৫ দিনের বিশ্ব জোড় ও বিশ্ব ইজতেমার প্রার্থক্য!
এক
কথায়, ৫ দিনের বিশ্ব জোড় হল বিশ্ব ইজতেমার জান – এর শান হল বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা
আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন ২০১৮ সালের ৫৩তম
বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে প্রতি বছরের মতো এ বছরেও পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আয়োজন
করা হয়েছে। তবে জোড় ইজতেমায় প্রায় পাঁচ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটতে পারে বলে প্রাথমকিভাবে
ধারণা করা হচ্ছে। ’
ইজতেমার
পূর্বে
প্রতিবছর
৫দিনের জোড় নিয়ে অনেকের
মাঝে কৌতূহল থাকে।
অনেকে জানতে চান , জোড়
ও বিশ্ব ইজতেমার প্রার্থক্য কি ? এখানে কি হয়
কত লোক হয়?
এবার
অর্থাৎ আর মাত্র একদিন পরেই টঙ্গির
তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার
ময়দানে ৫দিনের জোড় ইজতেমা
অনুষ্টিত হবে, ৩
চিল্লার পুরানো সাথী ও উলামা
হযরতদের নিয়ে ।
১৭ই নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে ইনতেজামি
উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে জোড়ের
আনুষ্টানিকতা শুরু হবে
এবং
২১সে নভেম্বর দোয়ার মাধ্যমে আনুষ্টানিকতা
শেষ হবে।
ইজতেমার
মাকসাদ হিসাবে বড়রা বলেন,
আল্লাহর রাস্তায় খুরুজ ও আম
হেদায়তের ফিকর উম্মতের মধ্যে
বাড়ানোর জন্য উমুমি আয়োজন। তবে
কাজ বাড়ার কারনে বাহ্যিক
দৃষ্টিতে জোড়ও এখন ইজতেমার
আদলে বেশ বড় পরিসরে
কয়েকলক্ষ মোবাল্লিগ ও আলেমদের মজমা
হয়ে থাকে।
আর
জোড়ে মূলত বিশ্বব্যাপি দাওয়াতের
কাজ নিয়ে চলনেওয়ালা মুবাল্লীগদের
ইসলাহি ফিকির, তরবিয়ত, হুসনে
আখলাক, মোয়ামেলাম, মোয়াশারাত, ইজতেমায়িত, তায়াল্লুক মায়ল্লাহ এবং দাওয়াতের কাজের
নেহেজ এবং উসুল ও
তরতিব নিয়ে বিষয় ভিত্তিক
আলোচনা হয়ে থাকে।
ইজতেমাতে
যে সব আলমি জিম্মাদারগন
আসেন তারা মূলত ৫দিনের
জোড়ে আসেন না।
জোড়ে আসেন দাওয়াত ও
তাবলীগের আধ্যাত্মিক মুরুব্বী ও সবোর্চ্চ নীতি
নির্ধারক বয়োজষ্ট আকাবিরগন। এক
সময় আসতেন, হযরতজী মাওলানা
ইউসুফ রহ, মুব্বিলীগে ইসলাম
মাওলানা উমর পালনপুরী রহ.
মদীনা শরীফের জিম্মাদার তাবলীগের
ইমাম গাজ্জালী খ্যাত মাওলানা সাঈদ
খান রহ.। তাদের
ইন্তেকালের পর জোড়ে নিয়মিত
ইসলাহি বয়ান করেন, শায়খুল
হাদীস জাকারিয়া রহ এর অন্যতম
খলিফা, জামেয়া কাশফুল উলুম
দরগাহে নিযামুদ্দীনের শায়খুল হাদীস, আল্লামা
ইব্রাহিম দৌলা (দামাত বারাকাতুহুম)
সহ তাবলীগের আলমি আকাবির হযরতগন।
৫দিনের
জোড়ের প্রথম দুদিন বাংলাদেশের
৬৪জেলার নির্ধারিত ছকে পুরন করে
মহল্লায় থেকে এনে জমা
দিতে হয়। মিম্বরে
সংগ্রহিত প্রতিটি জেলার কাজের হালত
-কারগুজারী মাইকে জেলার আহলে
শূরারা বলে থাকেন।
নানান স্থরে বিভিন্ন প্রশ্নের
আলোকে সমস্যার সমাধান ও কাজের
সহি নেহেজ এবং তরবিয়ত
বড়রা বলে দেন।
জোড়ের সবচেয়ে বড় মুগ্ধকর
বিষয় কাজের হালত ও
বয়ানের সময় দেশ-বিদেশের
সকল মুরুব্বিরা বসা থাকেন।
তারাও পরামর্শের উপর নিজ ডায়রিতে
প্রযোজনীয় নোট তৈরি করেন। ৫দিন
পর দোয়ার আগে সারা
দেশের কাজের পরিসংখ্যান, আগামি
বছরের টার্গেট এবং জোড় থেকে
পাওয়া বড়দের ফায়সালা সমূহ
পড়ে শুনানো হয়।
সুপরিকল্পিত কাজের ক্ষেত্রে একটি
আত্মিক, ইজতেমায়িত, ও সাংগঠনিক ভীত
তৈরিতে জোড়ের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এজন্য
বড়রা বলেন, আলেম ও
পুরানো কাজের সাথীরা ইজতেমার
চেয়ে জোড়ে উপস্থিত থাকা
বেশি জরুরী। এবং
গুরত্বদিয়ে থাকেন।
মোদ্দা
কথা বিশ্ব ইজতেমার সফল আয়োজনে এই ৫ দিনের জোড়ের গুরুত্ব অনেক।
0 comments:
Post a Comment