দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী

“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

দুনিয়ার দুঃখ দুঃখ না, জাহান্নারের দুঃখ আসল দুঃখ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

নামাজ বেহেস্তের চাবি

রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।

কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

Sunday, January 19, 2014

সারা বিশ্বে দ্বীন প্রচারের বিস্তৃত একটি উদ্যান বিশ্ব ইজতেমা

দ্বীন প্রচারের বিস্তৃত একটি উদ্যান বিশ্ব ইজতেমা


বিশ্বে দ্বীন প্রচারের বিস্তৃত একটি উদ্যান বিশ্ব ইজতেমা
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব। করুণাময় আল্লাহ তায়ালার সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি। মহান আল্লাহ মানবজাতিকে অনুপম গঠন,দামী মস্তিষ্ক ও বিবেকএখতিয়ার দিয়ে সুন্দর এ পৃথিবীতে  তাঁর প্রতিনিধি তথা খলিফার পদে সমাসিন করেছেন। রাব্বুল আলামীন মানুষের হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। দুনিয়াতে যত নবী-রাসূল আগমন করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই আল্লাহর দেয়া দ্বীনি দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করে পার্থিব জগত থেকে বিদায় নিয়েছেন। তারা মানবজাতিকে দাওয়াত-তাবলীগতাওহীদ-রিসালাতঈমান-ইহসানসহ সফলতার খাঁটি রাস্তা তথা সীরাতে মুসতাকীম দেখিয়েছেন
নবী-রাসূলগণের অনুপস্থিতিতে এ দ্বীনি দায়িত্ব তথা দাওয়াত তাবলীগ এর যিম্মাদারী অর্পিত হয়েছে উম্মতে মুহাম্মদির উপর। এ দ্বীনি যিম্মাদারী আঞ্জাম দেওয়ার উদ্দেশ্যই আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর আগে ভারতের দেওবন্দে প্রসিদ্ব আলেম মাওলানা ইলিয়াস (রাহ.) মুবাল্লিগে ইসলাম হয়ে মেওয়াত অঞ্চলে দাওয়াত ও তাবলীগ এর কাজ শুরু করেন

তাবলিগের ৬ নম্বর কিএবং কেন ?

তাবলিগের  ৬ নম্বর কি ?

৬টি বিষয়ের উপর মেহনত করে সে অনুযায়ী আমল করতে পারলে দ্বীনের পথে চলা সহজ হয়। বিষয় ৬টি হল:
  1. কালেমা
  2. নামায
  3. এলেম ও যিকির
  4. একরামুল মুসলিমীন
  5. তাসায়ি/সহিহ নিয়ত
  6. দাওয়াত ও তাবলিগ

১. কালেমা

لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِؕ
(লা– ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ।)
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) তাঁর প্রেরিত রাসুল।
এই কালেমার হাকীকত অর্থ হল, আমরা দু’চোখে যা কিছু দেখি বা না দেখি, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সবই হল আল্লাহ্‌র সৃষ্টি মাখলুক। মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহ্‌র হুকুম ছাড়া, আর আল্লাহ্‌ সব করতে পারেন মাখলুকের সাহায্য ছাড়া। এই বিশ্বাস দিলের মাঝে পয়দা করার নামই ঈমান।
যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এই কালেমা পাঠ করবে, কাল কেয়ামতের দিন আল্লাহ্‌পাক তাকে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল করে উঠাবেন।
যে ব্যক্তি একিন ও এখলাসের সাথে এই কালেমা পাঠ করবে, আল্লাহ্‌পাক তার বিগত দিনের সকল গুনাহ্‌ মাফ করে দিবেন এবং গুনাহ্‌গুলো নেকীর দ্বারা বদলাইয়া দিবেন।
যে ব্যক্তির প্রথম কথা হবে ‘লা– ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’, এবং শেষ কথা হবে ‘লা– ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’, সে ব্যক্তি হাজার বছর দুনিয়াতে বেঁচে থাকলেও তার কোন হিসাব নেয়া হবে না।
আমরা বেশি বেশি এই কালেমা পাঠ করব এবং অপর ভাইকে এর হাকীকত জানাইয়া দাওয়াত দিব এবং দুয়া করব, “হে আল্লাহ্‌! এই কালেমার হাকীকত আমার মধ্যে, আমার পরিবারের মধ্যে এবং সারা উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে দান করুন।”

২. নামায

হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) যেভাবে নাময পড়েছেন এবং সাহবীদের যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন সেভাবে নামায পড়ার যোগ্যত অর্জনের চেষ্টা করা।
আল্লাহ্‌ তায়ালা কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথমে নামাযের হিসাব নিবেন।
ওযু নামাযের চাবি, আর নামায বেহেশ্তের চাবি।
যে ব্যক্তি একিন ও এখলাসের সাথে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ্‌ তাকে ৫টি পুরস্কার দান করবেন।
  1. রিযিকের পেরেশানী দূর করে দিবেন
  2. কবরের আযাব মাফ করে দিবেন
  3. ডানহাতে আমলনামা দিবেন
  4. পুলসিরাত বিজলির মত পার করাবেন এবং
  5. বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন
৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্‌।
আমরা ফরয নামাযগুলো জামাতে আদায় করব, ওয়াজাব ও সুন্নতের পাবন্দি করব, বেশি বেশি নফল নামায পড়ব, আর উমরী ক্বাজাগুলো খুঁজে খুঁজে আদায় করব এবং নামাযের লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দিব।

৩. এলেম ও যিকির

এলেম:

আল্লাহ্‌র কখন কী আদেশ-নিষেধ তা জেনে আমল করার নাম হল এলেম।
যে ব্যক্তি এলেম অর্জনের জন্য ঘর থেকে বের হয়, গর্তের পিপড়া থেকে সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত তার জন্য মাগফেরাতের দুয়া করতে থাকে।
এলেম হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি যে পথ দিয়ে হেটে যায়, ফেরেশতারা সে পথে নূরের পর (পাখা) বিছিয়ে দেয়।
এলেম কয়েকভাবে শিখা যায়।
ফাযায়েল এলেম: তালিমের হালকায় বসে।
মাসায়েল এলেম: হক্কানী আলেম-উলামাদের কাছ থেকে।
তরবিয়তি এলেম: সাহাবীদের জীবনী (হায়াতুস সাহাবাহ্‌) থেকে।
আমরা বেশি বেশি এলেম অর্জনের চেষ্টা করব এবং এর লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দিব।

যিকির:

সর্বাবস্থায় আল্লাহ্‌র ধ্যান-খেয়াল দিলের মাঝে পয়দা করা।
যে ব্যক্তি যিকিরের দ্বরা জিহ্বাকে তরুতাজা রাখবে, কাল-কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
যিকিরকারী দিল জিন্দি, আর যিকিরবিহীন দিল মুর্দা।
যিকির হল আত্মার খোরাক।
সর্বোত্তম যিকির ‘লা– ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’, আফজাল (أفضل) যিকির হল কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।
আমরা বেশি বেশি যিকির করব এবং এর লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দিব।

৪. একরামুল মুসলিমীন

আপর মুসলমান ভাইয়ের কিম্মত (গুরুত্ব) বুঝে কদর করা।
যে ব্যক্তি অপর মুসলমান ভাইয়ের একটি হাজত পুরা করার নিয়ত করে, আল্লাহ্‌পাক তাকে ১০ বছর নফল এতেকাফ করার সওয়াব দিবেন।
আর যে ব্যক্তি অপর মুসলমান ভাইয়ের একটি হাজত পুরা করে, আল্লাহ্‌পাক তার ৭৩টি হাজত পুরা করবেন, যার ১টিই দুনিয়ার সব প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
যে ব্যক্তি আগে সালাম দিল, সে অহংকার মুক্ত থাকল।
আমরা বড়দের সম্মান করব, ছোটদের স্নেহ করব, আলেমদের তাজিম করব।

৫. তাসায়ি/সহিহ্‌ নিয়ত

আমরা যা করব সব আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্যই করব।
নিয়ত সহিহ্‌ হলে কোন ব্যক্তি খোরমা পরিমাণ দান করলেও আল্লাহ্‌পাক তাকে বাড়িয়ে ওহোদ পাহাড়ের চাইতেও উত্তম বদলা দান করবেন।
নিয়ত সহিহ্‌ না হলে, ওহোদ পাহাড় পরিমাণ দান করলেও আল্লহ্‌পাক খুরমা পরিমাণ সওয়াবও তার আমলনামায় দিবেন না।
কোন কাজ করার সময় কমপক্ষে তিনবার নিয়তকে যাচাই করে নিতে হবে। ১. কাজের শুরুতে, ২. কাজের মাঝে এবং ৩. কাজের শেষে। নিয়তে কোনরকম গরমিল লক্ষ্য করা গেলে সাথে সাথে তা ঠিক করে নিতে হবে।

৬. দাওয়াত ও তাবলিগ

আল্লাহ্‌র দেয়া জান, আল্লাহ্‌র দেয়া মাল, আল্লাহ্‌র দেয়া সময় হাতে নিয়ে, জান, মাল, সময়ের সঠিক/সহিহ্‌ ব্যবহার শিক্ষা করাই হল দাওয়াত ও তাবলিগ।
আল্লাহ্‌কে রাজীখুশি করার জন্য যে আল্লাহ্‌র রাস্তায় বের হয়, আল্লাহ্‌ তার জান্নাতের পথকে সহজ করে দেন।
আল্লাহ্‌র রাস্তায় বের হয়ে একটা ভাল কাজ করলে, আল্লহ্‌পাক তাকে ৪৯ (ঊনপঞ্চাশ) কোটিগুণ বাড়িয়ে তার আমলনামায় দান করবেন।
আল্লাহ্‌র রাস্তায় বের হয়ে কেউ নিজ প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে, আল্লাহ্‌পাক তাকে ৭ (সাত) লক্ষ টাকা সদকা করার চেয়েও উত্তম বদলা দান করবেন।
জীবনের শুরুতে তিন চিল্লা বা চারমাস সময় লাগিয়ে জান, মাল, সময়ের সহিহ্‌ ব্যবহার শিক্ষা করা এবং মৃত্যু পর্যন্ত এর সাথে লেগে থাকা।
সূত্র -  ইন্টারনেট

তাবলিগ কি ও কেন - আসুন জানি


আসুন জানি - তাবলিগ কি ও কেন ?

‘তাবলিগ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রচার করা, প্রসার করা, ইসলামের দাওয়াত দেওয়া, বয়ান করা, প্রচেষ্টা করা বা পৌঁছানো প্রভৃতি। পরিভাষায় একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানো বা অপরকে শিক্ষা দেওয়াকে তাবলিগ বলা হয়। তাবলিগের মুখ্য উদ্দেশ্য আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সঙ্গে মানুষের পরিচয় ও সম্পর্ক হওয়া, যাতে তাঁর কাছ থেকে সব সমস্যার সমাধান লাভ করে ইহকাল ও পরকালে শান্তি সফলতা পায়। ধর্মপ্রাণ মানুষ আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে সমাজজীবনে নানা রকম সামাজিক অনাচার থেকে বিরত থাকতে পারেন। ইসলাম ধর্মের মৌলিক নীতি, আদর্শ ও শিক্ষাবলি অন্যের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেওয়াই হলো তাবলিগ।
আর ‘ইজতেমা’ শব্দের অর্থ সমবেত করা, সভা-সমাবেশ বা সম্মেলন। ধর্মীয় কোনো কাজের জন্য বহুসংখ্যক মানুষকে একত্রিত করা, কাজের গুরুত্ব বোঝানো, কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ব্যাপকভাবে এর প্রচার, প্রসারের জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ইত্যাদি বিষয়কে ইসলামের পরিভাষায় ইজতেমা বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.)-এর মুখ নিঃসৃত শাশ্বত বাণী ‘তোমার কাছে যদি কোনো বাণী থাকে, তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও’-কে আহ্বান করে ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ মহাসম্মেলনে সমবেত হন। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ থেকে আগত হাজার হাজার তাবলিগ অনুসারী ঈমানদার মুসল্লি মিলিত হন। তাঁরা কোনো রকম বৈষয়িক লাভের আশা না করে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীনের মেহনত করে ইজতেমা ময়দানকে মুসলিম মহামিলনের জন্য প্রস্তুত করে তুলেন।
ইসলাম প্রচারে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিদের আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানের যে নিরন্তর প্রচেষ্টা, যে গভীর আন্তরিকতা এরই এক প্রাণবন্তময় বহিঃপ্রকাশ বিশ্ব ইজতেমা। ধর্মের কাজে তাঁরা একদিকে নিজেকে পরিশুদ্ধ ও উন্নত করার জন্য, অন্যদিকে যারা উদাসীন তাদের ধর্মের প্রতি আহ্বান করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষের আত্মিক প্রশান্তি লাভের জন্য বিশ্ব ইজতেমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসল্লিরা আল্লাহর দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাগলপারা ও নবীপ্রেমিক হয়ে ঘর-বাড়ি, আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে বিশ্ব ইজতেমায় সম্মিলিত হন। বিশ্ববরেণ্য আলেমসমাজ, ধর্মীয় নেতারা বিশ্ব ইজতেমায় শামিল হয়ে ইসলামের শাশ্বত বাণী বয়ান করেন এবং মানুষকে ধর্মের পথে জীবন পরিচালনার জন্য উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানান।
মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে দুনিয়ার ইতিহাসে তাবলিগ শুরু হয়। আল্লাহর একত্ববাদ প্রচারের জন্য অসংখ্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু আর কোনো নবী-রাসুল দুনিয়াতে আসবেন না, তাই তাবলিগের আমলের দায়িত্ব ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতদের। দশম হিজরিতে আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘আমিই সর্বশেষ নবী, বিধায় নবুওয়াত ও রিসালাতের অব্যাহত ধারার এখানেই পরিসমাপ্তি। অনাগত কালের মানুষের জন্য দ্বীনের পরিচয় বিধৃত আল কোরআন ও সুন্নাহ রেখে গেলাম। এগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তোমাদের।’ সাহাবিরা এ অনুপ্রাণিত বক্তব্য শোনার পরপরই তাবলিগ করার জন্য সারা পৃথিবীতে সফর করেন। এভাবে অনেক সাহাবায়ে কিরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন, ওলি-আউলিয়া, সুফি-দরবেশ ও হাক্কানি আলেম সমাজের কঠোর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বিসর্জনের জন্য তাবলিগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি; মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের নির্বাচন করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সত্ কাজের আদেশ করবে ও অসত্ কাজ থেকে নিষেধ করবে, আর তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-১১০)
মুসলমানদের ধর্ম, ঈমান, আমল, ঐতিহ্য রক্ষা করে চলার জন্য প্রয়োজন ইসলামের অনুসারীদের জাতীয় ঐক্য এবং বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করা। বিধিবদ্ধ ইবাদত ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালনের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় ও মজবুত হয়।
‘কালেমা, নামাজ, ইল্ম ও জিকর, ইকরামুল মুসলেমিন (মানুষের উপকার), ইখলাছ-ই-নিয়ত এবং দাওয়াতে তাবলিগ’-এ ছয়টি উসুল বা মূলনীতি সামনে রেখে তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমায় প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ঈমান ও আমলের সমন্বয়ে তাদের দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে ধর্মের দাওয়াত নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সারা বছর ঘুরে বেড়ান। এ চলমান প্রক্রিয়া শুধু বাংলাদেশে নয়—আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ প্রায় প্রতিটি দেশেই তাবলিগ দাওয়াতের এ কাজ হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতার মাধ্যমেই সারা বিশ্বে ইসলাম ব্যাপকভাবে বিস্তার হতে চলেছে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ-বিদেশের ঈমানদার ত্যাগী আলেম-ওলামাদের কাছ থেকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে দ্বীনের বয়ান শুনে ঈমান-আমলের দাওয়াত সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া। শুধু ধর্মীয় বয়ান শোনা বা বিশ্ববাসীর শান্তি ও হেদায়েতের জন্য আখেরি মোনাজাতে প্রচুর লোকের অংশগ্রহণ বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্য নয়, বরং যাতে বেশি জামাত বের হয় এর দিকনির্দেশনা এখানে প্রদান করা হয়। যেন প্রতিটি জামাত নির্ধারিত এলাকার প্রতি মসজিদে দুই-তিন দিন করে থেকে তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, ঈমান ও আমলের দাওয়াত দেয়।
পৃথিবী সৃষ্টির আদি থেকে অদ্যাবধি সবচেয়ে ব্যাপক ও গতিশীল ইসলামি আন্দোলনের একটি প্রধান ধারা ইসলামের দাওয়াত ও তাবলিগ—যা ধর্ম প্রচারের আলোকে গড়া মানবতার আত্মশুদ্ধির আন্তর্জাতিক দাওয়াতি সংস্থা, যার কর্মীরা কাফেলা বেঁধে আল্লাহর প্রেমে মসজিদ থেকে মসজিদে সফর করেন, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে যান, লোকের বাড়িতে গিয়ে সবিনয়ে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, জামাতে নামাজ আদায়ের কথা বলেন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও ধর্মীয় আদর্শ শিক্ষার কথা বলেন। এমন অনেক মুসলমান আছেন, যাঁরা তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে সত্যিকারের পরহেজগারি অর্জন করেছেন এবং ধর্মীয় বিষয়াদি সম্পর্কে শিক্ষিত ও সচেতন হয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ‘আমিন’ ধ্বনিতে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মাধ্যমে অপূর্ব মহড়া ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।
সূত্র - েইন্টারনেট।

ইসলাম অনুশিলনের বিশ্ব ইজতেমা

ইসলাম অনুশিলন ও  প্রচারের উপায় তাবলিগ

ইসলাম প্রচারের ইতিবাচক উপায় তাবলিগ
রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে শিল্পনগরী টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা বিগত কয়েক বছর যাবত ২ পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ম পর্বে  ২৫২৬ ও ২৭ জানুয়ারি এবং ২য় পর্বে ৩১জানু. - ২রা ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে এ ধরনের একটি সম্মিলনীর ব্যবস্খাপনায় বাংলাদেশের বিরাট অবদান রাখতে পারা নি:সন্দেহে মর্যাদা ও গৌরবের বিষয়। প্রায় চার দশক ধরে প্রতি বছর একই স্খানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ যাবৎ নির্বিঘেí সব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি আয়োজনে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু পরিচালিত হলেও স্খানীয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারিভাবেও এতে যথেষ্ট সহায়তা করা হয় এবং হয়েছে।

বিশ্ব অশান্তির মুল কারন - স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া

বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস

আসুন জরুরী মনে করে যোগ দেই, বিশ্ব ইজতেমায়- আপনি আসছেন তো !!!


বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসঃ

রাজধানী ঢাকার পাশেই টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমাকে উপলক্ষ করে যে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটে তা হটাৎ করে হয়ে উঠেনি। নিবেদিত প্রাণ তাবলীগ অনুসারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্ব ইজতেমা আজকের রুপ লাভ করেছে। যতটুকু জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমা সর্ব প্রথম শুরু হয় আজ থেকে ষাট বছর পূর্বে ১৯৪৬ইং সালে কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ইং সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন হাজী ক্যাম্পে। এরপর ১৯৫৮সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।
Photo: বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসঃ

রাজধানী ঢাকার পাশেই টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমাকে উপলক্ষ করে যে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটে তা হটাৎ করে হয়ে উঠেনি। নিবেদিত প্রাণ তাবলীগ অনুসারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্ব ইজতেমা আজকের রুপ লাভ করেছে। যতটুকু জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমা সর্ব প্রথম শুরু হয় আজ থেকে ষাট বছর পূর্বে ১৯৪৬ইং সালে কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ইং সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন হাজী ক্যাম্পে। এরপর ১৯৫৮সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।

তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু প্রতি বছর ইজতেমায় অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খেলার মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ঐ বছরই প্রথম শুধু বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন অংশ গ্রহন করায় বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পরবর্তীতে ১৯৬৭ সাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বিশ্ব ইজতেমা নামে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরে রাজউকের প্রায় ১৬০ একর (এখন প্রায় ১৭৫ একর) বিশাল ভুমির উপরে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিগত ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত জায়গায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার লিখিত অনুমতি প্রদান করেন।

বিভিন্ন পত্রিকা/ পরিসংখ্যানের হিসাবে দুই পর্ব মিলিয়ে প্রায় ষাট থেকে সত্তর লাখ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবং প্রায় ১০০টিরও বেশী দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ বিদেশি মেহমান এতে অংশ গ্রহন করেন।

তিন দিনের ইজতেমা শেষে আখেরী মুনাজাতে বিশাল জন সমুদ্রে পরিনত হয় ইজতেমা ময়দান! ঐ দিন সরকার কর্তৃক ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ আখেরি মুনাজাতে শরীক হন। আখেরি মুনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

এই বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষ পালাক্রমে মাঠ প্রস্তুতের কাজে অংশগ্রহন করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আল্লাহর অশেষ কুদরতে পুরো ব্যাবস্থাপনা ব্যায় বহুল ও সময় সাপেক্ষ হলেও অত্তন্ত নিখুঁত ভাবে পুরো কাজ সম্পন্ন হয় আলহামদুলিল্লাহ।

প্রতি বছরই ইজতেমা শেষে হাজার হাজার জামাত দেশের অভ্যন্তরে ও সারা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতী কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য বের হন নিজের জান মালের কোরবানির দ্বারা। আল্লাহ আমাদের সবাকেই এই মোবারক মেহনতের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

## শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দিন ইসলামের শাশ্বত বাণী। হৃদয় থেকে হৃদয় উদ্ভাসিত হোক ঈমানের আলোকচ্ছটায়।

তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু প্রতি বছর ইজতেমায় অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খেলার মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ঐ বছরই প্রথম শুধু বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন অংশ গ্রহন করায় বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পরবর্তীতে ১৯৬৭ সাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বিশ্ব ইজতেমা নামে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরে রাজউকের প্রায় ১৬০ একর (এখন প্রায় ১৭৫ একর) বিশাল ভুমির উপরে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিগত ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত জায়গায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার লিখিত অনুমতি প্রদান করেন।

বিভিন্ন পত্রিকা/ পরিসংখ্যানের হিসাবে দুই পর্ব মিলিয়ে প্রায় ষাট থেকে সত্তর লাখ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবং প্রায় ১০০টিরও বেশী দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ বিদেশি মেহমান এতে অংশ গ্রহন করেন।

তিন দিনের ইজতেমা শেষে আখেরী মুনাজাতে বিশাল জন সমুদ্রে পরিনত হয় ইজতেমা ময়দান! ঐ দিন সরকার কর্তৃক ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ আখেরি মুনাজাতে শরীক হন। আখেরি মুনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

এই বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষ পালাক্রমে মাঠ প্রস্তুতের কাজে অংশগ্রহন করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আল্লাহর অশেষ কুদরতে পুরো ব্যাবস্থাপনা ব্যায় বহুল ও সময় সাপেক্ষ হলেও অত্তন্ত নিখুঁত ভাবে পুরো কাজ সম্পন্ন হয় আলহামদুলিল্লাহ।

প্রতি বছরই ইজতেমা শেষে হাজার হাজার জামাত দেশের অভ্যন্তরে ও সারা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতী কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য বের হন নিজের জান মালের কোরবানির দ্বারা। আল্লাহ আমাদের সবাকেই এই মোবারক মেহনতের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।