকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করবে।
19.
কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে।
20.
শরীর এবং পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।
21.
একতাবদ্ধ হয়ে থাকবে।
22.
নিজের খাবার অন্যের দস্তরখানায় নিয়ে খাবে না।।
23.
আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠা-বসা করবে না।
24.
কথা বলার সময় চতুর্দিক লক্ষ্য করে বলবে।
25.
নিজের জন্য যা পছন্দ করো না তা অন্যের জন্যও পছন্দ করবে না।
26.
বিচক্ষণতা এবং কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে।
27.
উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না।
28.
নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না।
29.
আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখবে না।
30.
কোনো নফল যদি ফরযের পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তবে সে নফল সযত্নে পরিত্যাগ করবে।
31.
তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদের নিরাশ করো না


0 comments:

Post a Comment