ইসলাম কেন বহুবিবাহের অনুমতি দেয় ??
এই নোট
পড়ার আগে
অবশ্যই এই
নোট পড়ে
নিবেন। না
হলে ধারাবাহিকতা
হারাবেন। এবং
অনেক কিছুই
বোধগম্য হবে
না।
বহুবিবাহ কি??
এ সম্পর্কে
ইসলাম কি
বলে? লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/shamsuddha-al-amin/1123894277627546
অনেক মুসলিম
ভাই এবং
বেশীরভাগ অমুসলিম
ভাই এর
মনে প্রশ্ন
জাগে ইসলাম
কেন বহুবিবাহের
অনুমতি দেয়?
এটার মাধ্যমে
ইসলাম কি
নারীকে ছোট
করে না??
এটা নারীর
জন্য অপমান।
যারা এমন
মনে করেন
তাদের অবশ্যই জানা উচিত
ইসলাম কেন
বহুবিবাহের বৈধতা
দিয়েছে।
ইসলাম কেন
বহুবিবাহের
অনুমতি দেয়??
অনেকের মনেই
ধারণা আছে
যে, মুসলিমরা
প্রথম বহুবিবাহের
সুত্রপাত ঘটিয়েছে।
আসলে এটা
ঠিক না।
অনেক আগের
ইতিহাসও বহুবিবাহের
উদাহরণ পাওয়া
যায়। ইসলাম
শুধু এই
পদ্ধতিকে একটা
নিয়ন্ত্রিত রূপ
দিয়েছে।
সাধারণভাবে বিভিন্ন
দেশের পরিসংখ্যান
আমাদের বলে,
ছেলে ও
মেয়ে শিশুর
জন্মহার প্রায়
সমান[১]।
আসলে মেয়েদের
হার বেশী
হত যদি
কন্যা সন্তান
সনাক্ত করে
নষ্ট করা
না হত
[২]।
তারপর মেয়েদের
রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা ছেলেদের
চেয়ে বেশী
থাকে[৩]।
নারীর তুলনায়
পুরুষের মৃত্যহার
বেশী। সাধারণত
যুদ্ধ, দূর্ঘটনা,
মদ্যপান, ধুমপান,
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া
বন্ধ হয়ে,
স্ট্রোক করে
এবং আরও
বিভিন্ন কারনে
পুরুষ বেশী
মারা যায়।
এসব কারণে
পৃথিবীর বেশীরভাগ
দেশে পুরুষের
তুলনায় নারীর
সংখ্যা বেশী।
নিচের ছবিটি
দেখুন। এটাতে
নীল অংশ
হল সেই
এলাকা যেখানে
নারীর সংখ্যা
পুরুষের তুলনায়
বেশী। আর
লাল অংশ
ঐ সব
এলাকা যেখানে
নারীর সংখ্যা
পুরুষের তুলনায়
কম। সূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Human_sex_ratio
Sex ratio by country for total population. Blue represents more
women, red more men
যে সব
জায়গা লাল
দেখাচ্ছে সেই
জায়গায় মেয়ের
চেয়ে ছেলে
সন্তানকে বেশী
প্রাধান্য দেয়া
হয়। এবং
তারা মেয়ে
শিশু সন্তাক্ত
করে ভ্রুণ
হত্যা করে।
এই কারণে
তাদের দেশে
মেয়ের চেয়ে
পুরুষের সংখ্যা
বেশী। তবে
যদি তারা
এই ঘৃণ্য
কাজ পরিত্যাগ
করে তাহলে
কিছু বছরের
মধ্যে তাদের
দেশেও পুরুষের
চেয়ে নারীর
সংখ্যা বাড়বে।
প্রথমেই বলে
নেই- ইসলাম
শুধু ধর্ম
না একটা
পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।
এখন মনে
করুন- একটা
দেশে ৫০০
জন পুরুষ
আছে এবং
৭০০ জন
নারী আছে
(যেহেতু নারীর
সংখ্যা পুরুষের
চেয়ে বেশী)।
৫০০ পুরুষ
৫০০ নারীকে
বিয়ে করল।
বাকী ২০০
নারীর জন্য
ব্যবস্থা কি??
তাদের জন্য
কি সমাধান
দিবেন?? সবার
মাথায়ই চারটা
সমাধান আসবে।
১. সেই
পুরুষের স্ত্রী
হওয়া যার
পূর্বে স্ত্রী
আছে এবং
সমান অধিকার
নিশ্চিত করা।
২. পতিতাবৃত্তি।
৩. সমকামিতা।
৪. সারা
জীবন অবিবাহিত
থাকা।
এখানে ইসলাম
নারীদের জন্য
প্রথমটাই পছন্দ
করেছে। পতিতাবৃত্তি
ও সমকামিতা
হারাম করেছে।
এবং চার
নম্বর অপশন
বাস্তব সম্মত
না। এখন
একনজরে সংক্ষিপ্ত
করে পয়েন্টগুলো
আলোচনা করি।
আপনারাই সিদ্ধান্ত
নিবেন কোনটা
যুক্তিসংগত এবং
বাস্তবসম্মত ??
১. সেই
পুরুষের স্ত্রী
হওয়া যার
পূর্বে স্ত্রী
আছে এবং
সমান অধিকার
নিশ্চিত করাঃ
এখানে সেই
নারী একজন
স্ত্রীর মর্যাদা
পাবে যা
একজন নারীর
প্রাপ্য। নারীর
আত্নিক, সামাজিক,
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক,
শিক্ষা ও
অন্যান্য অধিকার
নিশ্চিত করা
হবে। বিন্দুমাত্রও
ক্ষুন্ন হবে
না। এখানে
সে তার
জৈবিক চাহিদা
হালাল উপায়ে
পূরণ করতে
পারবে এবং
সন্তান জন্মদান,
সন্তানের পিতার
পরিচয় পাবে।
পাবে সম্মান
যা একজন
স্ত্রী তার
স্বামী ও
সমাজ থেকে
পায় এবং
মা পায়
তার সন্তান
থেকে। ইসলামে
প্রথম স্ত্রীর
বেশী অধিকার,
পরের স্ত্রীর
কম অধিকারের
কোন বিধান
নেই। এখানে
স্বামীকে সবার
জন্য সমান
অধিকার নিশ্চিত
করতে হয়।
২. পতিতাবৃত্তিঃ
যারা এই
পথের পক্ষে
যুক্তি দেখায়,
তারা নিজেরাও
ভাল করে
জানে, এই
পথের নারীদের
সমাজ কখনও
ভাল চোখে
দেখে না।
তাদের আত্নিক,
সামাজিক থেকে
শুরু করে
কোন অধিকার
নিশ্চিত করার
কোন সুযোগ
নাই। এখানে
তারা শুধু
তাদের জৈবিক
চাহিদা পূরণ
করতে সক্ষম
হয় কিন্তু
এটার বিনিময়ে
সমাজ তাদের
ধিক্কার দেয়,
ঘৃণা করে।
তাদের সন্তানও
তাদের প্রকৃত
সম্মান দেয়
না। সুশীল
সমাজে তাদের
গ্রহণযোগ্যতা নেই।
৩. সমকামিতাঃ
এই পথের
অনুসারীরা বিভিন্ন
ধরণের মানষিক
বিকলাঙ্গতায় ভুগে।
কিছু কিছু
সমকামি তাদের
এই সমস্যা
জেনেটিক মনে
করলেও আসলে
তা নয়।
সমকামিতা এক
ধরণের মানষিক
অসুস্থতা। যার
কোন ধরণের
সামাজিক পরিচয়
বা সম্মান
বা নাম
দেয় নেই।
তারা সমাজে
পরিচয় দিতে
পারে না।
সমকামিতার ফলে
বিভিন্ন ধরণের
রোগ যেমনঃ
এইচ আই
ভি, হিউম্যান
প্যাপিলোমা ভাইরাস,
হেপাটাইটিস, পেলভিক
ইনফ্লাম্যাটরি রোগসহ
আরও নানা
রকম রোগে
আক্রান্ত হবার
সম্ভাবনা থাকে।[৪]
[৫] [৬]
এছাড়া সমকামিতার
মধ্যমে পরিপূর্ণ
জৈবিক চাহিদা
পূরণ সম্ভব
না। সমকামিতায়
সমাজে গ্রহনযোগ্যতাও
সবচেয়ে কম,
রোগ সংক্রমনের
সম্ভাবনা সবচেয়ে
বেশী। অবশ্যই
কোন যুক্তিবাদী,
রুচিশীল, সামাজিক,
বোধশক্তি সম্পন্ন
কোন লোক
বলবেন না
যে, সমকামিতা
উপরে উল্লেখিত
সমস্যার সমাধান
হতে পারে।
৪. সারা
জীবন অবিবাহিত
থাকাঃ
জৈবিক চাহিদা
পূরণ করা
ছাড়া নারী
পুরুষ ভালভাবে
চিরদিন বেচে
থাকতে পারে
না। এটা
একটা প্রাকৃতিক
প্রক্রিয়া এবং
একাকী থাকার
সবচেয়ে বড়
সমস্যা। এর
ফলে তারা
বিষন্নতা, উদাসীনতাসহ
আরও মানষিক
রোগে ভোগে।
প্রত্যেকের জীবনেই
দরকার হয়
একজন সঙ্গী।
সঙ্গী ছাড়া
জীবন অসম্পূর্ণ।
মানুষের জীবনসাথীর
উপর নির্ভর
করে সামাজিক
মর্যাদা। সারা
জীবন অবিবাহিত
নারীকে বা
পুরুষকে কোন
সমাজ ভাল
চোখে দেখে
না এবং
নানা আজগুবি
কথা সমাজে
প্রচলিত হয়ে
পড়ে।
প্রত্যেক সুস্থ
নারী চায়
স্বামী, সন্তান
এবং এগুলো
ছাড়া নারী
নিজেকে পূর্ণতা
দিতে পারে
না। এটা
সম্ভব একমাত্র
বিয়ের মাধ্যমেই।
একজন সঙ্গীর
মাধ্যমে। সারাজীবন
অবিবাহিত থাকা
বাস্তবসম্মত উপায়
না। এ
ক্ষেত্রে কিছু
ব্যতিক্রম আছে।
কিছু মানুষ
আছে তারা
একাই জীবন
পার করতে
চায়। কিন্তু
৯৯% মানুষই
মনে করে
জীবনে চলার
পথে সঙ্গী
দরকার হয়।
যদি সারাজীবন
জীবন সঙ্গী
না গ্রহণ
করেন তাহলে
জৈবিক চাহিদার
অপূর্ণতার পাশাপাশি
নিম্নের সমস্যাগুলো
দেখা দিতে
পারে।
* যে
কোন ধরণের
অসুবিধা, মনের
ইচ্ছা প্রকাশ,
লম্বা ছুটি
কাটাতে আপনার
চরমভাবে একা
মনে হবে।
এটার জন্য
বিষন্নতা চলে
আসবে এবং
এটা দীর্ঘ
সময় থাকলে
মানষিক সমস্যা
তৈরী হতে
পারে।
* সবকিছু
একাকী করতে
হয়। গৃহস্থালী
কাজ থেকে
শুরু করে
অফিস বা
উপার্জন সবই
একা করতে
হয়। যা
অনেকের পক্ষেই
সম্ভব না।
* একাকী
জীবন যাপনে
খরচ অনেক
বেশী। একাই
ঘর ভাড়া
থেকে শুরু
করে সমস্ত
খরচ একা
বহন করতে
হয় এবং
এটা অনেক
বেশী কষ্টসাধ্য
একজন নারীর
পক্ষে। এবং
বিভিন্ন দেশে
একাকী থাকলে
অতিরিক্ত ট্যাক্স
দিতে হয়
যা দম্পতির
জন্য ট্যাক্স
অনেক কম।
* একাকী
থাকায় বাসা
ভাড়া পাওয়া
থেকে শুরু
করে বিভিন্ন
সামাজিক কর্মকান্ডে
যোগ দিতে
সমস্যা দেখা
দেয় এবং
সমাজ এটা
ভাল ভাবে
নেয় না।
* একাকী
থাকলে সমাজে
নানা ধরণের
আজেবাজে কথা
প্রচলিত হয়।
এতে এক
সময় বাচার
ইচ্ছা হারিয়ে
যায়। জীবনকে
আর সুন্দর
মনে হয়
না।
* যদি
চরমভাবে অসুস্থতায়
পতিত হন
তখন সবচেয়ে
বেশী একা
মনে হবে
এবং আপন
কাউকে কাছে
পেতে ইচ্ছা
করে।
* নারী
একাকী থাকলে
অনেক বেশী
অরক্ষিত থাকে
যা তার
জন্য বিপদজনক
হতে পারে।
এসব থেকে
পরিষ্কার বুঝা
যায় প্রথম
পদ্ধতিই (সেই
পুরুষকে বিয়ে
করা যার
পূর্বে স্ত্রী
আছে) একমাত্র
বাস্তবসম্মত, সম্মানজনক,
নির্ভিরযোগ্য, সুস্থ
সামাজিক ও
নিরাপদ ব্যবস্থা।
এই কারণে
ইসলামে পুরুষের
বহু-বিবাহের
অনুমতি দেয়।
এবং এটার
মাধ্যমে আল্লাহ
নারীকে দিয়েছেন
সম্মান, সুস্থতা,
পবিত্রতা, পূর্ণতা
ও জীবনকে
সুন্দরভাবে উপভোগ
করার স্বাধীনতা।
তথ্যসূত্রঃ
0 comments:
Post a Comment