নামাজের
স্বাস্থ্য উপকারিতা
নামাজ
হল ইসলাম ধর্মের প্রধান
উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন
৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়। নামাজের
মাধ্যমে একজন মুসলমান সৃষ্টিকর্তার
আনুগত্য প্রকাশ করেন।
এই নামাজের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য
উপকারিতা।
ইসলামি
চিন্তাবিদদের মতে পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ শুধু মানুষকে কুপ্রবৃত্তি
থেকেই দূরে রাখে না,
এটা শরীর ও মনকে
প্রফুল্ল রাখে। নামাজ
অত্যন্ত উত্তম ব্যায়াম।
মানুষ যখন মন দিয়ে
নামাজ পড়ে তখন তা
মেডিটেশনের (ধ্যান) কাজ দেয়,
যা মনকে স্থির করে। চিন্তাশক্তি
বৃদ্ধি করে। এছাড়া
নামাজে হাত-পাসহ শরীরের
বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো যেভাবে
নড়াচড়া করা হয় সেটা
অত্যন্ত উত্তম ব্যায়ামের কাজ
দেয়; বিজ্ঞানও তা সমর্থন করেছে। চলুন
জেনে নিই নামাজ পড়ার
কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা: ১। নামাজে
যখন সিজদা করা হয়
তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত
দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে
আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
২। নামাজে
যখন আমরা দাড়াই তখন
আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের
ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির
অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ
বৃদ্ধি পায়। ৩। নামাজের
মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি
ব্যায়াম সাধিত হয়।
এটি এমন একটি ব্যায়াম
যা ছোট বড় সবাই
করতে পারে। ৪। নামাজের
মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারণ
পরিবর্তন আসে। ৫। নামাজ
সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায়
রাখে। ফলে
শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়।
৬। নামাজের
জন্য ওজু করতে হয়
যা আমাদের দেহের মূল্যবান
অংশগুলো পরিষ্কার করে, ফলে বিভিন্ন
প্রকার জীবানু হতে আমরা
সুরক্ষিত থাকি। ৭। নামাজে
ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩
বার ধৌত করার ফলে
আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল
হয় এবং মুখের দাগ
কম দেখা যায়।
৮। ওজুর
সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা
হয় তাতে আমাদের মুখে
একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়
ফলে আমাদের মুখের রক্ত
প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং
বলিরেখা কমে যায়।
৯। কিশোর
বয়সে নামাজ আদায় করলে
মন পবিত্র থাকে।
এর ফলে নানা প্রকার
অসামাজিক কাজ থেকে সে
বিরত থাকে। ১০। নামাজ
আদায় করলে মানুষের জীবনি
শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১। কেবলমাত্র
নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত
যত্ন নেওয়া হয়।
ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের
দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে। ১২। সঠিক
নিয়মে রুকুতে গিয়ে নামাজ
পড়লে কোমর ও শিরদাড়ার
ব্যথা দূর হয়ে যায়।
সংগৃহীত : এস আহমেদ , দৈনিক বাংলাদেশপ্রতিদিন.
আরও জানুন -
নামাযের ফযীলত এর ২৫টি সুসংবাদ,
|
0 comments:
Post a Comment