নামাজে আমরা কি পড়ি
"হুজুরে আকরাম (সা:) বলেন, নামাজের সময়
একজন ফেরেশতা পাঠানো হয় যিনি ঘোষনা করতে থাকেন যে, হে আদম সন্তান! তোমরা উঠ এবং জাহান্নামের
ঐ আগুনকে (যা তোমরা গোনাহের দ্বারা নিজেদের উপর প্রজ্জলিত করেছ) নিভিয়ে দাও। ফলে দ্বীনদার
লোকেরা উঠে অজু করে ও জোহরের নামাজ আদায় করে। যার ফলে ফজর থেকে জোহর পর্যন্ত কৃত সব
পাপ মাফ হয়ে যায়।
তাকবিরে তাহরিমা :
আল্লাহু আকবার।(আল্লাহ তা’য়ালা সর্বশ্রেষ্ট্)
।
**********************
সানা :
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাস্’মুকা
ওয়া তায়া’লা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।.
অর্থ : হে আল্লাহ ! তুমি পাক্ , তোমারই জন্য
সমস্ত্ প্রশংসা, তোমার নাম পবিত্র এবং বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ্ , তুমি ছাড়া অন্য
কেহ উপাস্য নাই ।
*******************
তাআউয
(আউযুবিল্লাহ):
আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বোনির রাজীম।
অর্থ: বিতারিত শয়তান হইতে, আল্লাহ তা’য়ালার আশ্রয়
প্রার্থনা করিতেছি ।
*******************
তাসমিয়াহ্
(বিসমিল্লাহ্):
বিসমিল্লাহির রহ্’মানির রহিম [ শুরু করছি আল্লাহর
নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু]।
*******************
রুকুর
তাসবীহ্:
সুবহানা রব্বিয়াল আযীম ।( আমার মহান প্রভু পবিত্র)।
************************************
রুকু
হইতে উঠিবার তাসবিহ্
সামিআল্লাহু লিমান হামিদা (যে আল্লাহর প্রশংশা
করে, আল্লাহ তা শোনেন)।
******************************
রুকু
হইতে উঠে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়ার তাসবিহ্
রব্বানা লাকাল হাম্’দ্ (হে আমাদের রব ! তোমার
জন্যই সকল প্রশংশা)।
******************************
সিজদার
তাসবিহ্
আরবী উচ্চারন: সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা (আমার মহান
আল্লাহ পবিত্র)।
************************************
তাশাহ্’হুদ
(আত্তাহিয়্যাতু):
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাতু
(সমস্ত্ তা’যীম, সমস্ত্ ভক্তি, নামায, সমস্ত্ পবিত্র ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর জন্য্,
আল্লাহর উদ্দেশ্যে),
আস্’সালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান্’নাবিয়্যু ওয়া
রহ্’মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (হে নবী! আপনাকে সালাম এবং আপনার উপর আল্লাহর অসীম রহমত
ও বরকত)
আস্’সালামু আ’লাইনা ওয়া আলা ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন
(আমাদের জন্য এবং আল্লাহর নেক বান্দাদদদের জন্য আল্লাহর পহ্ম্ থেকে শান্তি অবতীর্ন
হোক)।
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না
মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু (আমি সাহ্ম্ দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন
উপাস্য নাই এবং মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর বন্দা ও রাসুল।) ।
************************************
দরুদ
শরীফ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা
আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্
মাজীদ [হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস
রহমত নাযিল কর, যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ রহমত
নাযিল করেছ, নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সন্মানের অধিকারী]।
আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা
আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্’তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্
মাজীদ [হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস
বরকত নাযিল কর, যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ বরকত
নাযিল করেছ, নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সন্মানের অধিকারী]
*******************
সুরা
ফাতিহা :
১) (بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ)-[শুরু করছি আল্লাহর
নামে যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু]।
২) (الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)-[যাবতীয় প্রশংশা
আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা]।
৩) (الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ)-[যিনি নিতান্ত্
মেহেরবান ও দয়ালু]।
৪) (مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ)-[যিনি বিচার দিনের মালিক]।
৫) (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ)-[আমরা শুধুমাত্র
তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি]।
৬) (اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ)-[আমাদের সরল পথ দেখাও],
৭) (صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ)-[তাদের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের প্রতি তোমার
গজব নাযিল হয়েছে]।
0 comments:
Post a Comment