Wednesday, January 10, 2018

বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার ইতিবৃত্ত

বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার ইতিবৃত্ত 

 সব ভেদাভেদের প্রাচীর ভেঙে বিশ্ব মুসলিমের এক সম্প্রীতির মিলনমেলা বিশ্ব ইজতেমা। ঢাকার সন্নিকটে উত্তরে তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা।
এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২, ১৩ ও ১৪ এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯, ২০ ও ২১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে তাবলিগ আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। সে হিসেবে এবারের সম্মেলন ৭১তম। সুদীর্ঘ তিন যুগের অধিককাল ধরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা। এটি বিশ্বের তাবলিগ অনুসারীদের একটি বৃহত্তম সমাবেশ। তাবলিগ আরবি শব্দ, বালাগ শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থ পেঁৗছানো, প্রচার করা, প্রসার করা, বয়ান করা, চেষ্টা করা,


দান করা ইত্যাদি। পরিভাষায় একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পেঁৗছানোকে তাবলিগ বলে। তাবলিগ আদর্শ যিনি পেঁৗছান, তাকে মুবালি্লগ বলে। প্রথম দিকে ঢাকার কাকরাইল মসজিদ ও সংলগ্ন রমনা উদ্যানের একাংশে অনুষ্ঠিত হতো এ সমাবেশ। ইজতেমার ইতিহাস তালাশ করলে মোটামুটি জানা যায়, বাংলাদেশে ইজতেমা অনুষ্ঠানের প্রায় তিন-চার যুগ আগে ভারতের সাহারানপুরে এ মহতী কাজের গোড়াপত্তন ঘটে। বর্তমান ধারায় এ তাবলিগি কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেন মওলানা ইলিয়াস (রহ.)। ১৯২০ সালে তিনি
প্রচলিত তাবলিগি মিশন শুরু করেন। তিনি এ কর্মপ্রয়াসকে তখন বলতেন 'ইসালে নফস' বা আত্মশুদ্ধির প্রাথমিক পাঠ। প্রথমত তিনি টেস্ট কেস হিসেবে ভারতের সাহারানপুর ও মেওয়াত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি ছয়টি বিশেষ গুণ অর্জনের মেহনত করেন জনসাধারণ্যে। সে ছয়টি বিশেষ গুণ হলো_ কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন (মুসলমানদের সেবা), সহি নিয়ত ও তাবলিগ। অন্য একটি গ্রন্থসূত্রে জানা যায়, মওলানা ইলিয়াস প্রথম বর্তমান ধারার এ তাবলিগকে নাম দেন 'তাহরিকুস সালাত' বা নামাজের আন্দোলন। কথিত আছে, মওলানা ইলিয়াস প্রথম যখন মানুষের কাছে ধর্মীয় প্রচার শুরু করেন, তখন তেমন কোনো সাড়া মেলেনি। তাই তিনি অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি আশপাশের দিনমজুর, শ্রমিক-কৃষকদের ডেকে এনে সকাল থেকে
বিকাল পর্যন্ত রেখে দুই বেলা খাবার দিতেন এবং তাদের নামাজ শিক্ষা দিতেন, নামাজের সুরা শেখাতেন, ধর্মীয় বিধিনিষেধ বর্ণনা করতেন। অবশেষে বিদায় বেলা তাদের প্রত্যেককে মজুরি তথা পারিশ্রমিক দিয়ে দিতেন। এ পদ্ধতি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হলো। অল্প সময়ের ব্যবধানেই তার নামাজের আন্দোলনের সদস্যসংখ্যা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হয়ে পড়ল। জনগণ নিজেরাই নিজ অর্থ ব্যয় করে মওলানা ইলিয়াসের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে থাকে। যখন বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রচেষ্টা শুরু হয়, তখন এর নাম ছিল শুধুই ইজতেমা; যা অনুষ্ঠিত হতো ঢাকার
কাকরাইল মসজিদে। ১৯৬৪ সালে কাকরাইলে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের ইজতেমা শুরু হয়। ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে, তারপর ১৯৬৫ সালে টঙ্গীর পাগারে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকে ধীরে ধীরে এগোতে এগোতেই আজকের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। যে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে বিশ্বের প্রায় দেড় শ রাষ্ট্রের তাবলিগ প্রতিনিধিরা। শিল্পনগরী টঙ্গীতে ইজতেমাকে স্থানান্তরিত করা হয় ১৯৬৬ সালে। আর সে বছর থেকেই তাবলিগ জামাতের এ মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা নামে খ্যাতি অর্জন করে। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মুসলমানদের সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য আর ঐক্যের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র বিশ্ব ইজতেমা। এর ফলে তুরাগতীরে অবস্থিত টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা পরিচিতি লাভ করে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলনকেন্দ্র হিসেবে। বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনব্যাপী। কিন্তু টঙ্গীতে এর আমেজ থাকে প্রায় ১০ দিনব্যাপী। আর এ ইজতেমার প্রস্তুতি তো তিন-চার মাস আগ থেকেই শুরু হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত তাবলিগ আন্দোলনকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী আন্দোলন বলা হয়। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের কোটি কোটি মুসলমান এ আন্দোলনের সময় বিনিয়োগ করেন। তাবলিগ জামাতের কোনো সংবিধান নেই। অলিখিত সংবিধানও নেই। লিখিত আইন, বিধিবিধান ও উপবিধি কিছুই নেই। তার পরও এ আন্দোলন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সুশৃঙ্খল আন্দোলন। তাবলিগ জামাতের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি আছে। এটিকে বলা হয় মজলিসে শুরা। এ কমিটির কোনো আনুষ্ঠানিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। ২১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও বহু ব্যক্তি এ কমিটির মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তাবলিগে যারা অপেক্ষাকৃত বেশি অবদান রেখেছেন, তারাই এ কমিটির আলোচনায় কথাবার্তা বলেন। তবে কে কত বেশি অবদান রেখেছেন, তা নির্ধারণেরও মাপকাঠি নেই। তাবলিগ আন্দোলনে ক্ষমতা বা পদমর্যাদার কোনো প্রতিযোগিতা নেই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। নেতৃত্বের কোন্দল নেই। যিনি একবার কেন্দ্রীয় শুরায় আমির নির্বাচিত হন, তিনি আমৃত্যু সে পদ অলঙ্কৃত করেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কোনো আন্দোলন নেই, ষড়যন্ত্র নেই। তাবলিগ অনুসারীরা তাদের আমিরকে সম্বোধন করেন 'হজরতজি' বলে। ঢাকা মহানগরীতে অবস্থিত কাকরাইল মসজিদ বাংলাদেশ তাবলিগ জমাতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বা হেডকোয়ার্টার। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে ২ মাইল লম্বা যে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়, তার জন্য কোনো চাঁদা-অনুদান কারো কাছ থেকে চাওয়া হয় না। স্বেচ্ছাসেবীরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ সম্মেলনের ব্যয়ভার বহন করেন। তাবলিগে অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলীরা প্যান্ডেলের একটি নকশা তৈরি করে দেন। বিভিন্ন কল-কারখানা থেকে আসা লোকজন রড, সিআই শিট, শামিয়ানার চট ইত্যাদি নিয়ে আসেন। কে কী জিনিস নিয়ে আসেন, তার হিসাব তারাই রাখেন। ইজতেমা শেষ হওয়ার পর তারা স্ব স্ব জিনিসপত্র খুলিয়ে দেন। তাবলিগ আন্দোলন ও বিশ্ব ইজতেমার কোনো প্রেস রিলিজ, প্রকাশনা, প্রচার শাখা নেই। বিশ্ব ইজতেমা কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, তা উল্লেখ করে কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হয় না। কোনো লিফলেট-পোস্টার ছাপানো হয় না। তবুও লাখ লাখ মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিশ্ব ইজতেমায় সমবেত হয়। ইজতেমা ময়দানে লাখো মানুষের উদ্দেশে কে বক্তব্য দেবেন, তার নাম ঘোষণা দেয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে তাবলিগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ 'কে বলছেন সেদিকে তাকিও না, কী বলেছেন সেদিকে লক্ষ্য কর' হাদিসকেই ফলো করেন। সাহারানপুরে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় তাবলিগি আন্দোলনের যে বীজ অঙ্কুরিত হয়, তা পত্র-পল্লবে ছড়িয়ে আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করেছে। বিশ্বের এমন কোনো দেশ হয়তো পাওয়া যাবে না, যেখানে তাবলিগ আন্দোলনের কাজ নেই। ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে তাবলিগ জামাতের শুভসূচনা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের রাজধানী দিলি্লর দক্ষিণ পাশের এক নীরব অঞ্চল মেওয়াত। চারিত্রিক বিপর্যস্ত ধর্ম-কর্মহীন নামমাত্র মুসলমান জনগোষ্ঠীকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মের পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন ও কালিমার মর্ম শিক্ষাদান এবং গোমরাহির কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে হজরতজি মওলানা ইলিয়াস তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন। মেওয়াতিদের মধ্যে আরব জাহিলিয়াতের ছড়াছড়ি অনুভব করে মওলানা ইলিয়াস সংস্কারের উদ্যোগ নেন এবং তাদের নৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হন। শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের জন্য সেখানে তিনি কয়েকটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। মওলানা ইলিয়াস অনুধাবন করেন যে সমাজের বৃহত্তর অংশে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস দৃঢ়করণ ও তার বাস্তব অনুশীলন না হলে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয় এবং সাধারণ মানুষের জীবনে দীন না এলে কিছুই হতে পারে না। ১৩৪৫ হিজরিতে দ্বিতীয় হজ থেকে ফিরে এসে তিনি তাবলিগি 'গাশ্ত' শুরু করেন। জনসাধারণের মধ্যে দাওয়াত দিতে লাগলেন কালিমা ও নামাজের। লোকজনকে তাবলিগ জামাত বানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বের হওয়ার দাওয়াত দিলেন। মেওয়াতে কয়েক বছর এ পদ্ধতিতেই কাজ অব্যাহত ছিল। ১৩৫২ হিজরিতে তৃতীয় হজ পালনের পর মওলানা ইলিয়াস বুঝতে পারলেন যে গরিব মেওয়াতি কৃষকের পক্ষে দীন শেখার সময় বের করা কষ্টকর। তাই একমাত্র উপায় হিসেবে তাদের ছোট ছোট জামাত আকারে ইলমি ও দীনি মারকাজগুলোয় গিয়ে সময় কাটানোর জন্য উদ্বুদ্ধ এবং ধর্মীয় পরিবেশে তালিম দিতে শুরু করলেন। সেই ধর্মীয় মজলিসে ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি তাদের প্রাত্যহিক জীবনের নিয়ম-নীতি বাতলে দেয়া হতো। মওলানা ইলিয়াসের জীবদ্দশায়ই বার্ষিক ইজতেমা অনুষ্ঠানের কাজ শুরু হয়। উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বাইরের নানা দেশে তাবলিগের কাজ বিস্তৃত করার উদ্যোগ মওলানা ইলিয়াস নিজেই গ্রহণ করেন। তার নির্দেশে উপমহাদেশের বড় বড় শহরে তাবলিগের জামাত সফর শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাবলিগ জামাতের কাজ সম্প্রসারিত হলেও ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এ আন্দোলন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাত সৃষ্টি করেছে নিবেদিতপ্রাণ বিপুলসংখ্যক প্রচারক মুবালি্লগ; যার ফলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন_ বিশ্ব ইজতেমা; যা আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করে চলছে। বিশ্ব ইজতেমা মানুষের মধ্যে ব্যাপক ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আবেগ তৈরি করে। আধ্যাত্মিক প্রেরণার উন্মেষ ঘটায়। বিশেষ করে তিন দিনব্যাপী ইজতেমার শেষ দিনের মোনাজাতে অংশ নেয়ার জন্য যেভাবে মানুষ পাগলের মতো ছুটে যায়, তা সত্যিই যে একটি প্রচ- ইসলামী আবেগ ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ তা অস্বীকার করার জো নেই। এতে কেউ শরিক হতে না পারলে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে। বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিন কার্যত টঙ্গীকেন্দ্রিক জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। এর প্রভাব এতটুকু গড়ায় যে দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কমপক্ষে একবার সেখানে বিশেষত মোনাজাতের দিন হাজিরা দিতে যান। বিশ্ব ইজতেমার ব্যাপারে মিডিয়াগুলোও নিঃস্পৃহ থাকতে পারে না। গণমাধ্যমগুলো যে পন্থীই হোক না কেন, তাদের পক্ষে ইজতেমাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ইজতেমার খবরাখবর বিশেষ করে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠানটি দেশের প্রধান খবর হিসেবে সবাইকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করতে হয়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, টঙ্গীর তুরাগ যেন মিশে আছে যমুনা, সিন্ধু, নীল, দজলা, ফোরাত, মিসিসিপি আর আমাজনের সঙ্গে। টঙ্গীর ইসলামী জাগরণের স্রোতধারা একাত্ম করে নেয় বিশ্ব মুসলিমকে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে একাত্ম করে নেয় নিরন্তর দাওয়াতি প্রচেষ্টার তাবলিগি মাধ্যমে। মোট কথা, বিশ্ব ইজতেমা আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের ধর্মীয় ইমেজের ক্ষেত্রে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগ আন্দোলন ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামী চর্চা ও জাগরণ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা অভাবনীয় ভূমিকা পালন করছে।

মওলানা আনোয়ার-উল-করিম: কলাম লেখক, সাংবাদিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ

0 comments:

Post a Comment