ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর
: কর্মবীর এক
মহৎ মনীষীর প্রতিচ্ছবি
মাহে রমজান সমাগত। তাই আজ খুব বেশী করে ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর মনে হচ্ছে, তাই উনার ব্যাপারে সবার জানা উচিত। উনার ট্রাষ্ট এর লিঙ্ক থেকে আমরা আরও জানি ।
প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ প্রফেসর ড.
খোন্দকার আ ন ম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্মরণে এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট আলোচকগণ বলেছেন,
ইসলামের খেদমতে মরহুম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন ব্যতিক্রমী। শিরক ও বিদআতমুক্ত সমাজ
প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান মুসলিম মিল্লাত অনাগতকাল স্মরণ রাখবে। জ্ঞানের এক উচ্চতায় অবস্থান
করলেও তিনি ছিলেন বিনয়ী,পরোপকারী এবং ইসলামের বিশুদ্ধ খাদেম।
আজ শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরের এক অডিটরিয়ামে
বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
পরিষদের সভাপতি মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম
বিলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর
মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হাফেজ এবিএম হিজবুল্লাহ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর
ইসলাম গণী, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, প্রফেসর
ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ ছিদ্দিকী, মুফতি
মোহাম্মদ জাকারিয়া, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, ড. খন্দকার হাবিবুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ
মাহমুদুর রহমান, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজহারী, মাওলানা
ইব্রাহিম খলিল মুজাহিদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নয়া দিগন্ত সম্পাদক
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, মরহুম প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ইসলামকে বর্তমান যুগের
আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা বর্তমানে চরম দুরবস্থায় নিপতিত। ইসলামের
বিরুদ্ধে অন্যান্য শক্তি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। মুসলমানদের অনৈক্যই সবচেয়ে ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, সমাজে আলেমগণই মানুষকে সত্য
বলা শেখায়। ধর্মই মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয়। ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর মানুষকে সত্যপথে
আহবান করেছেন। তিনি ছিলেন,প্রখর জ্ঞান সম্পন্ন ইসলামের সমঝদার। তার কর্ম ও আদর্শই তাকে
যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ বলেন, জাতি
ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরকে অনাগতকাল স্মরণ রাখবে। তাঁর অবদান অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শিরক বিদআতমুক্ত সমাজ গঠনে তিনি আজীবন কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী জ্ঞানের
অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিত্ব। এ জাতির জন্য ছিলো তার কোমল হৃদয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত
তিনি প্রতিদিন ১৩/১৪ ঘণ্টা লেখাপড়া করেছেন।
তিনি বলেন, ড. জাহাঙ্গীর ছিলেন নিরহঙ্কারী,
নির্লোভ। মতভেদকে তিনি স্বাগত জানাতেন। যুক্তিপূর্ণ উপস্থাপনাকে তিনি গুরুত্ব দিতেন।
রাসুলের সা. সুন্নাত অনুসরণ ও প্রচারে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রফেসর ইসলাম গণী বলেন, মরহুম খোন্দকার
আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন, মেধা, প্রজ্ঞা এলমে পূর্ণ একজন আলেম। পথহারা মানুষকে তিনি
আলোর পথে আহবান করেছেন। সমাজে হক প্রতিষ্ঠাই ছিলো তার বড় কাজ। ইসলামের জন্য তাঁর খেদমত
ছিলো ব্যতিক্রমী।
মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, প্রফেসর
ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন শিরক ও বিদআতমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রবক্তা।
মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী
বলেন, মানুষের মধ্যে যখন এলেম আসে তখন তার মধ্যে অহঙ্কারও চলে আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে
ব্যতিক্রম ছিলেন, প্রফেসর আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর। সভাশেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায়
দোয়া করা হয়।
সূত্র - দৈনিক নয়াদিগন্ত।
এক অসাধারন অনন্য দায়ীকে হারানো আমাদের জন্য এক বিয়োগান্ত ঘটনা। আর কোন দিন তাঁর নতুন কোন ভিডিও দেওতে পাব না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ পাক তার মত আর দায়ীদের পাঠান, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
ReplyDelete