সৎ ব্যবসায়ী হাশরের দিন নবী সিদ্দিক ও শহীদদের দলে থাকবেন
আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যা কিছু দান করেছি তা থেকে হালাল বস্তুগুলো ভক্ষণ কর এবং আল্লাহপাকের শোকর আদায় কর যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন হালাল সম্পদ কামাই করা ফরজের পর ফরজ। অত্র হাদিস আল্লামা বায়হাকী হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সত্যবাদী, আমানতদার ও বিশ্বাসী ব্যবসায়ী ব্যক্তি হাশরের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের দলে থাকবেন। (তিরমিজি শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- মহান আল্লাহ অতীব পূতপবিত্র। তিনি কেবল- পাক-পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। আর এ ব্যাপারে তিনি মুমিনদের ওই আদেশই করেছেন যা দ্বারা তিনি রাসূলগণকে আদেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, হে রাসূলগণ আপনারা পাক-পবিত্র হালাল মাল খাবেন এবং নেক আমল করবেন। এ একই আদেশ মুমিনদের করতে গিয়ে তিনি বলেন হে মুমিনগণ। আমার দেওয়া পাক-পবিত্র হালাল রিজিক খাও। অতঃপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দূরদূরান্তে সফর করছে। তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি। এমতাবস্থায় সে উভয় হাত আসমানের দিকে উঠিয়ে কাতর স্বরে হে প্রভু, হে প্রভু বলে ডাকছে। কিন্তু তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম ও পরিধেয় বস্তু হারাম। এ লোকের দোয়া কিরূপে গৃহীত হবে? (মুসলিম শরিফ) হজরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, হজরতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দেহের গোশত হারাম মাল দ্বারা গঠিত উহা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারে না। হারাম মালে গঠিত প্রত্যেক দেহের জন্য দোজখই অধিক উপযুক্ত। (দারামী)
হজরত ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি দশ মুদ্রায় একটি কাপড় খরিদ করল যার মধ্যে একটি মুদ্রা অবৈধ উপায়ে অর্জিত, তার নামাজ কবুল হবে না। যে পর্যন্ত ওই কাপড় তার পরিধানে থাকবে (আহমদ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন_ মিরাজ রাতে আমি এমন একদল লোকের কাছে উপস্থিত হলাম যাদের পেট ঘরের মতো বড় এবং উহার ভেতরে বহু সাপ রয়েছে, যেগুলো পেটের বাইরে থেকে দেখা যায়। আমি (আমার সঙ্গীকে) জিজ্ঞেস করলাম যে জিব্রাঈল! এরা কোন লোক? তিনি বললেন এরা সুদখোর (আহমদ শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। আল্লাহপাক বলেন- কিয়ামতের দিন আমি তিন শ্রেণীর লোকের বিরোধিতা করব ওই ব্যক্তি, যে আমার সঙ্গে অঙ্গীকার করল (মান্নত করল) অতঃপর উদ্দেশ্য লাভের পর সে তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করছে। ওই ব্যক্তি, যে স্বাধীন লোক বিক্রি করত, উহার মূল্য ভক্ষণ করে। ওই ব্যক্তি যে কোনো শ্রমিককে পরিশ্রমের বিনিময়ে কাজের জন্য নিযুক্ত করল। অতঃপর সে তার দ্বারা পুরোপুরি কাজ বুঝে পেল কিন্তু সে তাকে পারিশ্রমিক পরিশোধ করল না। (বুখারি শরিফ) হে আল্লাহ! আপনি আমাদের হারাম থেকে দূরে রেখে হালাল দ্বারাই যথেষ্ট করুন এবং গায়রুল্লাহ থেকে বিমুখ করে আপনার অনুগ্রহ দ্বারা ধন্য করুন। মহান আল্লাহ আমাদের আপনাদের মহাগ্রন্থ কোরআনের বরকত দান করুন।
সূত্র- মাওলানা মো. সালাহ্উদ্দিন (খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ)
বাংলাদেশ প্রতিদিন,
আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যা কিছু দান করেছি তা থেকে হালাল বস্তুগুলো ভক্ষণ কর এবং আল্লাহপাকের শোকর আদায় কর যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন হালাল সম্পদ কামাই করা ফরজের পর ফরজ। অত্র হাদিস আল্লামা বায়হাকী হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সত্যবাদী, আমানতদার ও বিশ্বাসী ব্যবসায়ী ব্যক্তি হাশরের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের দলে থাকবেন। (তিরমিজি শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- মহান আল্লাহ অতীব পূতপবিত্র। তিনি কেবল- পাক-পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। আর এ ব্যাপারে তিনি মুমিনদের ওই আদেশই করেছেন যা দ্বারা তিনি রাসূলগণকে আদেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, হে রাসূলগণ আপনারা পাক-পবিত্র হালাল মাল খাবেন এবং নেক আমল করবেন। এ একই আদেশ মুমিনদের করতে গিয়ে তিনি বলেন হে মুমিনগণ। আমার দেওয়া পাক-পবিত্র হালাল রিজিক খাও। অতঃপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দূরদূরান্তে সফর করছে। তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীরে ধুলাবালি। এমতাবস্থায় সে উভয় হাত আসমানের দিকে উঠিয়ে কাতর স্বরে হে প্রভু, হে প্রভু বলে ডাকছে। কিন্তু তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম ও পরিধেয় বস্তু হারাম। এ লোকের দোয়া কিরূপে গৃহীত হবে? (মুসলিম শরিফ) হজরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, হজরতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দেহের গোশত হারাম মাল দ্বারা গঠিত উহা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারে না। হারাম মালে গঠিত প্রত্যেক দেহের জন্য দোজখই অধিক উপযুক্ত। (দারামী)
হজরত ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি দশ মুদ্রায় একটি কাপড় খরিদ করল যার মধ্যে একটি মুদ্রা অবৈধ উপায়ে অর্জিত, তার নামাজ কবুল হবে না। যে পর্যন্ত ওই কাপড় তার পরিধানে থাকবে (আহমদ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। হজরত রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন_ মিরাজ রাতে আমি এমন একদল লোকের কাছে উপস্থিত হলাম যাদের পেট ঘরের মতো বড় এবং উহার ভেতরে বহু সাপ রয়েছে, যেগুলো পেটের বাইরে থেকে দেখা যায়। আমি (আমার সঙ্গীকে) জিজ্ঞেস করলাম যে জিব্রাঈল! এরা কোন লোক? তিনি বললেন এরা সুদখোর (আহমদ শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। আল্লাহপাক বলেন- কিয়ামতের দিন আমি তিন শ্রেণীর লোকের বিরোধিতা করব ওই ব্যক্তি, যে আমার সঙ্গে অঙ্গীকার করল (মান্নত করল) অতঃপর উদ্দেশ্য লাভের পর সে তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করছে। ওই ব্যক্তি, যে স্বাধীন লোক বিক্রি করত, উহার মূল্য ভক্ষণ করে। ওই ব্যক্তি যে কোনো শ্রমিককে পরিশ্রমের বিনিময়ে কাজের জন্য নিযুক্ত করল। অতঃপর সে তার দ্বারা পুরোপুরি কাজ বুঝে পেল কিন্তু সে তাকে পারিশ্রমিক পরিশোধ করল না। (বুখারি শরিফ) হে আল্লাহ! আপনি আমাদের হারাম থেকে দূরে রেখে হালাল দ্বারাই যথেষ্ট করুন এবং গায়রুল্লাহ থেকে বিমুখ করে আপনার অনুগ্রহ দ্বারা ধন্য করুন। মহান আল্লাহ আমাদের আপনাদের মহাগ্রন্থ কোরআনের বরকত দান করুন।
সূত্র- মাওলানা মো. সালাহ্উদ্দিন (খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ)
বাংলাদেশ প্রতিদিন,
0 comments:
Post a Comment